ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) সহযোগী অঙ্গসংগঠন- হিল উইমেন্স ফেডারেশন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম অদ্য (রবিবার) ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ দুপুর ২টায় ধর্ষণ চেষ্টার তকমা দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মহালছড়ি উপজেলা যৌথখামার চৌংড়াছড়িতে এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি ইউপিডিএফ করলেও চৌংড়াছড়ি এলাকাবাসীর নাম দিয়ে গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছে ইউপিডিএফ। বিক্ষোভে উলাপ্রু মার্মার সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন অংসাজাই কার্বারী ও জনম চাকমা।
ইউপিডিএফ বিক্ষোভ থেকে বলেন, “গতকাল (শুক্রবার) ৯ ফেব্রুয়ারী দুপুরে উক্ত ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটে। ছড়া থেকে পানি আনতে গিয়েই দুই বাঙ্গালী চৌংড়াছড়ি গ্রামের এক পাহাড়ি গৃহিণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে। পরে অনেক ধস্তাধস্তি করে ওই গৃহিণী তাদের কবল থেকে নিজেকে রক্ষা করে বাড়িতে ফিরে এসে ঘটনাটি তার স্বামীকে জানায়। ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় জড়িত কাটিং টিলার নিবাসী মো. শাহাদাত (২৫) ও মো. তুলু (২৩)।”
স্থানীয়রা জানায়, তথাকথিত ধর্ষণ চেষ্টাকারী বাঙ্গালীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও শাস্তি দাবি জানিয়ে ইউপিডিএফ বাঙ্গালী বিদ্বেষী মন্তব্য করে। এছাড়াও ইউপিডিএফ আরো বলেন, “সেটলার বাঙালিরা শুধু আমাদের মা-বোনদের ধর্ষণ-নিপীড়ন করে ক্ষান্ত থাকে না, তারা প্রশাসনের সহযোগিতায় আমাদের জায়গা-জমি কেড়ে নেয়, হামলা চালায়। এ সেটলারদের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়িরা সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে পারছে না।”
ইউপিডিএফ এর তথাকথিত ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগের সত্যতা যাচাই বিষয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চৌংড়াছড়ি এলাকায় বাঙ্গালীদের ভূমি রয়েছে৷ এসব ভূমি ইউপিডিএফ এর নির্দেশে পাহাড়িরা বেদখল করে আছে। বাঙ্গালীরা সরকারি বন্দোবস্ত ভূমিতে গেলে ইউপিডিএফ নানা ষড়যন্ত্র তৈরি করে। এই ইতিহাস পুরোনো। কথিত ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগটি মূলত ইউপিডিএফ এর উদেশ্য প্রণোদিত প্রচেষ্ঠা। পাহাড়ি নারীদের লেলিয়ে দিয়ে বাঙ্গালীদের নিজ ভূমিতে যেতে বাধা প্রদান করছে ইউপিডিএফ।
স্থানীয়দের এই তথ্য থেকে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় যে, ইউপিডিএফ বাঙ্গালীদের ভূমি বেদখল করার অংশ হিসেবে উক্ত দুই বাঙ্গালীকে হয়রানি করার অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিলটি করেছে৷ যেমনটি তারা বরাবরই করে আসছে। ইউপিডিএফ এর এই নোংরা রাজনীতি বন্ধে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছে স্থানীয়রা।