বাঙ্গালী সহপাঠীর সঙ্গে কথা বলাই উপজাতি তরুণীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন।

0

পার্বত্য চট্টগ্রামে জাত রক্ষার নামে উপজাতি সমাজে বর্বরোচিত আইন জারি করেছে আঞ্চলিক সন্ত্রাসী দলগুলো। ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি (জেএসএস) তাদের অধিকৃত এলাকাগুলোতে এই বর্বরোচিত আইন বাস্তবায়ন করতে তাদেরই তথাকথিত ছাত্র সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)কে এই আদেশ দেন। এই ক্ষমতাবলে পিসিপি ও পাহাড়ি যুব সমাজ পাহাড়ি নারীদের বাঙ্গালী পুরুষদের সঙ্গে কথা বলা, সম্পর্ক স্থাপন কিংবা বিবাহ করার শাস্তি হিসেবে নিশ্চিত করছে-মোটা অংকে পরিবারকে জরিমানা করা, গণধর্ষণ করা, নিলামে তোলা এবং হত্যা৷ এই কঠোর বর্বরোচিত আইন বর্তমানে পাহাড়ি সমাজে বিদ্যমান। কোন উপজাতি নারীর প্রতি যদি আঞ্চলিক সন্ত্রাসী বা কোন উপজাতি পুরুষের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে তাহলে তাকে বাঙ্গালীর সঙ্গে কথা কিংবা প্রেমের সম্পর্কের অজুহাত দিয়ে ভোগ করা তাদের সমাজে জায়েজ! পার্বত্য চট্টগ্রামে এমন অসংখ্য ঘটনা রয়েছে। ভয়ে কেউ প্রকাশ করেনা। কত উপজাতি নারীকে বাঙ্গালীর সঙ্গে কথা বলার তকমা দিয়ে ধর্ষণ বা হত্যা করা হয়েছে যার কোন সঠিক পরিসংখ্যান নেই।

নারীর প্রতি এই অন্যায়- অবিচার ও নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে তথাকথিত নারীবাদী, মানবাধিকার, প্রগতিশীল, সুশীলরা কখনো প্রতিবাদ করেনা। তাদের প্রতিবাদ শুধমাত্র একটি নিদিষ্ট সম্প্রদায়কে নিয়ে। পাহাড়ে স্বজাতি কর্তৃক নারী ধর্ষিত হলে তার জন্য বিচার কিংবা প্রতিবাদ হয়না। এটা অপ্রিয় হলেও চরমসত্য।

গত ২৪ জুন ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ শনিবার বেলা এক ঘটিকার সময় খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলা ৪নং লতিবান ইউনিয়ন ভাইবোনছড়া এলাকায় মায়াবিনী লেক পাশে আম বাগানে উপজাতি মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের দোহাই দিয়ে এবং আপত্তিকর কাজ করার অজুহাত দেখিয়ে এক বাঙ্গালী ছেলে এবং এক উপজাতি মেয়েকে আটক করেছিল উশৃংখল উগ্র উপজাতি যুবকরা।

সূত্রে জানা যায়, মেয়েটির নাম মেরি চাকমা সেই খাগড়াছড়ি মহিলা কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী বাড়ি। তার বাড়ি দিঘিনালা উপজেলার মেরুন গবরছড়ি। আর ছেলের নাম মুহাম্মদ মাহবুজ ইসলাম তার বাড়ি একই উপজেলার মেরুন ৪নম্বর!

তাদের কথা বলতে দেখেই উশৃংখল ও উগ্র উপজাতি যুবকগণ আটক করে মারধর করে বিপুল পরিমাণ টাকা দাবি করে। তারা টাকা দিতে পারেনি। তাই তাদের উভয়কে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়। ছেলে-মেয়েকে তারা বিভিন্নভাবে ব্ল্যাকমেল করেও বলেও জানা যায়। তাদের থেকে মিথ্যা প্রেমের সম্পর্কের জবানবন্দি নেন মারধর করে। জানা যায় উগ্র উপজাতি যুবকরা ছেলে-মেয়েকে পিসিপি’র হাতে দিলে পিসিপি বর্বরোচিতভাবে মারধর করে এবং মেয়ের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় বলে একটি গোপন সূত্র নিশ্চিত করে। মেয়েকে গণধর্ষণ করার জন্য চেষ্টা করে এবং ছেলেকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার এক পর্যায়ে ছেলে-মেয়েকে টাকার বিনিময়ে অভিভাবকদের হাতে তুলে দেয় বলে জানা যায়।

জাত রক্ষার নামে এইটা কোন দেশের আইন বা নিয়ম, বাঙ্গালী সহপাঠীর সঙ্গে কথা বললেই নির্যাতিত হতে হবে, জরিমানার মুখামুখি হতে হবে কিংবা ধর্ষণ বা হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হবে?? মূলত এটা জাত রক্ষা নয়। নিজেতের পুরুষত্বহীনতা এবং মদ-গাঁজা খেয়ে মাতাল হওয়ার কারণে উপজাতি নারীরা স্বজাতি পুরুষদের পছন্দ করে না এবং বিবাহ করে ঘর সংসার করতে ইচ্ছুক নয়। কোন সুস্থ মেয়ে কী অকর্মা, মদ-গাঁজা খোর উশৃংখল ছেলেকে স্বামী হিসেবে মেনে নিবে? তার চেয়ে দিনমজুর বাঙ্গালী ছেলে অনেক ভালো যে দুমুঠো ভাত মুখে তুলে দিবে। মূলত এই কারণে বাঙ্গালীদের সঙ্গে উপজাতি মেয়েদের কথাবার্তা, মেলামেশা, প্রেম-ভালোবাসা করতে দেয়না৷ তাদের এই অঘোষিত বর্বরোচিত আইনের ফাঁদে পড়ছে অনেক নিরপরাধ উপজাতি মেয়ে৷ যারা সহপাঠী হিসেবে কিংবা স্কুল-কলেজে পড়াশোনা অথবা কর্মক্ষেত্রে বাঙ্গালী ছেলেদের সঙ্গে কথা বলতে হয়। এই কথা বলার অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে গণধর্ষণের শিকার হতে হয়৷ অনেক সময় তো নিলামেই তোলা হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রামে এই বর্বরোচিত সামাজিক আইন করার আঞ্চলিক সংগঠনগুলো বা কে? কেউ যদি অন্যায় করে তার শাস্তি দেওয়ার কী ধর্মীয় রীতিনীতি কিংবা রাষ্ট্রীয় আইন নেই?

এভাবে আর কত উপজাতি নারী স্বজাতি সন্ত্রাসী কিংবা পুরুষ কর্তৃক নির্যাতিত হবে?

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More