কাউখালীতে ইউপিডিএফ নারী নেত্রীর ধর্ষণ মামলায় বাঙ্গালী যুবক ফেঁসে গেছে।

0

এনাম কাউখালী প্রতিনিধি-

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের ‘হিল উইমেন্স ফেডারেশন’ এর কাউখালী কমিটির এক নারী নেত্রী (১৭) কচুখালী ভাড়া বাসা থেকে নিজ বাড়ি কলমপতি ইউনিয়নের মাঝেরপাড়া যাওয়ার পথিমধ্যে ধর্ষণ হয়েছে মর্মে কাউখালী থানায় ধর্ষণ আইনে মামলা করে। এই মামলায় ফেঁসে গেছে এক বাঙ্গালী যুবক। মামলার আসামী বাঙ্গালী যুবক উপজেলার একই ইউনিয়নের মধ্যমনাইল্যাছড়ি ৫নং ওয়ার্ডের মো. আশরাফুল উল্ল্যার পুত্র মো. শামিম (৩০)।

সূত্রে জানা যায়, ইউপিডিএফ নেত্রী কাউখালী সরকারি ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী৷ সে কচুখালী ভাড়া বাসায় থেকে পড়াশোনা করার পাশাপাশি ইউপিডিএফ এর প্রলোভনে পড়ে হিল উইমেন্স ফেডারেশন নামক নারী সংগঠন যোগদান করে সেনাবাহিনী, বাঙালি ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশ নিত। গত ৩১ ডিসেম্বর পোয়াপাড়া নাইল্যাছড়ি সড়কে ইউপিডিএফ নেত্রীর সঙ্গে দেখা হয় বাঙ্গালী যুবক শামীমের। তারা একে অপরের পূর্ব পরিচিতা। শামীমের কাউখালী গরু বাজার এলাকায় ফুলের দোকান রয়েছে। শামীম ডেকোরেশন এর কাপড় ভর্তি একটি ব্যাগ নিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে একই সড়ক দিয়ে যাওয়ার পথিমধ্যে কলেজ ছাত্রী ইউপিডিএফ নেত্রীর সঙ্গে দেখা হয়। তারা দুইজন রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলছিল। এসময় পোয়াপাড়া এলাকার সাদ্দাম হোসেন নামে এক বখাটে বাঙ্গালী যুবক তাদেরকে দেখে ব্ল্যাকমেল করার চেষ্টা করে৷ এবং সেই ফোন দিয়ে পোয়াপাড়া যুব সমাজের চাকমা ছেলেদের ডেকে এনে ছেলেমেয়েকে বেধড়ক মারধর করে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে৷ তারা টাকা দিতে না পারায় তাদের আটক করে পোয়াপাড়ার মহিলা মেম্বার স্মৃতি দেবী চাকমার বাসায় নিয়ে বন্দি করা হয়৷ সেখানে উশৃংখল পাহাড়ি যুবকরা, শামীম থেকে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ তাকে মারধর করে স্বীকারোক্তি নেওয়ার চেষ্টা করে। এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে পাহাড়ি বাঙ্গালী সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। খবর পেয়ে কাউখালী সেনা ক্যাম্প থেকে একটি সেনাটহল মেম্বার স্মৃতি দেবীর বাসায় যান৷ সেখান থেকে আটককৃত ছেলে-মেয়ের জবানবন্দি গ্রহণ করেন। সেখানে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে মেয়ে (মামলার ভিকটিম) জানিয়েছে ছেলেকে ব্ল্যাকমেল করার জন্য পোয়াপাড়ার পাহাড়ি যুবকরা ও ইউপিডিএফ এর এক নারীনেত্রী (এনজিও কর্মী) সহ বাঙ্গালী বখাটে যুবক সাদ্দাম এর নেতৃত্বে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তির জন্য টর্চার করা হয়। এখানে ধর্ষণের মতো কোন ঘটনা ঘটেনি। তারা স্রেফ দাঁড়িয়ে কথা বলেছে শুধুমাত্র। কিন্তু এখন তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে এধরণের কথা বলার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। তার কোন ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই। তাকে অভিযোগ করার জন্য এবং টাকা আদায় করার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে!

