কাপ্তাইয়ে সেনা সদস্য কর্তৃক এক মারমা কিশোরী গণ-ধর্ষণ অভিযোগটি পরিকল্পিত মিথ্যাচার!

0

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এক উপজাতি কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ তুলেছে “পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি (জেএসএস) সন্তু গ্রুপ কর্তৃক প্রকাশিত নিবন্ধনবিহীন Hillvoice নামক একটি নিউজ ভুঁইফোড় নিউজ পোর্টাল”।

অদ্য ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ শেষ বিকালে Hillvoice এর ওয়েবসাইট এবং ফেইসবুক পেইজ থেকে সেনাবাহিনী কর্তৃক এক মারমা কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়। উদ্দেশ্যে প্রণোদিত, মিথ্যা-বানোয়াট ও পরিকল্পিত সংবাদটি প্রকাশ করেছে, সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য এবং সন্ত্রাস বিরোধী সেনাবাহিনীর চলমান অভিযান বন্ধ করার জন্য। জেএসএস সন্তুর নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয় “সেনাবাহিনীর সাদা পোষাক পরিহিত ৬ সদস্য কর্তৃক ১৬ বছরের এক মারমা কিশোরী জোরপূর্বক গণ-ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে যে, গতকাল রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল আনুমানিক ৯:০০ টার দিকে কাপ্তাই সেনা জোনের ৫৬ বেঙ্গলের অধীন রাইখালীর মিতিঙ্গাছড়ি সেনা ক্যাম্পের সাদা পোষাক পরিহিত ৬ সদস্য রাইখালী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মিতিঙ্গাছড়ি গ্রামের বাসিন্দা এসএসসি পরীক্ষার্থী এক কিশোরীকে গণধর্ষণ করে।
ঘটনার পর উল্টো ক্যাম্পের কর্তৃপক্ষ গণধর্ষণের শিকার কিশোরীর পরিবার ও গ্রামের কার্বারীকে ক্যাম্পে ডেকে কাউকে না জানাতে নির্দেশ দেয় এবং প্রকাশ করলে ভুক্তভোগী পরিবারের চরম পরিণতি মুখোমুখী হবে বলে হুমকি প্রদান করে।
বর্তমানে ধর্ষিতা কিশোরীর অবস্থা শারিরীক ও মানসিকভাবে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।”

সংবাদটি নজরে আসলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃক এবং স্থানীয়দের দৃষ্টিগোচর করলে তারা জানায়, প্রকাশিত সংবাদটি পরিকল্পিত মিথ্যাচার এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার জন্য এধরণের মিথ্যাচার আঞ্চলিক সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর অভ্যাসের পরিণত হয়েছে। কাপ্তাই অঞ্চলে দীর্ঘদিন থেকে চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুন-গুম এবং অস্ত্রবাজির মাধ্যমে এখানকার জনসাধারণের জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে সন্ত্রাসীরা। তাই স্থানীয় জনসাধারণের অনুরোধে চাঁদাবাজ এবং অস্ত্রবাজদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চলছে। চলমান অভিযান বন্ধ করতে সন্ত্রাসীরা ধর্ষণ নামক তকমাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে এধরণের কথিত ধর্ষণ অভিযোগ করেছে। সেনাবাহিনী কর্তৃক এমন ঘৃণিত ঘটনা ঘটেনি। বর্ণিত এলাকায় কোনপ্রকার ঘটনাই ঘটেনি। সেনাসূত্র এবং স্থানীয়রা আরো জানায়, পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে সহযোগী হিসেবে শান্তি-সম্প্রীতি এবং উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। সেনাবাহিনীর মত দেশপ্রেমিক এবং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করা বাহিনী কখনো এমন ঘৃণিত কাজ করতেই পারেনা। সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো যখন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে কোনঠাসা হয়ে যায় তখন তাদের সাংগঠনিক রক্ষায় এবং সাধারণ মানুষের কাছে নিজেদের গ্রহণ যোগ্যতা বৃদ্ধি করতে নানান মিথ্যাচার ডামা তৈরি তৈরি। কথিত ধর্ষণ অভিযোগটিও একই সুতো গাঁথা।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More