স্বজাতি কর্তৃক পাহাড়ি মেয়ে ধর্ষিত হলে তার প্রতিবাদ হয় না: প্রতিবাদ হয় বাঙ্গালী কর্তৃক কথিত ধর্ষণের!
রাঙামাটি জেলার লংগদু উপজেলার কল্যাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম কর্তৃক নিজ স্কুলের এক সাবেক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছিল ২০২০ সালের শেষের দিকে। উক্ত ঘটনার সত্য মিথ্যা নিয়ে আলোচনা করবো না। শুধু এতটুকু আলোচনা করবো- এই মামলায় শিক্ষককে আদালত উপযুক্ত শাস্তি দিয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী জাতি-ধর্ম বিবেচনা না করে আসামীকে বিচারের মুখামুখি করেছে। তারপরও পাহাড়ি সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো উদ্দেশ্য প্রণোদীতভাবে শিক্ষক আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, মানববন্ধন এবং অবরোধ কর্মসূচী পালনের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাঙ্গালীকে ধর্ষক সাব্যস্ত করতে মরিয়া। লংগদু তথাকথিত এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ২০২০ সালের দিকে। যদিও শিক্ষক বলেন, “ওই ছাত্রীর সঙ্গে তার বিবাহ হয়েছে এবং তিনি ছাত্রীর ভরণপোষণ এবং পড়াশোনার খরচ বহন করেন। আঞ্চলিকদল গুলো হুমকি-ধামকি দিয়ে ছাত্রী ও তার পরিবারকে মামলা চালানোর জন্য চাপ দিচ্ছে এবং ছাত্রীকে অপহরণ করার চেষ্টা করছে। স্কুল থেকে শিক্ষককে সরাতে এই মিথ্যা ধর্ষণ মামলা”
ভাবনার বিষয় এই পুরানো একটি ঘটনাকে নিয়ে আঞ্চলিক দলগুলো যতটাই তৎপর ততটাই তৎপরতা স্বজাতি কর্তৃক পাহাড়ি মেয়ে ধর্ষিত হলে হয়না।
একটি বাস্তব প্রমাণ দিই- বান্দরবান লামা উপজেলার গজালিয়া ইউপির কুলাইক্ষাপাড়ায় গত শুক্রবার ২৫ আগস্ট তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী- কে জ্যোতিময় চাকমা কর্তৃক ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বতর্মানে ধর্ষিত ছাত্রী লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চিকিৎসাধীন রয়েছে। এখানে ধর্ষক ও ধর্ষিত একই জাতির। তাই সকলে নীরব!
শিশু স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে তার জন্য ধর্ষককে বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ হয়নি। পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন এবং তথাকথিত নারীবাদী সংগঠন এবং সুশীল সমাজকে এগিয়ে আসতে দেখিনি। চুল-ছেঁড়া বিশ্লেষণ করতে দেখিনি। তাদেরকে দেখেছি লংগদুর বাঙ্গালী শিক্ষকের বিরুদ্ধে তথাকথিত ধর্ষণ অভিযোগ নিয়ে প্রতিবাদ করতে। অথচ এই ঘটনায় আসামী গ্রেফতার হয়েছে এবং তার উপযুক্ত বিচার হয়েছে তারপরও সেই বাঙ্গালী হওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে উপরোক্ত মহল বরাবরই তৎপর। পক্ষান্তরে স্বজাতি কর্তৃক তৃতীয় শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী ধর্ষিত হলেও তার বিষয়ে তাদের ভ্রুক্ষেপ নেই।
লংগদু উপজেলার আরেকটি ঘটনা আছে, পাহাড়ি স্কুল শিক্ষক সুনীতি চাকমা যখন স্কুলছাত্রী সহ হোটেলে হাতেনাতে ধরা পড়ে এবং ধর্ষণ করে তখন কিন্তু পাহাড়ি সন্ত্রাসী সংগঠন গুলোকে কথা বলতে দেখিনি। তাদেরকে শুধুমাত্র বাঙ্গালী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে কথিত ধর্ষণ সহ যে কোন বিষয়ে কথা বলতে দেখা যায়। পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে আঞ্চলিক সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো। তারা প্রায় ঘোলাপানিতে মাস শিকার করার চেষ্টা করে। এ বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট মহল ওয়াকিবহাল হওয়ার পরেও শিক্ষক আব্দুর রহিম ইস্যুতে অতিরঞ্জিত বাড়াবাড়ি করছে বলে সচেতন মহল মনে করে।