নিহত নেতাকর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে ইউপিডিএফ এর ঘোলাপানিতে মাছ শিকার কর্মসূচী!

0
3

গত ১১ ডিসেম্বর আনুমানিক রাত-১০ টায় খাগড়াছড়ি পানছড়ি উপজেলার ৯ নং ওয়ার্ড ফতেপুর একটি বাড়িতে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপের হাতে ৪ ইউপিডিএফ নেতাকর্মী নিহত হয় এবং তিনজন অপহৃত হয়। নিহত এবং অপহৃতরা হলেন, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা ও খাগড়াছড়ি জেলা সহ-সভাপতি লিটন চাকমা, পিসিপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা ও ইউপিডিএফ সংগঠক রুহিন ত্রিপুরাকে হত্যা এবং ইউপিডিএফ-এর সংগঠক হরি কমল ত্রিপুরা, নীতি দত্ত চাকমা, মিলন চাকমাকে অপহরণ করা হয়।

উপরোক্ত ঘটনার প্রতিবাদে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা নিম্ন কর্মসূচী ঘোষণা করে। এই কর্মসূচীর মাধ্যমে তারা নিরাপত্তা বাহিনীর নামে বিভিন্ন কুৎসা এবং অপপ্রচার ও মিথ্যা তথ্য জনমতে ছড়াতে পারে। এরই মধ্যে নানান কুৎসা রটিয়ে আসছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি।

কর্মসূচী সমূহ- ১৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর প্রতিবাদ সমাবেশ ও শোক সভা। বিভিন্ন স্থানে কালো পতাকা উত্তোলন।

১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত পানছড়ি বাজার বয়কট। প্রয়োজনে বয়কটের মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে বলে জানা যায়।

১৭ ডিসেম্বর পানছড়ি উপজেলাব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট।

১৮ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ি জেলাব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা শান্তিপূর্ণ সড়ক অবরোধ।

এর আগেও ইউপিডিএফ হরতাল অবরোধের নামে নাশকতা করে মানুষদের জানমাল ধ্বংস করেছে। ইউপিডিএফ এর মাধ্যমে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে পারে।

রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর, রাঙামাটি সদর কতুকছড়ি এবং কাউখালীতে ১৩ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর এর মধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচী করতে পারে বলে জানা যায়। ইউপিডিএফ সমর্থিত সহযোগী অঙ্গসংগঠন পিসিপি ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন এবং গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের লোকজনের আনা-গোনা রাঙ্গামাটি জেলার বর্ণিত উপজেলা গুলোতে লক্ষণীয়৷ বিক্ষোভ মিছিল এবং কালো পাতা উত্তোলনের মত কর্মসূচী ইউপিডিএফ করতে পারে।

এছাড়াও চট্টগ্রাম চেরাগীপাহাড় তারা নানান কর্মসূচী করতে পারে বলে জানা যায়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বিরোধী ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজি এবং খুন-গুমে এবং দলীয় কোন্দলের পরিপ্রেক্ষিতে ইউপিডিএফ এর একটি অংশ ইউপিডিএফ ত্যাগ তপন জ্যোতি বর্মার নেতৃত্বে ২০১৭ সালে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠা করে। এর পর থেকে দুইটি সন্ত্রাসী সংগঠন চাঁদাবাজি এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘাতে লিপ্ত হয়। ২০১৭-২০১৮ সালে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠাতাসহ ৬জনকে ইউপিডিএফ প্রসিত মূলদল হত্যা করে। এরপর হতে এক পক্ষ অন্যপক্ষের সদস্যদের চোরাগোপ্তা হামলার মাধ্যমে হত্যা করে আসছে।

আগের পোস্টবান্দরবান কারাগার থেকে মুক্তি পেল বিদেশী নাগরিক
পরের পোস্টমহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রুমা জোন কতৃর্ক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন