যে জাতির ভাষায় “ধর্ষণ” শব্দের প্রতিশব্দ নেই সে জাতিই মিতালী চাকমাকে গণধর্ষণ করেছিল!

0

 

যে জাতির ভাষায় “ধর্ষণ” শব্দের প্রতিশব্দ নেই সে জাতির ভদ্র পুরুষরাই মিতালী চাকমাকে দলবদ্ধভাবে টানা ৩ মাস গণধর্ষণ করে!

প্রথম আলো পত্রিকার রাজশাহী প্রতিনিধি সাংবাদিক আবুল কালাম মুহাম্মদ আজাদ ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি বখতিয়ার আহমেদ প্রথম আলোতে অধ্য ০১-১১-২০২০ তারিখে একটি প্রতিবেদনে লিখেছে। প্রতিবেদনের শিরোনাম “৩৩ টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী জাতির ভাষায় ধর্ষণ প্রতিশব্দ নেই!!!” প্রথম কলামে আবুল কালাম মুহাম্মদ আজাদ লিখেছে চাকমা, মারমা খুমী সহ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী মানুষের জীবনে ধর্ষণের মতো ঘটনা ছিলো না বলেই এর প্রতিশব্দ সৃষ্টি হয়নি!! অন্যদিকে একই প্রতিবেদনের ২ নম্বর কলামে বখতিয়ার আহমেদ লিখেছেন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রথাগত সমাজে ত্রাসনির্ভর রাজনৈতিক ছিলো না। এর জন্য বল প্রয়োগ ধর্ষণ ঘটেনি!!! সোর্স হিসেবে কিছু গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও কতিপয় ব্যক্তিকে ব্যবহার করা হয়েছে। আদৌ এসমস্ত সোর্স তথ্য নির্ভরও নিরপেক্ষ হিসেবে অনুবাদন করার সুযোগ নেই! লিংক প্রথম আলো অনলাইন ভার্সন…
https://l.facebook.com/l.php?u=https%3A%2F%2Fwww.prothomalo.com%2Fbangladesh%2Fdistrict%2F%25E0%25A7%25A9%25E0%25A7%25A9%25E0%25A6%259F%25E0%25A6%25BF-%25E0%25A6%25AD%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B7%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F-%25E0%25A6%25A7%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25B7%25E0%25A6%25A3%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0-%25E0%25A6%25AA%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%25A4%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25B6%25E0%25A6%25AC%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25A6-%25E0%25A6%25A8%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%2587&h=AT0jYim3sohXFr_EBEQBL6lSmwoffrZAdl4mDBMRIJDDfLcerLU8HhSJNCRfiMQpYLu6qIBFMi5qGAcjl7lBASX0xbDauP4R74bnqy0U9UzDthD89aqu2uS81j7JjRzZb51Ppb8BDw

উপজাতীয়দের মধ্যে ধর্ষণের মত ঘটনা ঘটে না এমনকি ধর্ষণ প্রতিশব্দও নেই! অথচ গত ১৭ আগস্ট, ২০১৮ তারিখ রাঙ্গামাটি সরকারী কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছাত্রী মিতালী চাকমা (১৯) কে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসী সংগঠনে যোগদান না করার কারণে অপহরণ করে টানা ৩ মাস আটক রেখে গণধর্ষণ করে! ঐ বছরের ১৭ নভেম্বর সেনাবাহিনী রক্তাক্ত অবস্থায় মিতালী চাকমাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করে। ২৩ নভেম্বর মিতালী চাকমা খাগড়াছড়ি সংবাদ সম্মেলন করে জানায় তাকে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা জোর করে তুলে নিয়ে বর্বরোচিত নির্যাতন এবং একাধারে ৩ মাস টানা গণধর্ষণ করে। পালাক্রমে দল বেধে প্রতিদিন ধর্ষণ করেছে তারই স্বজাতি বিচ্ছিন্নতাবাদী ইউপিডিএফ প্রসিত বিকাশ খিসা গ্রুপ! এই গণধর্ষণের সাথে সংগঠনটির একাধিক শীর্ষ নেতা জড়িত ছিলো। ইউপিডিএফ-এর কতিপয় নারী সংগঠন হিল উইমেন্স ফেডারেশনে যোগ না দেওয়াই আক্রশ থেকে গণধর্ষণ করা হয় মিতালী চাকমাকে। ১৭ নভেম্বর সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীর টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে মিতালী চাকমাকে একটি পাহাড়ী পথে রেখে দ্রুত পালিয়ে যায়। মারাত্মক ধর্ষণ অভিযোগ থাকার পরেও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে ধর্ষণ শব্দ নেই বলে চিল্লাচ্ছে!

সাংবাদিক আবুল কালাম মুহাম্মদ আজাদ ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি বখতিয়ার আহমেদ যদিও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যেও এখন ধর্ষণ হচ্ছে স্বীকার করেছেন। তবে বাস্তবতা আড়াল করে দুধে ধোয়া তুলসীপাতা বানিয়েছে উপজাতিদের। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এবং বাংগালী জাতিকে খাটো ও হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে উক্ত প্রতিবেদন লিখেছে। এমনকি একটি মহলকে সন্তুষ্ট করতে করা হয়েছে উক্ত প্রতিবেদন। যেসব তথ্য সোর্স ব্যবহার করা হয়েছে তা কোনভাবে নির্ভরযোগ্য নয়। যে ৩৩-৩২টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষার কথা উল্লেখ করা হয়েছে তাদের কারোরই ভাষা স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়, অহরহ শব্দ ভান্ডার নেই। অনায়াসে প্রকৃত বাস্তবতা স্বীকার না করে ভাষায় ধর্ষণ শব্দ নেই বলে সম্প্রীতি বিনিষ্ট হওয়ার মতো প্রতিবদন তৈরি করা হয়েছে। আর কথিত সংবাদ পেয়ে সন্ত্রাসীরা লাগামহীন ভাবে বাংগালীর চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধারে নেমেছে। বাংগালী সংস্কৃতির আগ্রাসন ও বাংগালীদের থেকে ছড়িয়ে পড়ছে ধর্ষণ উপজাতি সমাজে, এই ধরনের কাণ্ডজ্ঞানহীন মন্তব্য চলছে। সাধারণ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সহ সন্ত্রাসীদের জীবনমানন্নোয়ন ও শিক্ষা-দিক্ষা সহ সবকিছু এগিয়ে নেওয়ার পেছনে বাংগালী জাতির অপরিসীম অবদান রয়েছে। সেটা হোক সমতলে বা পাহাড়ে। অথচ উপজাতিদের মধ্যে কিছু কতিপয় সন্ত্রাসী ও উগ্রবাদী মতবাদে লোক অকৃতজ্ঞার পরিচয় দিচ্ছে। ভালো খারাপ সব জাতিতে রয়েছে, গঠনমূলক সমালোচনা করার অধিকার সবার রয়েছে, তাই বলে কি বাংগালীদের ধর্ষক হিসেবে তকমা দিতে হবে? উপজাতিদের মধ্যে ধর্ষণ বিস্তার কি বাংগালী করেছে! বাংগালী বিদ্বেষী মনোভাবে গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে সাধারণ উপজাতিদের মগজধোলাই করা হচ্ছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More