বার্মা থেকে চার শতাধিক তংচঙ্গ্যা আলিকদম অনুপ্রবেশ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
![](https://hillnewsbd.com/wp-content/uploads/2024/04/9049013567-1024x538.jpg)
মাতামুহুরি বড় আগ্গেলা হয়ে গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে প্রায় চার শতাধিক তংচঙ্গ্যা উপজাতি নারী-পুরুষ ও শিশুসহ বান্দরবান জেলার আলিকদম উপজেলায় অনুপ্রবেশ করতে দেখেছে স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. সায়েদ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ মায়ানমার (বার্মা) থেকে এই তংচঙ্গ্যা উপজাতিরা আলীকদম উপজেলায় অনুপ্রবেশ করে। এতগুলা উপজাতি ভিনদেশ থেকে এদেশের সীমান্তে অনুপ্রবেশ করেছে এগুলো দেখার কেউ নেই। এমন অভিযোগ করেন হতাশার কণ্ঠে।
স্থানীয়রা আরো জানান, বার্মা থেকে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করা উপজাতিদের শনিবার দিবাগত রাত ১ টার পর দরিপাড়া দেখা যায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই পোস্ট করে এই নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। নেটিজনেরা এই তংচঙ্গ্যাদের বার্মার নাগরিক বলে উল্লেখ করেন।
এই নিয়ে বিশ্লেষকরা বলেন, উপজাতিরা বার্মা থেকে অবৈধভাবে সীমান্ত দিয়ে এই দেশে প্রবেশ করে পরবর্তীতে নিজেদেরকে এই দেশের আদিবাসী হিসেবে পরিচয় দিবে। এমনকি কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ), জেএসএস সন্তু ও ইউপিডিএফ এর মতো এই পার্বত্য ভূমি তাদের মাতৃভূমি এবং এ অঞ্চল তাদের বলে স্বায়ত্তশাসনসহ আলাদা হওয়ার জন্য সশস্ত্র সংগ্রাম করবে। বলাবাহুল্য যে, উপজাতিদের কিছু অংশ করে আসছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি পরিবার ও জনসংখ্যার সঠিক পরিসংখ্যান না থাকার কারণে প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মায়ানমার থেকে প্রতিনিয়ত সীমান্ত দিয়ে এই দেশে এসে বাসিন্দা হয়ে যাচ্ছে। এবং রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে এদেশের নাগরিকদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। এসব উপজাতিদের আদিনিবাস মঙ্গোলীয়, তিব্বত এবং পরবর্তীতে ভারত ও বার্মার বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য হলেও তারা পার্বত্য চুক্তির পূর্বে ও পরে পার্বত্য চট্টগ্রামে অনুপ্রবেশ করে নিজেদের এ অঞ্চলের ভূমিপুত্র দাবি করছে!
বিগত কয়েকবারে হাজার হাজার উপজাতি অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করেছে৷ যারা কেউ পরে ফেরত যায়নি। এই বছরের দলেদলে এসেছে অনেক। আগত তংচঙ্গ্যারা বলছে আরো আসতেছে।
![](https://hillnewsbd.com/wp-content/uploads/2024/04/IMG_20240428_125308.jpg)
পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘদিনের সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে ভারত ও বার্মা থেকে সীমান্ত দিয়ে আগত এসব উপজাতিদের সেদেশে ফেরত পাঠানো জরুরী হয়ে পড়ছে৷ এবং সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা উচিত৷
বাংলাদেশের উপজাতিদের জন্য সুযোগ-সুবিধা বেশি হওয়ার কারণে প্রতিবেশী দেশগুলো হতে উপজাতিরা দলেদলে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে আসছে। ভারত ও বার্মার বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে জাতিগত সংঘাত ও বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং রাষ্ট্রীয় বাহিনীর অভিযানের কারণে অনেক উপজাতি দেশান্তরি হচ্ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত থাকায় এসব উপজাতি হরহামেশাই পার্বত্য এলাকায় অনুপ্রবেশ করে বাসিন্দা হয়ে যাচ্ছে৷ এখানকার জনপ্রতিনিধি, হেডম্যান ও কার্বারী উপজাতি সম্প্রদায় হইতে তাছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামের শাসনবিধি অনুযায়ী উপজাতিদের জন্য বাসিন্দা হওয়া সহজ৷ এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভিনদেশী এসব উপজাতি বাংলাদেশের বাসিন্দা লাভ করে। রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সু্বিধা ভোগ করাসহ পরবর্তীতে রাষ্ট্রের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে। যেমনটি আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামের কয়েকটি উপজাতি জনগোষ্ঠীর বিচ্ছিন্নতাবাদের মাধ্যমে দেখে আসছি।