হতদরিদ্র পরিবারের যুবক-যুবতিদের প্রলোভন দেখিয়ে ব্যবহার করছে ইউপিডিএফ।

0

সাংগঠনিক রক্ষায় হতদরিদ্র পরিবারের যুবক-যুবতিদের প্রলোভন দেখিয়ে ব্যবহার করছে পার্বত্য চুক্তি বিরোধী ইউপিডিএফ।

অব্যাহত চাঁদাবাজি ও খুন-গুমে জনমনে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) প্রসিত মূল সন্ত্রাসী গ্রুপের প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি হয়েছে। ১৯৯৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর ঢাকা এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে ইউপিডিএফ তথাকথিত স্বায়ত্তশাসনের নাম দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে চাঁদাবাজি, অপহরণ ও খুন-গুম এবং জাতিগত ভেদাভেদ সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার প্রচেষ্ঠায় লিপ্ত রয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম অশান্ত করার পেছনে ইউপিডিএফ প্রধান প্রসিত বিকাশ খীসার দায় সন্তু লারমার পর দ্বিতীয়৷ মূলত জাতির অধিকারের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে ইউপিডিএফ পার্বত্য চট্টগ্রামের জনসাধারণ থেকে চাঁদাবাজি করে শীর্ষ নেতারা বিলাসবহুল জীবনযাপন করছে।

কথিত আছে, ইউপিডিএফ এর দু’টি গঠনতন্ত্র রয়েছে। সবার সম্মুখকে একটি, অন্যটি নিজেদের সাংগঠনিক এবং অসাধু ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার করার জন্য গোপনীয়৷ এই নিয়ে যারাই প্রতিবাদ করেছে ইউপিডিএফ বেছে বেছেই তাদেরকে অপহরণ বা হত্যা করেছে।

ইউপিডিএফ এর চাঁদাবাজির টাকা ভাগাভাগি এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সময়ে যে, খুন-খারাবি, অপহরণ ও অরাজকতা তৈরি হয়েছে তা নিয়ে মানুষ ইউপিডিএফ এর প্রতি চরমভাবে ক্ষুদ্ধ। জনমনে ইউপিডিএফ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে। মানুষ এখন মনে প্রাণে ইউপিডিএফকে ঘৃণা করে। শুধু অবৈধ অস্ত্রের জোরের কারণে সাধারণ মানুষ ইউপিডিএফ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামনের সারিতে আসতে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।

ইউপিডিএফ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, সাংগঠনিকভাবে অনেক দূর্বল। অভ্যন্তরীণ কোন্দলে অনেক দলীয় নেতাকর্মী দল ছেড়েছে। এই মূহুর্তে ইউপিডিএফ এর পক্ষে সাংগঠনিক টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই হতদরিদ্র পরিবারের যুবক-যুবতিদের টার্গেট করে ইউপিডিএফ কর্মী খুঁজছে। একাধিক গোপন সূত্রের তথ্য মতে জানা যায়, সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধি করতে ইউপিডিএফ নতুন কর্মীর সন্ধানে মাঠে নেমেছে৷ যেসব পরিবার একদম হতদরিদ্র, ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা খরচ দিতে অক্ষম, এমনকি কর্মসংস্থান নেই এমন বেকার যুবক-যুবতীদের অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে ইউপিডিএফ সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি বেশ কয়েকটি উপজেলায় তারা গোপন বৈঠক করে সাংগঠনিক টিকিয়ে রাখার জন্য কর্মী সংগ্রহে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছে। যে সকল দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় হতদরিদ্র পরিবারের ছেলে-মেয়েরা ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং ভালো নামি-দামি স্কুল বা উপজেলা ও জেলা সদরে গিয়ে পড়াশোনা করার মত অর্থ নেই তাদেরকে ফুসলিয়ে পড়াশোনা এবং থাকা-খাওয়া ও বিলাসবহুল জীবনযাপনের প্রলোভন বা স্বপ্ন দেখিয়ে তাদের পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশনসহ ইউপিডিএফ সহযোগী অঙ্গসংগঠনে যুক্ত করছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের নতুন প্রজন্মকে ইউপিডিএফ বাঙ্গালী, সেনাবাহিনী এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও বিদ্বেষমূলক শিক্ষা দিচ্ছে। এদেরকে উগ্র সাম্প্রদায়িকভাবে গড়ে তুলে সেনাবাহিনী, বাঙ্গালী তথা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যবহার করবে। বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রকে গভীরভাবে ভাবনার সময় এসেছে।

আগের পোস্টবান্দরবনে শীতার্তদের মাঝে পিসিএনপি’র কম্বল বিতরণ।
পরের পোস্টবৌদ্ধ বিহারের পর এবার চারাগাছ ও পাহাড় কেটে ৫টি ঘর নির্মাণ!

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন