সাম্প্রতিক বান্দরবান রুমা ও থানচির ব্যাংকে হামলার ঘটনা দেশব্যাপী আলোচিত-সমালোচিত হচ্ছে। কুকি-চিন জনগোষ্ঠী ভুক্ত বম কেএনএফ সন্ত্রাসীরা রুমায় সোনালী ব্যাংকে লুটপাটের চেষ্টা চালালে তাৎক্ষণিক সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে অস্ত্রের মুখে ম্যানেজার নিজাম উদ্দনিকে তুলে নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, প্রথমে তারা ব্যাংকে ঢুকে বিভিন্ন পয়েন্টে তালা ভাঙতে থাকে কিন্তু কোন টাকা না পেয়ে ভল্টের চাবি চায় ম্যানেজারের কাছে। তিনি দিতে অস্বীকার জানালে তারা তাকে মারধর করে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে দাড় করিয়ে রাখে এবং ভল্টের লক ভাঙতে থাকে। ভল্টের লক ভাঙ্গার সময় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সব কিছু ফেলে রেখে ম্যানেজারকে জিম্মি করে বেশ কিছু ফাঁকা গুলি ছুড়ে দ্রুত বাজার ত্যাগ করে দুর্বৃত্তরা।
কেএনএফ ডাকাতি করার সময় নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা অসহায় অবস্থায় ছিল এবং সন্ত্রাসীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছিল। এক পর্যায় তাদের অস্ত্রসহ সবকিছু লুট করে নিয়ে যায় কে এন এফ। সেনাবাহিনীর মতো তারা বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত বা দক্ষতা সম্পূর্ণ বাহিনী নয়। তাদের পাহাড়ে বিচ্ছিন্নতাবাদ বা এমন পরিস্থিতি মোকাবেলা করার মতো অভিজ্ঞতা এবং সক্ষমতা ছিল না। পার্বত্য চট্টগ্রামে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যাপকহারে সেনা মোতায়েন করা আবশ্যক হয়ে পড়েছে। সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হলে সময়ের ব্যবধানে জনগণ ধিক্কার জানাবে।