দাবিকৃত টাকা না দেওয়ার কারণে পোয়াপাড়া এলাকার বখাটে যুবক সাদ্দাম হোসেনের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ধর্ষণ মামলায় জেল হাজতে নাইল্যাছড়ির বাঙ্গালী যুবক শামীম

আইন শৃঙ্খলা অবনতি হতে পারে তাই সেনাবাহিনী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে দ্রুত ছেলেমেয়েসহ সাথে পাড়ার কার্বারী ও মহিলা মেম্বারকে নিয়ে থানায় হস্তান্তর করেন। সূত্রে জানা যায় ছেলের স্ত্রী সন্তান রয়েছে ছেলে বিবাহিত। ছেলে পক্ষ ও মেয়ে পক্ষ এক পর্যায়ে মামলা না করে থানায় ৩০ হাজার টাকার মাধ্যমে ঘটনাটি সমঝোতার সিদ্ধান্ত নেন। ৩০ হাজার টাকার মধ্যে ২০ হাজার টাকা পোয়াপাড়া পাহাড়ি যুব সমাজকে অথাৎ যারা আটক করেছে টাকা খাওয়ার জন্য তাদেরকে দিতে হবে এবং ধর্ষণের তকমা পাওয়া ইউপিডিএফ নারী নেত্রী কলেজ ছাত্রী পাবে শুধুমাত্র ১০ হাজার টাকা! পরবর্তীতে আঞ্চলিক সন্ত্রাসী দল ইউপিডিএফ এর চাপের মুখে এবং ভিকটিমের বয়স ১৭ হওয়ার কারণে আপোষ না করে মামলার দিকে গড়িয়েছে। রাত্রে থানায় দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় আলোচনা হয় বিষয়টি মামলায় না গিয়ে সমাধান করার কিন্তু এক অদৃশ্য শক্তির ইন্ধনে শেষ পর্যন্ত মামলা পর্যন্ত গড়ায় এবং ছেলেটি ফেঁসে যায়। থানায় ভিকটিমকে একনজর দেখতে এবং বাঙ্গালী যুবককে ফাঁসিয়ে দিতে মগজধোলায় আয়োজন করে ইউপিডিএফ ও তার সহযোগী অঙ্গসংগঠন হিল উইমেন্স ফেডারেশন৷ ইউপিডিএফ নারী নেত্রীদের থানায় গিয়ে ভিকটিমের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়।

পোয়াপাড়া এলাকার স্থানীয় বাঙ্গালী ও পাহাড়িরা জানায়, বখাটে বাঙ্গালী যুবক সাদ্দাম এর ব্ল্যাকমেল করার ধান্দা ও পাহাড়ি যুব সমাজের উশৃংখল যুবকদের কারণে শামীম ধর্ষণ মামলা ফেঁসে গেছে৷ ইউপিডিএফ তো সবসময় বাঙ্গালী ও সেনাবাহিনীকে ধর্ষক বানাতে তৎপর থাকে এবং অপপ্রচার করতে উৎপেতে থাকে। সুতরাং তারা এমন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার সুযোগ কী কোনভাবেই হাত ছাড়া করতে পারে?

কাউখালীর দায়িত্বশীল নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, সেনাবাহিনী গিয়ে যদি ছেলেমেয়েকে উদ্ধার না করতো তাহলে পাহাড়ি যুব সমাজ ছেলেমেয়েকে প্রচুর মারধর করত। বিচারের নামে ছেলে মেয়ে উভয়ের থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিত। তারা এই ধান্দা সবসময় করে থাকে। তারা বিচার শেষে পাহাড়ি মেয়েটিকে নিলামে তুলত৷ মদ খেয়ে রাতভরে সবাই তাকে গণধর্ষণ করত। পাহাড়ি সমাজে যেসব পাহাড়ি মেয়েরা বাঙ্গালীর সঙ্গে কথা বলে বা সম্পর্ক করে তাদের জন্য কঠিন শাস্তি নিলামে তোলা এবং গণধর্ষণ করা। অনেক পাহাড়ি মেয়েকে তারা বাঙ্গালীর সঙ্গে সম্পর্কের ধুয়ো তুলে গণধর্ষণ পূর্বক হত্যা করেছে। পরবর্তীতে বাঙ্গালি ও সেনাবাহিনীকে দায়ী করেছে। এখানে আরো একটি কল্পনা চাকমা অপহরণ ইস্যু থেকে হত। এটাকে পুঁজি করে বাঙ্গালী ও সেনা হটানোর আন্দোলন হত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাঙ্গালী জানান, পাহাড়ি নারীরা বাঙ্গালী পুরুষদের প্রতি অতি দুর্বল। তার কারণ, কর্মহীন, মদ-গাঁজা খোর পাহাড়ি ছেলেদের চেয়ে দিনমজুর বাঙ্গালী যুবকদের জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে পাহাড়ি মেয়েরা মুখিয়ে থাকে। আর ইউপিডিএফ প্রতিনিয়ত মানবাধিকার এর বুলি বললেও তারা মূলত পাহাড়ি নারীদের ভোগ্যপণ্য হিসেবে ব্যবহার করে৷ নারীদের জোরপূর্বক সংগঠন হিল উইমেন্স ফেডারেশন করতে বাধ্য করে এবং তাদের বিবাহ দিতে বাধাপ্রদানসহ স্বাধীনতা হরণ করে। তাই নিরুপায় হয়ে পাহাড়ি নারীরা বাঙালি যুবকদের দিকে ঝুঁকছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More