সম্প্রীতির পাহাড়ে শান্তি চায় না কেএনএফ।

0

পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের সাথে প্রতারণা করে শান্তি বিনষ্ট করতে মরিয়া কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা (কেএনএফ)। তারই ধারাবাহিকতায় পর্যটন জেলা বান্দরবানের বিভিন্ন স্পষ্টে আগত পর্যটকদের উপর ন্যক্কারজনক হামলা চালিয়েছে। অদ্য (রবিবার) ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলায় ও রুমা-থানচি সড়কে তিন পর্যটকসহ স্থানীয় হতদরিদ্র ১১ পাহাড়ীকে বেধড়ক মারধর করে আহত করে। এই হামলার পরপর স্থানীয় জনসাধারণ কেএনএফ এর তীব্র সমালোচনা করার পাশাপাশি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারী সদর ইউনিয়নের রেজুক মারমা পাড়া গ্রামের উহ্লাচিং মারমা (৪০) নামে এক মারমা সম্প্রদায়ের ব্যক্তিকে কেএনএফ এর সশস্ত্র শাখা ন্যাশনাল আর্মি কর্তৃক গুলি করে আহত করে। দাবিকৃত চাঁদার টাকার জন্য এই হামলা হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। হামলার প্রতিবাদে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রুমায় সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে কেএনএফ এর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়৷ জনগণের ব্যাপক সমাগম কেএনএফ প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়। সাধারণ জনসাধারণ কেএনএফ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ঐকবদ্ধ৷ অপকৌশলের আশ্রয় নিয়ে স্থানীয় জনসাধারণকে ভয়ভীতি এবং চলমান ঐক্যপ্রক্রিয়া বানচাল করতে তারা বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি পর্যটক আগমনসহ সবধরনের যানবাহন বন্ধ ঘোষণা করে।

রুমা ও থানচি সড়কে চলাচল করা বাস পরিবহন থেকে গত কয়েক সাপ্তাহ ধরে চাঁদা দাবি করে আসছিল কেএনএফ৷ চাঁদা না দেওয়াতে গত ১৩ ফেব্রুয়ারী উহ্লাচিং মারমাকে গুলি করে আহত করে। বর্তমানে যানবাহন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করার অন্যতম কারণ চাঁদা। আজ সকালে বাস কাউন্টারের লাইনম্যানের উপর হামলা করে তারা। কয়েকটি যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে।

কেএনএফ এর জনবিরোধী কর্মকাণ্ড, জনগণের সাথে প্রতারণা ও পাহাড়ে শান্তি বিনষ্ট করার কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে পাহাড়ে তারা শান্তি-সম্প্রীতি চায় না।

পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসবাদের ঠাঁই নেই৷ যারা নিরীহ জনগণ ও পর্যটকদের উপর হামলা করার মধ্য দিয়ে যানচলাচলে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে মাঠে নামছে আইন- শৃঙ্খলা বাহিনী।

কেএনএফ এর নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা টহল দিচ্ছে। জননিরাপত্তা নিশ্চিতে আইন- শৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে তৎপর আছে।

স্থানীয়রা বলছে, চাঁদাবাজি ও অস্ত্রবাজিতে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে কেএনএফ নিরিহ খেটে খাওয়া মানুষ ও পর্যটকদের উপর হামলা চালানোর পাশাপাশি যোগাযোগ বিভিন্ন করার জন্য চোরাগোপ্তা হামলার পথ বেছে নিয়েছে৷

তারা তাদের অপতৎপরতা বন্ধ না করলেও তাদের কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে।

আগের পোস্টপার্বত্য মেলায়ও পার্বত্য বাঙ্গালীদের সঙ্গে বৈষম্য।
পরের পোস্টস্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিমুখে ইউপিডিএফ কর্মসূচীর নিন্দা জানিয়েছে পিসিএনপি।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন