বম জনগোষ্ঠীর নামে ইউপিডিএফ কর্তৃক সংগ্রহ করা চাঁদা যাচ্ছে কেএনএফের হাতে!

0
2

জিহান মোবারক: কেএনএফের হামলা ও নির্যাতন শিকার গৃহহীন ‘বম জনগোষ্ঠীর’ নামে ইউপিডিএফ কর্তৃক সংগ্রহ করা চাঁদা যাচ্ছে কেএনএফের হাতে!

পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ মূল ও গর্জে ওঠা কুকি-চিন খ্যাত কেএনএফ ঐকবদ্ধ হচ্ছে পার্বত্য চুক্তি পক্ষের তথা পার্বত্য চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ সংগঠন জেএসএস সন্তুর বিরোদ্ধে। প্রসিত নিয়ন্ত্রিত অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজে বিবৃতি দিয়ে কেএনএফের জন্য চাঁদা সংগ্রহ করছে ইউপিডিএফ। কেএনএফ ও ইউপিডিএফের কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ বিষয়টি স্বীকার করেন।

জানা গেছে পাহাড়ে কেএনএফ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় অন্তত ২০/২৫টি পাড়ার বম জনগোষ্ঠীর বাসিন্দা ঘর-বাড়ি ছেড়েছে। এর মধ্যে অনেকে দেশ ছেড়েছে। আবার অনেকেই বনে জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে। কিছু কিছু সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ঘর-বাড়িতে ফিরে আসলেও কেএনএফ তাদেরকে পুনরায় গৃহহীন করার ষড়যন্ত্র করছে। এমনই অভিযোগ ডেবিট বম, ভানচুলিন বম ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রুমার বাসিন্দার।

রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি কয়েকজন জনপ্রতিনিধি জানায়, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারী মহলের দৃষ্টি গোচরের মাধ্যমে পাহাড়ে সন্ত্রাসবাদ কায়েম করতে কেএনএফ স্বজাতি বম জনগোষ্ঠীকে হামলা, নির্যাতন ও অর্থ সম্পদ লুটপাট করে গৃহহীন করে তাদেরকে ভিকটিম করে চলমান যৌথবাহিনীর অভিযান বন্ধসহ এ অঞ্চলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে তৎপরতা চালাচ্ছে। এদিকে চরম জেএসএস বিরোধী ইউপিডিএফ কেএনএফ কে পৃষ্ঠপোষকতা করে জেএসএসের বিরোদ্ধে কাজে লাগাতে সোশ্যাল মাধ্যমে চাঁদা সংগ্রহে নেমেছে।

কেএনএফ ও ইউপিডিএফের জেএসএস বিরোধী গভীর ষড়যন্ত্র সন্তু গ্রুপের ওপর কতটা প্রভাব ফেলবে সেটা সময় সাপেক্ষে জানা যাবে কিন্তু এটা যে চুক্তি পক্ষ সংগঠনের অস্তিত্বের জন্য হুমকি তা কিন্তু স্পষ্ট। জেএসএস কীভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করবে? সে প্রশ্ন সবার মুখে মুখেই।

আগের পোস্টজেএসএস এর বিরুদ্ধে ইউপিডিএফ ও কেএনএফ এক হয়েছে, চলছে অর্থ ও তহবিল কালেকশন।
পরের পোস্টকেএনএফ-ইউপিডিএফ একাট্টা; রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র, ভিকটিম হচ্ছে সাধারণ জনগন।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন