লামায় ভূমি দখল ও নারী নির্যাতন এর মতো ঘৃন্য কাজে লিপ্ত কোয়ান্টাম!

ভুক্তভোগী পরিবারগুলো বলেন, লামা ও বান্দরবান এলাকায় শহীদ আল বোখারীর ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনীর জিম্মি থেকে আমরা বাঁচতে ও নিরাপদ বসবাস করতে চাই। তার সন্ত্রাসী বাহিনীর কারণে রাতে ছেলেমেয়েদের নিয়ে নিরাপদে ঘুমাতে পারি না।

0
486

বান্দরবান লামা উপজেলার সরাই ইউনিয়ন এখন কথিত এনজিও সংস্থা কোয়ান্টাম এর দখলে। লামায় প্রায় ৪ হাজার একর ভূমি এই কোয়ান্টাম এর নামে। স্থানীয় পাহাড়ি-বাঙ্গালীদের ভূমি দখল করে সম্পদের প্রাচীর গড়েছেন এর সঙ্গে সম্পৃক্ত সংশ্লিষ্টরা। ভূমি দখল ও পাহাড় কাটার জন্য প্রশাসন, বন ও পরিবেশ আইন ও গণমাধ্যম কর্মী ফাঁকি দিতে শিশুকানন, স্কুল ও আশ্রম নির্মাণ করে থাকেন। এবং তা ভিআইপি লোক দিয়ে উদ্বোধন করেন। যার মাধ্যমে সবকিছু জায়েজ করা হয়। এই  কোয়ান্টাম এর বিরুদ্ধে লামাসহ সারা দেশে অহরহ অভিযোগ ওঠে৷ কিন্তু অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না ভুক্তভোগীরা৷ ১৯৯৬ সাল থেকে লামায় তারা কার্যক্রম শুরু করে। তাদের প্রধান আয়ের উৎস- ৫৫টি দেশ থেকে আসা অর্থ। এদেশের বিভিন্ন দপ্তর, প্রতিষ্টান এবং ব্যাক্তি থেকেও তারা অর্থ সংগ্রহ করে। তারা অর্থ সংগ্রহ করার জন্য মানব সেবার আওতা ভুক্ত কল্যাণকর দিকগুলোকে সাইনবোর্ড ব্যবহার করে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ গুলো সবচেয়ে বেশি- ভূমিদস্যুতা , প্রতারণা, মামলা-হামলা, নারী ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন!

কোয়ান্টাম এর বিরুদ্ধে ঢাকা গিয়ে পর্যন্ত সাংবাদিক সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শহীদ আল বোখারীকে দ্রুত গ্রেফতার ও তার বিচার দাবি জানিয়েছে নির্যাতিত ও ভূমিহীন ভুক্তভোগী একাধিক পরিবারের সদস্যরা। একই সঙ্গে শহীদ আল বোখারীর তত্ত্বাবধানে বান্দরবানে লামা উপজেলার, ডলুছড়ী এলাকায় কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু, জালিয়াত ও প্রতারণার চক্রে প্রধান কার্যালয় হিসেবে গড়ে উঠেছে।
গত ২০২২ সালের ২ জুলাই ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতি ছিলেন এশিয়া মানবাধিকার সংস্থার মহাসচিব নজরুল ইসলাম বাবলু, ভুক্তভোগী পরিবারের মধ্যে মো. আব্দুল গফুর, মো. আশরাফ আলী, মো. খলিলুর রহমান, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. আবু রায়হান প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য ভুক্তভোগী পরিবারগুলো বলেন, লামা ও বান্দরবান এলাকায় শহীদ আল বোখারীর ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনীর জিম্মি থেকে আমরা বাঁচতে ও নিরাপদ বসবাস করতে চাই। তার সন্ত্রাসী বাহিনীর কারণে রাতে ছেলেমেয়েদের নিয়ে নিরাপদে ঘুমাতে পারি না। এমতাবস্থায় সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। অভিযোগ করে তারা বলেন, শহীদ আল বোখারী নিজেকে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মের প্রধান প্রচারক বলে দাবি করেন। তিনি একজন মহাপ্রতারক ও ধর্ম বিদ্বেষী। তার বৈজ্ঞানিক কোয়ান্টাম মেডিটেশন একটি মহাপ্রতারণা। তাদের লামা কার্যক্রমের কারণে প্রশাসন ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে৷ তারা কাউকে তোয়াক্কা করে না। তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে বিভিন্ন মানুষদের ফাঁসিয়ে দেন।

ভুক্তভোগীরা বলেন, লামার ডলুছড়ী এলাকার কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের অফিসে প্রায় এক হাজার বেতনভুক্ত সন্ত্রাসী রয়েছে। যাকাতের টাকায় সুদের ব্যবসা হয় কীভাবে? কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের এত টাকা কোথা থেকে আসে? সরকার ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে তাদের আয়-ব্যয়ের খাত তদন্ত করার আরজি জানাচ্ছি।

কোয়ান্টাম এর সাথে কাজ করেন, ফাউন্ডেশনের অর্গানিয়ার (লামা) অ্যাডভোকেট আরিফুল ইসলাম। ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোটিভেশন এম রেজাউল হাসান।

কোয়ান্টাম লামায় রাবার বাগানের নামে স্থানীয় অধিবাসীদের উচ্ছেদ করেছে মামলা হামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। কোয়ান্টাম এর চেয়ারম্যান এর এতো টাকা পয়সা ও ক্যাডার বাহিনী আছে তা দিয়ে প্রশাসনের কতিপয় কর্মকর্তা, গণমাধ্যম কর্মী, মিডিয়া ও দেশের বড় বড় রাজনৈতিক নেতা, এমপি, মন্ত্রী ও ভিআইপি হাতে রাখতে পারে। মোদ্দাকথা হলো- কোয়ান্টাম এর বিরুদ্ধে কথা বলার মতো ও প্রতিবাদ করার মতো কেউ নেই।

কোয়ান্টাম এর অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের কপি

কোয়ান্টাম এর বিরুদ্ধে ভূমি দখল, নারী নির্যাতন ও অন্যায় অবিচারের অভিযোগে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের সাবেক অর্গানিয়ার (পরিচালক) আনোয়ার আল হক পদত্যাগ করেন।

কোয়ান্টাম কথিত এনজিও সম্পর্কে জানা যায়- কোয়ান্টাম মেথড একটি কথিত জীবন যাপনের বিজ্ঞান নামক প্রক্রিয়া যেখানে বিভিন্ন মোটিভেশনাল লেকচার, মেডিটেশন, যোগ ব্যায়াম, রাশিতত্ত্ব, সংখ্যাতত্ত্ব, অকাল্ট বিদ্যা, সম্মোহন বিদ্যাসহ নানা বিষয় সমূহ জড়িত। কোয়ান্টাম মেথড ও তার কার্যক্রম বাস্তবায়নের প্রতিষ্ঠান হচ্ছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। যা যোগ ফাউন্ডেশনের প্রাইভেট লিঃ এর একটি সিস্টার্ন কনসার্ন প্রতিষ্ঠান বা লেবাসধারী এনজিও যা সমাজসেবার নামে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং রাজস্ব ফাকি দিয়ে বিপুল পরিমান অর্থ হাসিল করছে। কার্যক্রম বাস্তবায়নে এবং অর্থ হাসিল করনে কোয়ান্টাম মেথড ও কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন ইসলাম ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। এছাড়াও সনাতন ধর্মের প্রাচীন ইতিহাস এর অংশ ধ্যান ও যোগ চর্চাকেও কর্পোরেট বিজনেসে রূপ দিয়েছে। তথাপি সব ধর্মের সার্বজনীন পীর বা ডিজিটাল পীর দ্বারা সর্বধর্ম সমন্বয়ক একটি ধর্ম ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও মেথড হচ্ছে কোয়ান্টাম।

যোগ ফাউন্ডেশন, কোয়ান্টাম মেথড, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন এই তিনটি জিনিসের আবিষ্কারক, নিয়ন্ত্রক ও পরিচালক হচ্ছে কুখ্যাত জ্যেতিষি-সাংবাদিক-অকাল্ট সাধক শহীদুল আলম দুলু সিকদার ওরফে শহীদ আল বোখারী ওরফে মহাজাতক ওরফে গুরুজী। মহাজাতক ও তার স্ত্রী নাহার বোখারী হলো যোগ ফাউন্ডেশন প্রাইভেট লিঃ এর মালিক। এই প্রতিষ্ঠানের আওতাতেই কোয়ান্টাম মেথড সহ নানা মেথড ও কার্যক্রম শুরু করে মহাজাতক। পরবর্তীতে রাজস্ব ও ভ্যাট ফাকি দিতে যোগ ফাউন্ডেশন ও কোয়ান্টাম মেথডকে পিছনে রেখে সামনে মূলা হিসেবে ঝুলিয়ে দেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন নামক এনজিও এর সাইনবোর্ড। সমাজসেবার নামে চালিয়ে দেন সাইনবোর্ডকে আর ইনকামের রাজস্ব বা ভ্যাট ফাকি দেয়া শুরু।

যোগ ফাউন্ডেশন, কোয়ান্টাম মেথড, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন এই তিনটি জিনিসের আবিষ্কারক, নিয়ন্ত্রক ও পরিচালক হচ্ছে কুখ্যাত জ্যেতিষি-সাংবাদিক-অকাল্ট সাধক শহীদুল আলম দুলু সিকদার ওরফে শহীদ আল বোখারী ওরফে মহাজাতক ওরফে গুরুজী

কোয়ান্টাম এর বিরুদ্ধে রয়েছে মারাত্মক ও ঘৃণ্য সব অভিযোগ। বেশ করে মসজিদ নির্মাণ ও দান এবং যাকাতের টাকা মেরে দেন বলেও অনেক অভিযোগ।

কোয়ান্টাম সম্পর্কে যেসব ঠিকানা ও নাম্বার তথ্য পাওয়া যায়-
কেন্দ্রীয় দফতর
৩১/ভি, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন সড়ক, শান্তিনগর, ঢাকা-১২১৭ (২য় তলা), ইস্টার্ন প্লাস মার্কেটের পাশে
+৮৮ ০২ ২২২২২১৪৪১, +৮৮ ০২ ৪৮৩১৯৩৭৭
+৮৮ ০১৭১৪ ৯৭৪৩৩৩
Webmaster@quantummethod.org.bd

কোয়ান্টাম নিয়ে রংপুর এর মেয়ে  Wahida Tonny মন্তব্য করেছেন, তার মন্তব্যটি হুবহু তুলে ধরা হয়েছে-

কোয়ান্টাম কি ইসলাম বিরোধী নয় ???
(পর্ব-০২)

১) মসজিদ নির্মাণের টাকা আত্মসাৎ

মসজিদের প্রতি গুরুত্ব এবং সম্মান বুঝাতে এগুলোকে “আল্লাহর ঘর” বলা হয়েছে । কেননা মসজিদ নির্মাণ করার উদ্দেশ্য হল, এক আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগি,‌ জিকির-আজকার, তাসবিহ-তাহলিল, দোয়া ও ইস্তিগফার, কুরআন তিলাওয়াত, কুরআনের জ্ঞান শিক্ষা এবং কেবল তাঁকে সেজদা করা ।
যেহেতু মসজিদ সমূহ পৃথিবীতে আল্লাহর ঘর সেহেতু আল্লাহর ঘর সমূহের সম্মান রক্ষা করা, তা হেফাজত করা এবং তার হক আদায় করা আমাদের জন্য অপরিহার্য।

