বান্দরবান পার্বত্য জেলার লামা উপজেলার সরই ইউনিয়ন রেংয়েন কার্বারী পাড়ায় বারার কোম্পানির বিশাল ভূমি বেদখলের অংশ হিসেবে ছন-বাঁশের তৈরি একটি বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ করা হয়েছে! বিহারটি নামকরণ করা হয়েছে অশোক বৌদ্ধ বিহার নামে!
রাবার কোম্পানির ভূমিতে বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ করে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছে উপজাতি সন্ত্রাসী মদদপুষ্ট ভূমি দস্যুরা। পার্বত্য চট্টগ্রামে খাসভূমি ও বাঙ্গালী ভূমি বেদখলের সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ করে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া। কারণ জায়গা বৈধ হোক আর অবৈধ হোক বৌদ্ধ বিহারের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রাখলেই তা বৈধতা পায়। কারণ বৌদ্ধ বিহার কেউ ভাঙ্গতে পারবে না আর বন্ধ করতে পারেনা। আর কেউ যদি বিহার বন্ধ বা ভাংচুর করে তাহলে বৌদ্ধ উপাসনালয়ে হামলা, ধর্ম পালনে বাধা এবং সংখ্যালঘুদের ধর্মী স্বাধীনতায় আঘাত আনার অভিযোগ তুলে দেশ-বিদেশে অপপ্রচারে লিপ্ত হবে৷ যেমনটি চার দশক ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামে করে আসছে উপজাতিরা।
এখন এই ঘরে উচিংজিমা মারমা, পিতা: মংশৈপ্রু মারমা নামে এক ব্যক্তি বসবাস করে আসছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রবাদ আছে, ছনের ঘর বা টিনের ঘর পুড়ে গেলে সরকার পাক্কা দালান তুলে দেন। এই অভিপ্রায়ে উপজাতি সন্ত্রাসীরা ছন,বাঁশ দিয়ে বৌদ্ধ বিহার বা টিন শেডের ঘর নির্মাণ করে নিজেরাই ভাংচুর ও পুড়িয়ে দিয়ে তার দায়ভার বাঙ্গালী ও সেনাবাহিনীর উপর দেয়৷ পরবর্তীতে সরকারি সুযোগ-সুবিধা বা অনুদান নিজেরা লুটপাট করে খায়।
সাম্প্রতিক সময়ে সরই ইউনিয়নে তারই প্রতিফলন ঘটানোর প্রচেষ্ঠা করছে জেএসএস সন্তু লারমার মদদপুষ্ট ব্যক্তিরা।
রাবার কোম্পানির অভিযোগ জায়গাটি তাদের৷ বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ করে জায়গাটি দখলের চেষ্টা করে আসছে স্থানীয় ভূমি দস্যুরা। ভবিষ্যতে এই নিয়ে নানাবিধ ইস্যু তৈরি করতে পারে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে ধর্মীয় বরাদ্দ কত টাকা তা কী কারো জানা আছে? তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক এখানকার ধর্মীয় বরাদ্দের পরিসংখ্যান দেখলে চোখ কপালে উড়বে। বেশিরভাগ ধর্মীয় বরাদ্দ কিন্তু বৌদ্ধ বিহার ও খ্রিস্টানদের গির্জা কেন্দ্রীক। এর ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামে বৌদ্ধ বিহারগুলো থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, চীন ও জাপানের চেয়ে উন্নত। সরই ইউনিয়নে ছন-বাঁশ দিয়ে বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ উদ্দেশ্যপ্রণোদীত ছাড়া কিছু নয়।