||বান্দরবান প্রতিনিধি||
পাহাড়ী বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর সাথে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির প্রথমবারেরমত স্বশরীরে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (৫ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় রুমা উপজেলার মুনলাই পাড়ার কমিউনিটি সেন্টারে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সভাপতি বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লার নেতৃত্বে ৫ সদস্য এবং কেএনএফ এর ১০ সদস্য এতে অংশ নেয়। এছাড়াও প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠককে ঘিরে মুনলাই পাড়ায় নেয়া হয়েছে কঠিন নিরাপত্তা ব্যবস্থা।সেনাবাহিনী,পুলিশ ও বিজিবিসহ মোতায়েন রয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সদস্য। দুপক্ষের মধ্যে এর আগে অনেক বার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও সরাসরি এটিই প্রথম বৈঠক। বৈঠকে কেএনএফ এর পক্ষ থেকে ৬ দফা দাবী উত্থাপন করা হয়েছে। সেগুলো নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে এবং কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে বৈঠকে আলোচনা হয়।তবে সিদ্ধান্তের বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।এছাড়াও আগামী মাসের মাঝামাঝিতে আবার দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্ট থেকে কেএনএফ পাহাড়ে তৎপরতা শুরু করে। এদের সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে এ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর ৫ সদস্যসহ ২২ জন নিহত হয়। কেএনফের ১৭ সদস্যকে আটক করা হয়। এই সশস্ত্র সংগঠনটির সাথে নতুন গজিয়ে ওঠ জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়ার সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে। জঙ্গিদের টাকার বিনিময়ে কেএনএফ প্রশিক্ষণ দিতো বলেও অভিযোগ ছিল। কেএনএফের এই তৎপরতায় বান্দরবানে পর্যটন শিল্পের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। বান্দরবানের কয়েকটি উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয় প্রশাসন থেকে। পাহাড়ী বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট এর বিপথ গামী সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার নেতৃত্বে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে চলতি বছর জুন মাসে ১৮ সদস্য বিশিষ্ট শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠন করা হয়।পাহাড়ে চলমান এই সংঘাত নিরসনে গঠিত শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সাথে এই প্রথম কেএনএফ সরাসরি বৈঠকে বসেছে।