আপনারা জানেন বান্দরবানের লামা উপজেলাতে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের বিশাল একটি সেন্টার রয়েছে । কয়েকশো একর জায়গার ওপর নির্মিত এই সেন্টারের নাম ” কোয়ান্টামম ” । আনুমানিক ২০০৩/০৪ সালের দিকে মহাজাতক ঘোষণা দেন যে এই সেন্টারে একটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নির্মাণ করা হবে । সেই উদ্দেশ্যে ২০০৫ সাল থেকে ওই মসজিদ নির্মাণের জন্য কোয়ান্টামের সদস্য(গ্রাজুয়েট ও প্রো-মাস্টার) এবং সাধারণ জনগণের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হচ্ছে । দুঃখের বিষয় যে সুদীর্ঘ ১৫ বছর পরেও কোয়ান্টামম-এ বহু আকাংখিত এই মসজিদের একটি পিলার পর্যন্ত নির্মিত হয় নাই ।
ছোট্ট একটি একতলা টিনের ঘরকে দুই দশক যাবত মসজিদ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ।

আপনারা অনেকেই জানেন যে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনে বিনা নোটিশে কর্মচারীদের চাকুরীচ্যুত করা খুব সাধারণ ঘটনা । এই চাকুরীচ্যুতির ঘটনাগুলো সাধারণত ঘটে থাকে যখন কর্মচারীরা কোয়ান্টামের বিভিন্ন অসংগতি নিয়ে প্রশ্ন করেন অথবা সত্য গোপন করে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানান ।

আমরা এই গ্রুপের পক্ষ থেকে যখন কোয়ান্টামের চাকুরীচ্যুত বেশ কয়েকজন প্রাক্তন কর্মকর্তার সাথে আলাপ করলাম তখন বেরিয়ে আসল ভয়ানক তথ্য । বিগত ১৫ বছরে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন মসজিদ নির্মাণ ফান্ডে সংগ্রহ করেছে প্রায় আট কোটি(!!!)টাকা । এই টাকা মহাজাতক ও তাঁর স্ত্রী এর ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্টে ফিক্সড ডিপোজিট করা এবং সেখান থেকে মোটা অংকের বাৎসরিক সুদ আসে । এছাড়াও যোগ ফাউন্ডেশন এবং কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন এর নামে খোলা বেশ কিছু ব্যংক হিসাবেও এই মসজিদ ফান্ডের টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করা আছে । জানা যায় এই ফিক্সড ডিপোজিট থেকে প্রাপ্ত সুদের অর্থে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন পরিচালনা ব্যায় নির্বাহ করা হয় এবং বিভিন্ন সময় খুব অল্প টাকায় লামাতে জমি ক্রয় করা হয়েছে।

একজন সাধারণ মানুষ যখন বাইরে থেকে সাদা চোখে কোয়ান্টামের কার্যক্রম দেখবে তখন তার মনে হবে যে কোয়ান্টাম মনে প্রাণে একটি ইসলামিক প্রতিষ্ঠান । তারা কোরআনের তফসির বিক্রি করে, হাদিসের কণিকা বিক্রি করে, কোয়ান্টামের চেয়ারম্যান মহাজাতক রাসূল(সাঃ) এর জীবনী নিয়ে গবেষণা করেন এবং ওয়ার্কশপ পরিচালনা করেন।সময় সময় কিছু আলেম ওলামাগণও কোয়ান্টামে এসে তাদের সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশংসাসূচক বাণী দিয়ে থাকেন ।

একটি বক্তব্য দিয়ে শেষ করতে চাই…..

ইসলামের প্রকৃত শত্রুরা কিন্ত সবসময় ইসলামের লেবাস ব্যবহার করে থাকে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য ।

মাজার পূজারীরা কিন্ত আল্লাহ/রাসূলের নামেই মাজারের ব্যবসা পরিচালনা করে ।

জংগী গোষ্ঠীরাও কিন্ত বিসমিল্লাহ বলে কালেমা পাঠ করে নিরীহ মানুষ হত্যা করে।

সুতরাং ইসলামের লেবাস নিয়ে ইসলামের বানী প্রচার করলেই কিন্ত একজন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান ইসলামিক হয়ে যায় না ।

সুদীর্ঘ দেড় দশক যাবত আল্লাহর ঘর মসজিদ নির্মাণের জন্য যে প্রতিষ্ঠান সাধারণ মানুষের ধর্মীয় আবেগকে পুঁজি করে কোটি কোটি টাকার ফান্ড সংগ্রহ করে সেটি ভিন্ন খাতে ব্যায় করে যাচ্ছে তাদেরকে ইসলামবিরোধী মুনাফিক বলাটা কি ভুল হবে ???

কখনোই না

নিঃসন্দেহে কোয়ান্টাম একটি ইসলামবিরোধী প্রতিষ্ঠান

নিঃসন্দেহে কোয়ান্টাম ভালোমানুষির আড়ালে একটি ঈমান বিধ্বংসী কুচক্র।

পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ কপি

কোয়ান্টাম সম্পর্কে জানা যায় আরো ভয়ঙ্কর সব তথ্য-

বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের ডলুছড়ি মৌজার আন্দারী জামালপুর গ্রামের দরিদ্র পুনঃবাসিত বাঙ্গালী বাসিন্দা রমজান আলীর বাগান ও মালিকানাধীন ৫ একর জায়গা এবং অপর দিকে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের নিকটবর্তী নুরুল আবছারের ১০ একর রাবার বাগান কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের প্রায় ৫০-৬০ জন লাটিয়াল বাহিনী ফয়সাল, আরিফ ও পারভেজ এর নেতৃত্বে জোরপূর্বক অবৈধভাবে জবর দখল, পাকা পিলার ও কাটা তারের ঘেরা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

দরিদ্র রমজান আলী ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করে জানান উক্ত জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। আদালতের আদেশের অপেক্ষায় না থেকে ঘটনার আগের দিন ভূমি আপীল ও সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সচিব পদ মর্যাদার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে কোয়ান্টামে এনে দাওয়াত খাওয়ানোর পর আমাদের ভয় দেখিয়ে আমার জমি লাটিয়াল বাহিনী দিয়ে জবর দখল করে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে বিচার দাবি করেন।

উল্লেখ্য, এভাবে প্রশাসনের অনেক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের নেতা, সাংবাদিক, ভি আই পি পারসনদেরকে কোয়ান্টাম দাওয়াত দিয়ে নিয়ে এসে ব্রেইনওয়াশ করে এবং অসাধু উপায়ে হাত করে নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগায় এবং নিজেদের অপকর্ম জায়েজ করে নেয়।

বাংলাদেশ রাবার বাগান মালিক সমিতির সহ-সভাপতি নুরুল আবছার ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি জানান করোনায় আক্রান্ত। উক্ত জায়গা নিয়ে আদালতে মামলা চলছে।  । হঠাৎ করে ভুমি আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যানকে এনে তাকে অসম্মান করার জন্য কোয়ান্টাম এসব ভূমি দস্যুতা ও অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, কোয়ান্টামের আন্ডারওয়ার্ল্ড স্পাই বাহিনী গোপনে বিশেষ কেমিক্যাল পানির সাথে খাইয়ে দিয়ে কোয়ান্টাম বিরোধী বা কোয়ান্টামের অপকর্মের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারে এমন অনককেই জ্বর, ঠান্ডা কাশি সহ করোনার উপসর্গ সৃষ্টি করে করোনা সাজিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেরে ফেলতেছে। এই জনাব নুরুল আবছারকে এই মুহূর্তে করোনা উপসর্গে অসুস্থ বানানো কোয়ান্টামের কারসাজি হতে পারে, যার ফলে উনার অনুপস্থিতিতে কোয়ান্টামের জমি দখলের প্রক্রিয়া সহজ হয়। এছাড়া বিশেষ সামুদ্রিক শেল টক্সিণ অথবা বেরিয়াম পানির সাথে মিশিয়ে শরীরে প্রবেশ করিয়ে কোয়ান্টাম বিরোধীদের হার্ট এটাক অথবা স্ট্রোক ঘটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগও পাওয়া গেছে কোয়ান্টামের বিরুদ্ধে।

আগের পোস্টকাউখালীতে ইউপিডিএফ নারী নেত্রীর ধর্ষণ মামলায় বাঙ্গালী যুবক ফেঁসে গেছে।
পরের পোস্টপার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের শিক্ষাবৃত্তির বৈষম্য সমাচার!

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন