সেনাবাহিনীর ছেড়ে আসা ক্যাম্প গুলোর পরিত্যক্ত সরকারি খাস জায়গা দখল করতে মরিয়া আঞ্চলিক সন্ত্রাসী দলগুলো। তিন পার্বত্য জেলার প্রায় উপজেলায় ঘটেছে এই ঘটনা। জুরাইছড়ি, কতুকছড়িতে এই ঘটনা পূর্বে ঘটলেও সাম্প্রতিক সময়ে বাঘাইছড়ি শিজকমুখ সেনাদের একটি পরিত্যক্ত ক্যাম্পের জায়গাকে বৌদ্ধ বিহারের জায়গা বলে জেএসএস সন্তু সন্ত্রাসীরা এই নিয়ে অপপ্রচার শুরু করে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সেনাবাহিনীর পরিত্যক্ত ক্যাম্পের জায়গা ছিল এটি। দখল বন্ধে সেনাবাহিনী সাইনবোর্ড পর্যন্ত লাগাতে বাধ্য হয়েছে। এভাবেই পার্বত্য চট্টগ্রামে নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্পের পরিত্যক্ত জায়গাগুলো দখলে নেয় সন্ত্রাসীরা।
পাহাড়ে খাস ভূমি এবং সেনাক্যাম্পের পরিত্যক্ত জায়গা দখলের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হচ্ছে বৌদ্ধ বিহার এবং আশ্রম নির্মাণ। এর মাধ্যমে তারা জায়গা দখল করে বৈধতা পায়।
১৯৯৭ সনের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি শর্ত মোতাবেক অত্রাঞ্চল থেকে ২৩৯-টি সেনা ক্যাম্প সরিয়ে নেয়া হয়। সেনাবাহিনীর ক্যাম্পগুলো সরিয়ে নেওয়ার পর থেকে চাঁদাবাজি বেড়েছে। সেনা ক্যাম্পের পরিত্যক্ত সরকারি খাস জায়গাগুলো দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে ধর্মীয় উপাসনালয়। ধর্মীয় উপাসনালয় নির্মাণে বরাদ্দ আসছে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান গুলো থেকে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে পার্বত্য চট্টগ্রামে বৌদ্ধ ধর্মীয় স্থাপনাগুলো থাইল্যান্ড, জাপান, সিঙ্গাপুর ও চীনের চেয়ে উন্নত মানে নির্মাণ করা হয়েছে। পক্ষান্তরে পার্বত্য মুসলিম সম্প্রদায়ের উপাসনালয় জরাজীর্ণ। এই থেকে অনুয়েম যে, পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িকতা এবং বৈষম্য-অনিয়ম চরমমাত্রায় পৌছেছে।