পার্বত্য জেলা বান্দরবানের রুমায় সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ এর এক সদস্য নিহত হয়েছেন। এসময় তিনটি অস্ত্র, গোলাবারুদ ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে রুমা উপজেলার দুর্গম দার্জিলিং পাড়া থেকে ওই কেএনএফে সদস্যের মরদেহ রুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ।
রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান জানান, রুমা দার্জিলিং পাড়া থেকে এক কেএনএফ সদস্যের লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। তবে নিহত কেএনএফ সদস্যের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রুমা উপজেলার দার্জিলিং পাড়ায় সেনাবাহিনীর সাথে কেএনএফ সন্ত্রাসীদের সাথে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গোলাগুলির এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর গুলিতে কেএনএফে এক সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে কয়েকটি অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
গত ২ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর সশস্ত্র সদস্যরা ব্যাংকের নিয়োজিত গ্রাম পুলিশ ও ব্যারেকে থাকা আনসার সদস্যদের ১৪ টি অস্ত্র ও গুলি লুট করে নিয়ে যায়।
এছাড়াও ডাকাতির সময় ব্যাংক ম্যানেজার নেজামউদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় কেএনএফের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। পরে অভিযানে ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার করা হয়। ওই সময় ব্যাংক সংলগ্নে অবস্থিত মসজিদে সশস্ত্র অবস্থায় প্রবেশ করে তারাবি নামাজ আদায়রত মুসল্লিদের জিম্মি করে মারধর করা হয়।
পরদিন ৩ এপ্রিল দিন-দুপুরে উপজেলা থানচিতে কৃষি ও সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই সময় ১৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কেএনএফ এর সশস্ত্র সদস্যরা।
এ ঘটনায় রুমা ও থানচি থানায় একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। ব্যাংক ডাকাতি ও গোলাগুলির ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে।