জার্মান ভিত্তিক ডয়েচে ভেলে’র বাংলাদেশী প্রতিনিধি গুলোকে গাড়ির চাকায় পিষ্ট করে মারা উচিৎ।

0

১৫-১১-২০২০ খ্রিঃ ডয়েচে ভেলে ২৪ ঘন্টা ব্যবধানে এতরফা তিনটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে! তিনটি প্রতিবেদন প্রকাশে উপজাতীয় সম্পদায়ের বক্তব্য এবং তাদের কথা গুলো সুকৌশলে তুলে ধরলেও ভূমি থেকে ম্রোদের কথিত উচ্ছেদ করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নেওয়া হয়নি! যাদের থেকে বক্তব্য নেওয়া হয়েছে এরা সবাই জেএসএস-ইউপিডিএফ-এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এটা কেমন সাংবাদিকতা? স্থানীয় প্রশাসনের বক্তব্যও নেই! নিরপেক্ষতা বজায় রাখা তো দূরের কথা অন্তত সংবাদের গ্রহণ যোগ্যতা ফুটে তোলার জন্য হলেও কথিত অভিযুক্ত মহলের বক্তব্য সংযুক্ত করা উচিৎ। সেটাও ডয়েচে ভেলে’র প্রতিনিধিরা করেনি! এ থেকে প্রমাণিত যে, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা পার্বত্য উপজাতীয়দের উস্কানি দেওয়া সহ পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে সংঘাত সৃষ্টি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।

দেশে এতো অনিয়ম, বৈষম্য, দুঃশাসন ও ক্লান্তিকাল চলছে তা নিয়ে তাদের ভ্রুক্ষেপ নেই। অথচ তারা পার্বত্য বাংগালী-সেনা বিরোধী তৎপরতায় নিয়োজিত রয়েছে৷ মনে হচ্ছে ডয়েচে ভেলে’র বাংলা বিভাগ শুধুমাত্র পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে উস্কানি আর সম্প্রীতি বিনষ্ট করার তাবেদারী হাতে নিয়েছে। প্রকৃত পক্ষে যদি বান্দরবান চিম্বুক পাহাড় ম্রো’রা দালিলিক প্রেক্ষিতে ভূমির মালিকানা হয়, সেক্ষেত্রে আমিও তাদের উচ্ছেদ করে পর্যটন ও হোটেল-মোটেল নির্মাণ করাকে সমর্থন করবো না। একটি জাতিকে যথাযথ ভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া ছাড়া ভূমি হতে উচ্ছেদ কাম্য হতে পারেনা। কিন্তু উক্ত ভূমির প্রকৃত মালিক যে ম্রো উপজাতিরা নয় তা দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছাড়া নিঃসন্দেহে বলা যায়। উক্ত ভূমির যদি ম্রোদের মালিকানার বৈধ কাগজপত্র থাকতো তাহলে ম্রো’রা অবশ্যই আইনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতেন। ম্রোদের কিছু নীরবতা এবং সুযোগ সন্ধানী জেএসএস-ইউপিডিএফ-এর এই নিয়ে বিতর্কিত বেপরোয়া তৎপরতা নানান প্রশ্ন জন্ম দিয়েছে। সন্দেহের উৎপত্তি কিন্তু এখানেই। পাহাড়ে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ বাধাগ্রস্ত করতে সবসময় বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপর থাকে। আর তাদের অন্যতম সহযোগী এদেশের বামেরা, বাম নিয়ন্ত্রিত আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম উস্কানিমূলক সংবাদ প্রকাশ করে সারাদেশে বাংগালী- সেনাবাহিনী ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তিতে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত। জার্মান ভিত্তিক ডয়েচে ভেলে ও তাদের বাংলাদেশী প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা করা উচিৎ। দেশের বিরুদ্ধে বিদেশী গণমাধ্যমে মিথ্যাচার ও অপসংবাদ প্রচার রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। ভবিষ্যতে যেনো পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয় গুলো খেয়াল রাখে সেলক্ষ্যে তাদের বিরুদ্ধে একটি আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

আগের পোস্টযে জাতির ভাষায় “ধর্ষণ” শব্দের প্রতিশব্দ নেই সে জাতিই মিতালী চাকমাকে গণধর্ষণ করেছিল!
পরের পোস্টমন্তব্য করার ভাষা হারিয়ে ফেলছি- কি নির্লজ্জ মিথ্যাচার!

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন