বৌদ্ধ ধর্মীও ভিক্ষু অস্ত্রসহ আটকের বিষয়টি বাস্তবতার নিরিখে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি! উপজাতীয় নেতাদের চাপে বিষয়টি গোপন রাখা হয়। কিছু কতিপয় বৌদ্ধ ধর্মীও গুরু ভিক্ষু সন্ত্রাসবাদের ঘটনাকে আড়াল করতে বিষয়টি চেপে রাখা হয়েছে বলে জানা যায় সূত্রে! এ ঘটনা দামাচাপা দেওয়া ঘৃণিত অপরাধ, কারণ একজন প্রকৃত অপরাধী কৃতকর্মের দায় সমগ্র বৌদ্ধ সমাজ নিতে পারেনা। অপরাধী যে হোক তার মুখোশ উন্মোচন পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য অত্যান্ত মঙ্গলকর। সন্ত্রাসীদের কোন জাত, ধর্ম-বণ নেই। এরা সন্ত্রাস এটা তাদের মূল পরিচয় হওয়াটা বাঞ্ছনীয়। একজন বৌদ্ধ ধর্মীও ভান্তে ও তার সহযোগীরা সহ অস্ত্রসহ আটক হয়েছে তার জন্য সমগ্র বৌদ্ধ ভিক্ষু তথা বৌদ্ধ সমাজ দায়ী নয়।
প্রসঙ্গত কারণে কতিপয় কিছু ভিক্ষুর অতিরিক্ত বাড়াবাড়ির সামান্য তুলে ধরছি, পার্বত্য চট্টগ্রামে কোন সেনা টহল যখন বৌদ্ধ ধর্মীও ভিক্ষুদের বহনকারী গাড়িবহর তল্লাশি করে তখন সেনাবাহিনীকে অপদস্ত করা হয়। ধর্মীও কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলে সেনাবাহিনীর উপর চড়াও হতে দেখা যায়! খাগড়াছড়ি রাঙামাটি সড়কে ২০১৯ এর প্রথম দিকে সেনাবাহিনীর নানিয়ারচর জোন কর্তৃক ভান্তে বহনকারী গাড়ি তল্লাশি করার সময় উত্তেজিত ভান্তেরা তল্লাশি ফেসবুকে লাইভ প্রচার করে। কোন আইনে সেনারা তল্লাশি করে দেশজুড়ে সেই প্রশ্নও দেখা যায়। সেনা সদস্যদের নাকানিচুবানিও খাওয়ানো হয়। যারা তৎকালীন সেনাবাহিনীকে নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন তারা কি বলবেন আজ? অথচ সেই কতিপয় কিছু বৌদ্ধ ভিক্ষুরাই সন্ত্রাসবাদে জড়িত। অস্ত্র সহ আটক এমন একটি ডকুমেন্টস গোপন রাখার অপচেষ্টা করা হয়েছে। কিছু কতিপয় ভিক্ষুরাই বারবার বলে আসছে পার্বত্য চট্টগ্রামে কোন বৌদ্ধ ধর্মগুরুও তাদের শ্রমণরা সন্ত্রাসবাদ সহ কোন অস্ত্র ধারণ বহন করে না এমনকি তারা অস্ত্রধারী কাউকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেইনা। কিন্তু কতিপয় ধর্ম ব্যবসায়ী এসব ভিক্ষু সমগ্র বৌদ্ধ সমাজকে নিয়ে মন্তব্য করা নেতিবাচক। সমগ্র বৌদ্ধ সমাজকে নিয়ে সেনাবাহিনী বা এখানকার প্রশাসন বিচলিত নয়। বিচলিত তাদের মত কতিপয় কিছু ধর্মীও পোষাক ব্যবহারকারীকে নিয়ে। গত সোমবার,২৬/১০/২০২০ তারিখ একটি ঘটনা ঘটলে সেই ঘটনা সম্পর্কে জানা যাক। রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার মাঝের পাড়া কতিপয় বৌদ্ধ ভিক্ষু দীর্ঘদিন হতে সন্ত্রাসবাদ লালনপালন অস্ত্রধারী আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে ডাকাতি, চাঁদাবাজি সহ সাম্প্রদায়িক কাজ করে আসছে তারই জের ধরে উক্ত এলাকাবাসী কতিপয় বৌদ্ধ ভিক্ষুকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আর এ প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করতে একটি বিশেষ মহল এবং কতিপয় উপজাতীয় রাজনৈতিক নেতারা তৎপর। পুলিশও কতিপয় নেতাদের চাপে পড়ে বিষয়টি সামনে নিয়ে আসতে চাইনি। কি ঘটছিলো সেইদিন তা তুলে ধরা হলো।
রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার ৪নং কলমপতি ইউনিয়নের মাঝেরপাড়া ও নাইল্যাছড়ি সড়ক থেকে অস্ত্র সহ ৩ উপজাতীয় সন্ত্রাসী ও ১ বৌদ্ধ ধর্মীও ভিক্ষু স্থানীয় মানুষের সহযোগীয় আটক হয়। আটককৃতদের মধ্যে ৩ উপজাতীয় সন্ত্রাসীর বাড়ি উপজেলার ৩নং ঘাগড়া ইউনিয়নের ২নং হারাঙ্গীপাড়া।
সন্ত্রাসীরা গতকাল রবিবার, ২৫/১০/২০২০ইং তারিখ রাতে কলমপতি ইউনিয়নের উত্তর মাঝেরপাড়া এলাকায় এক প্রবাস ফেরত অসুস্থ থুচাইমং মারমার বাড়িতে মূল হোতা কতিপয় বৌদ্ধ ধর্মীও ভিক্ষু উ সুমনার সহযোগীতায় ডাকাতি করার বিশেষ প্রস্তুতি নেয় বলেও জানা যায়। ভিক্ষু উ সুমনা কলমপতি ইউনিয়নের ৩নং বরইছড়ি গ্রামের ক্যাজাই মারমার ছেলে। নাশকতা ও ডাকাতি করতে নাইল্যাছড়ি হয়ে মাঝেরপাড়া যাওয়ার সময় পথিমধ্যে স্থানীয় বাংগালীরা তাদের দেখে সন্দেহ করে। পরে বাংগালীরা সংঘবদ্ধভাবে ধাওয়া দিলে রাতে মাঝেরপাড়া দইপা বৌদ্ধ বিহারের ভিক্ষু উ সুমনা (২৮) সন্ত্রাসীদের বৌদ্ধ বিহারে আশ্রয় দেয়। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় মাঝেরপাড়া গ্রামের উপজাতি মারমা গ্রামবাসীরা পাহারা বসায় তাদের আটকের। কিন্তু সন্ত্রাসীরা বৌদ্ধ বিহারে আত্মগোপনে থাকায় তাদের রাতে গ্রামবাসী আটক করতে পারেনি। তাছাড়া সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দানকারী বৌদ্ধ ভিক্ষু উ সুমনা অত্যন্ত বিপদজনক তাই এলাকাবাসী গভীর রাতে আর ঝুঁকি না দিয়ে তাদের পর্যাবেক্ষণে রাখে। কিন্তু ২৫/১০/২০২০ ইং রবিবার রাত অতিবাহিত হওয়ার পর ২৬/১০/২০২০ তারিখ সোমবার রাত ২টার সময় সন্ত্রাসীরা অস্ত্র সহ মোটরসাইকেল যোগে নাইল্যাছড়ি সংযুক্ত সড়ক দিয়ে এলাকা ত্যাগ করবে এমনই গোপন তথ্য জানতে পারে এলাকাবাসী। মাঝেরপাড়া এলাকাবাসী তাৎক্ষণিক গোপন তথ্য পার্শবর্তী নাইল্যাছড়ি গ্রামে জানালে গ্রামবাসী ৩ সন্ত্রাসীকে মোটরসাইকেল ধাওয়া দিয়ে আটক করে পালিয়ে যাওয়ার সময়। খবর পেয়ে নাইল্যাছড়ি বাজারে পাশে অবস্থিত পুলিশ ক্যাম্পের এসআই মনির ঘটনার স্থলে গিয়ে আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণের আশ্বাস দিয়ে গ্রামবাসীদের হতে ৩ সন্ত্রাসীকে উদ্ধার করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। তখন রাত ২টা ৫০ মিনিট। নাইল্যাছড়ি পুলিশ ক্যাম্প কাউখালী থানাকে জানালে ওসির নির্দেশে থানার এসআই সিরাজুল ইসলাম নাইল্যাছড়ি গিয়ে আটককৃত ৩ সন্ত্রাসীকে নিয়ে আসে। এ ঘটনার পরপর মাঝেরপাড়া গ্রামবাসী কতিপয় বৌদ্ধ ভিক্ষুকে ঘেরাও করে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সন্ত্রাসী তৎপরতায় জড়িত থাকার অভিযোগে বৌদ্ধ ভিক্ষু হতে ধর্মীও লাল শালু পোষাক কেড়ে নেয় এলাকাবাসী। ৩ সন্ত্রাসী ও বৌদ্ধ ভিক্ষু আটক হওয়ার পর তারা পুলিশকে সঠিক নাম-ঠিকানা না দিয়ে ভূল নাম ঠিকানা দেয়। পরবর্তীতে পুলিশ তদন্ত করে তাদের নাম-ঠিকানা জানতে পারে এবং আরো জানতে পারে সন্ত্রাসীরা মোট ৬জন ছিলো তন্মধ্যে ২জন পালিয়ে যায়। আটককৃত ৪ সন্ত্রাসীর মধ্যে ৩ সন্ত্রাসীর নাম ১। মংচাসিং মারমা, পিতা- মোরসি মারমা, ২। সাইমন মারমা, পিতা- নিবাই মারমা, ৩। নিমিদ্দুক্কা মারমা- পিতা – অং থোচাই মারমা। সাং- ২নং হারাঙ্গী পাড়া, ৩ নং ঘাগড়া। ঘটনার রহস্যময় কারণ থেকে যায়, আটককৃত বৌদ্ধ ভিক্ষু উ সুমনার নাম ঠিকানা এবং তথ্য দিতে পুলিশ নারাজ। বিষয়টি পুলিশ বারবার এড়িয়ে যায়। তবে এ ভিক্ষুর তথ্য ও তার নাম ঠিকানা দেওয়া নিষেধ ছিলো এবং উপজাতি নেতাদের থেকে বিষয়টি দামাচাপা দেওয়ার নির্লজ্জ চেষ্টাও ছিলো।থানায় অনেক তদবিরও আসে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক উপপরিদর্শক জানান, বৌদ্ধ ভিক্ষুর নামে মামলা হাল্কা করতে দাদা খ্যাত কতিপয় উপজাতীয় নেতার নির্দেশে এক জনপ্রতিনিধি থানায় তদবির চালাই। কতিপয় ঐ জনপ্রতিনিধি একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে, বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসী সংগঠনের মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেন, রাষ্ট্রীয় একটি বৃহত্তম গোয়েন্দা সংস্থার নিকট রিপোর্ট রয়েছে ২০১৯ ইং-এর শেষদিকে। এক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হয় অস্ত্র মামলা হতে বৌদ্ধ ভিক্ষুকে বাদ দিয়ে ডাকাতি মামলায় ৬ নাম্বার আসামী করে উ সমুনা ভিক্ষুকে রক্ষা করার এবং সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত না করে চেপে যাওয়ার। সন্ত্রাসী উ সুমনা কর্তৃক এক জনৈক ব্যক্তিকে স্থানীয়রা আটকের সময় হুমকি প্রদান করে। এ ঘটনায় কাউখালী সেনা ক্যাম্প হুমকি প্রাপ্ত জনৈক ব্যক্তিকে থানায় পাঠায় মামলা করার জন্য। কিন্তু ওসি মামলা গ্রহণ করেনি বলেও জানা যায়।
এ ব্যাপারে কাউখালী থানায় পৃথকভাবে ডাকাতি ও অস্ত্র মামলা দায়েরে হয়েছে। সূত্রে জানা যায় পুলিশ উপজাতি নেতাদের তদবিরে মূল হোতা কতিপয় ভিক্ষু উ সমুনা কে রক্ষা করতে পৃথকভাবে দু’টি মামলা দায়ের করে। উ সুমনা ভিক্ষুকে ডাকাতি মামলার ৬ নাম্বার আসামী করা হয়! ডাকাতি মামলার ১নং আসামী সাইমন মারমাকে অস্ত্র মামলা দিয়ে বাকী ৫ আসামীদের তদবিরে ভিত্তিতে ডাকাতি মামলা দিয়ে অস্ত্র মামলা হতে পুলিশ রক্ষা করে! আটককৃত সন্ত্রাসীদের নামে অস্ত্র মামলা না দিয়ে ডাকাতি মামলা করে রক্ষা করা হয়েছে। কাউখালী থানার পৃথক দু’টি মামলা নাম্বার, ১। নং ১২- তাং ২৬/১০/২০২০ ইং, ২। নং, ১৩- তাং ২৬/১০/২০২০ ইং, এ ঘটনার মূল হোতা বৌদ্ধ ভিক্ষুর ব্যাপারে পুলিশ কোন তথ্য দিতে নারাজ। এ ঘটনার মামলার বাদী নাইল্যাছড়ি পুলিশ ক্যাম্পের এসআই মনিরকে বাদী না করে কাউখালী থানার কতিপয় এসআই সিরাজুলকে বাদী করা হয়েছে রহস্যময় ভাবে। এই এসআই সিরাজুল কাউখালী কচুখালী বিভিন্ন দোকানদার থেকে মাদক বিক্রি করার সুযোগ দিয়ে মাসিক চাঁদাবাজি করে। কাউখালী কচুখালী সিএনজি স্টেশন হতে চলাচলরত সকল সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, জীপগাড়ি সহ বিভিন্ন গাড়ি হতে বাৎসরিক চাঁদা উত্তোলন করেন। তার নির্যাতনে ও চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ কাউখালী বাসী। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট রয়েছে যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি করার। এমন একজন কতিপয় এসআই সিরাজুল ইসলাম হচ্ছে এ মামলার বাদী। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
আটককৃত সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে কাউখালী থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) শহীদুল্লাহ (বিপিএম) জানান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৩ জনকে আটক করেছে নাইল্যাছড়ি পুলিশ ক্যাম্প। ঘটনার পরপর বাড়তি পুলিশের একটি টিমও ঘটনার স্থলে পাঠানো হয়েছে।পার্শ্ববর্তী সেনা ক্যাম্প থেকে সেনাবাহিনী গেছেন। আটকৃতরা মাঝেরপাড়া ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। এর সাথে জড়িত আরো ৩জন রয়েছে তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।
সূত্রে আরো জানা যায়, এ সন্ত্রাসীদের সঠিক তদন্তের অংশ হিসেবে জিজ্ঞেসাবাদে ঘাটতি থাকায় গোপনীয় অনেক তথ্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। এ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে স্থানীয় বিভিন্ন উপজাতীয় নেতৃত্বে শ্রেণীয়ও জড়িত বলে জানা যায়। আটককৃত বৌদ্ধ ভিক্ষুকে শ্রমণ (শিক্ষানবিশ) বানানোর চেষ্টাও করা হচ্ছে বলে জানা যায়। এ সন্ত্রাসবাদের ঘটনাটি সংবাদমাধ্যম গুলো ফলাও করে প্রকাশ করেনি! শুধুমাত্র একটি অনলাইনে বৌদ্ধ ভিক্ষুকে ডাকাতির মূল হোতা অভিযুক্ত করে সংবাদ প্রকাশ করে। পুলিশ সহ দাঁড়ানো লাল কাপড় পড়া যে বৌদ্ধ ভিক্ষু বা শ্রমণ যাকে দেখা যাচ্ছে তার পরিবর্তে যদি মসজিদের ইমাম সাহেব (হুজুর? থাকতেন তাহলে কি অস্ত্র সহ আটক বিষয়টি চেপে যেতেন? উপজাতীয় সন্ত্রাসী ও বৌদ্ধ ভিক্ষু আটকের খবর কাউখালী উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ে। এলাকায় বেপরোয়া চাঁদাবাজি চলছে প্রতিনিয়ত, চাঁদার জন্য গাড়ি চলাচল ও বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ সহ বছরের প্রথম থেকে একটি বাজারে চাঁদার চিঠিও দেয় সন্ত্রাসীরা। আটককৃত সন্ত্রাসীরা এসব অপরাধে জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা উচিত বলে এলাকাবাসী মনে করে। যদিও সূত্রে জানা যায় অস্ত্র সহ সন্ত্রাসীও বৌদ্ধ ধর্মীও ভান্তে আটকের খবরটি চেপে যাওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। কতিপয় কিছু বৌদ্ধ ভিক্ষু এভাবে প্রায় সন্ত্রাসবাদে জড়িয়ে পড়ছে। খেয়াল রাখতে হবে কয়েকজন কতিপয় বৌদ্ধ ভিক্ষু জেনো সমগ্র বৌদ্ধ ভিক্ষু সমাজকে কলঙ্কিত করতে না পারে। এজন্য সমগ্র বৌদ্ধ ভিক্ষু ও সাধারণ উপজাতি-বাংগালী ও প্রশাসন এগিয়ে আসতে হবে। কয়েকজন বৌদ্ধ ভিক্ষুর দায়ী পুরো বৌদ্ধ ভিক্ষু সমাজ নিতে পারেনা। গৌতমবুদ্ধের বাণী অত্যন্ত স্পষ্ট। তিনি জগতের সকল প্রাণীর সুখ শান্তি কামনা করেন। কিন্তু কিছু ভান্ত ধর্মীও কাপড় ব্যবহার করে ধর্মকে বির্তক করা অপচেষ্টাই লিপ্ত, এরা ধর্মকে শুধু নিজের স্বার্থে ব্যবহার করে। এদের বিরুদ্ধে সকলে মাঝেরপাড়া গ্রামবাসীর মত সোচ্চার হোন।
গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে জানায়, বৌদ্ধ ভিক্ষু আটকের বিষয়টি গোপন রাখা অন্যায় এতে ধর্মীও কাজের আড়ালে সন্ত্রাসবাদ তৈরি হবে পার্বত্য চট্টগ্রামে। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের স্বার্থে আটককৃত সন্ত্রাসীদের অধিকর জিজ্ঞেসা করা অত্যন্ত জরুরী। এ বৌদ্ধ ভিক্ষু সহ সন্ত্রাসীদের অস্ত্র সরবরাহ কারা করেছে এবং তাদের কারা সহযোগিতা করছে তা বাহির করা গুরুত্বপূর্ণ। আর সন্ত্রাসীদের আটকের বিষয়টি গোপন রাখা এবং বৌদ্ধ ভিক্ষুর নাম প্রকাশ ও তার ব্যাপারে বিহিত পদক্ষেপ যথার্থ কিনা আবার কেন দামাচাপা দিচ্ছে তার সঠিক কারণ তদন্ত করে বাহির করে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।