কেএনএফ এর দাবিদাওয়া অযৌক্তিক।

0
3

যে কোন অযৌক্তিক দাবি কখনোই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। একটি জাতি গঠনের ভূমিকা রাখতে হলে সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য যৌক্তিক বিভিন্ন দাবিদাওয়া উত্থাপন করতে হবে। অযৌক্তিক দাবি কখনোই কারো জন্য মঙ্গল নয়। অযৌক্তিক দাবি ও সিদ্ধান্ত অনেক সময় বিপদজনক পরিবেশ তৈরি করে। কুকি-চিন জনগণের জন্য এখন সেটিই হয়েছে। কিছু উগ্রবাদী বম যুবক যুবতীদের নিয়ে পাহাড়ে নতুন সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ২০২২ সালের মাঝামাঝি থেকে বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি উপজেলার দুর্গম ও রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউনিয়নে নাশকতা মূলক তৎপরতা শুরু করে। পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বায়ত্তশাসিত পৃথক রাজ্য প্রতিষ্ঠার জন্য কেএনএফ নয়টি উপজেলা নিয়ে পৃথক রাজ্য গঠনের দাবি করে । বর্তমানে তারা ওই অঞ্চলের সাতটি উপজেলা নিয়ে ‘স্বশাসিত পরিষদ’ প্রতিষ্ঠার দাবি তুলেছে। কেএনএফ সংগঠনটি গড়ে ওঠে মূলত বান্দরবানের রুমা উপজেলায়। এর প্রধান রুমা উপজেলা সদরের ইডেন পাড়ার বাসিন্দা নাথান বম। তিনি ২০০৮ সালে কুকি-চিন ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনস (কেএনডিও) নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন। সেটি পরবর্তী সময়ে কেএনএফ নামে সশস্ত্র সংগঠনে রূপ নেয়।
মূলত বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার কেওক্রাডং পর্বতের আশপাশের পাহাড়ে কুকি-চিনের আস্তানা। তবে তাদের অধিকাংশ সদস্য বর্তমানে ছদ্মবেশে মিশে আছে সাধারণ মানুষের সঙ্গে। চাঁদাবাজি-লুটপাটসহ বিভিন্ন অপকর্মের লক্ষ্যে স্বল্প সময়ের জন্য লোকালয়ে এলেও কাজ শেষে দ্রুতই ফের আস্তানায় ফিরে যায় সশস্ত্র এসব সন্ত্রাসী। এমনকি অনেকেই প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নেয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।

কেএনএফ এর অযৌক্তিক দাবিদাওয়া-
বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি, বরকল, বিলাইছড়ি, রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি নিয়ে পৃথক প্রশাসনিক ব্যবস্থা প্রণয়নসহ স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল দেওয়ার।
এই অঞ্চলের নাম হবে ‘কুকি-চিন টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল’ বা কেটিসি। কেএনএফ অধিকার বিষয়ক যৌক্তিক দাবি না করে গণবিরোধী দাবি উত্থাপন করে রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকাণ্ড করছে। যা মানুষ ঘৃণার সাথে প্রত্যাখ্যান করছে। কুকি-চিন বম জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে খুব দ্রুত গতিতে উন্নয়ন হয়েছে। তাদের কোটা ভিত্তিক সুবিধা, পার্বত্য কোটা সুবিধা, অনাগ্রসর জাতিগত কোটা, দূর্গম এলাকায় সরকারি সুযোগ সুবিধা, ফ্রি চিকিৎসা, ফ্রি লেখা পড়া, ফ্রি কৃষি চাষ ব্যবস্থাপনা, দূর্গম এলাকায় পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন, যাতায়াতের সুবিধার জন্য সীমান্ত সড়ক নির্মাণ, ব্যবসা বানিজ্যের দ্বার উন্মোচন, শিক্ষা বৃত্তি, বৃদ্ধভাতা, মাতৃত্বকালীন চিকিৎসা ব্যবস্থা, ফ্রি ঔষধ সরবরাহ, বিভিন্ন ফলজবাগানের গাছ প্রদান, বিনা মুনাফায় ব্যাংক ঋন, নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক বিভিন্ন সামগ্রী সহায়তা প্রদানসহ দেশে অন্যান্য অঞ্চলের সাধারণ জনগণের চেযে অনেকবেশি সুবিধা গ্রহণ করেছে তারা। কিন্তু তাদের কর্মকান্ড তার বিপরীতে অবস্থান। যা দুঃখ জনক। কিছু উগ্রবাদী বম জনগোষ্ঠীর জন্য কপাল পুড়লো পুরো জাতির।

রাষ্ট্রের সাধারণ জনগণের প্রত্যাশা কেএনএফ তাদের জাতির মঙ্গল চাইলে কখনোই ভুল পথে হাটতো না। জাতি বাঁচাতে ও উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে কেনএফকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। না হয় একটি জাতি বিভিন্নভাবে ভুগান্তিতে পড়তে হবে। কেএনএফ এর অযৌক্তিক দাবি যদি রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেয় তাহলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড উপর আঘাত পড়বে। সঠিক ভাবে চিন্তাশীল বিচক্ষণতা হবে রাষ্ট্রের সাথে বৈরিতা না করে পূর্বের মতো নিজেদের জীবন যাপন করা। এবং জাতি বাঁচাতে ভুল পথে পরিহার করে সঠিক পথ বেঁচে নেয়া।

আগের পোস্টদেবাশীষ রায় একজন আইনজ্ঞ হয়ে কীভাবে পাহাড়ে প্রচলিত আইনের বিরোধী?
পরের পোস্টপাহাড় থেকে বাঙ্গালী সরিয়ে নিতে ইউপিডিএফের সন্ত্রাসী হামলা।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন