কেএনএফ মসজিদের পবিত্রতা অবমাননা করে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে!

0

পবিত্র রমজান মাস, সারাদেশের মানুষের ন্যায় পাহাড়ের মুসলিম সম্প্রদায়ও ধর্ম পালনে নিয়োজিত। বলছিলাম সাম্প্রতিক সময়ে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী হামলা করে ব্যাংক ডাকাতি করাসহ মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা প্রসঙ্গে। গত মঙ্গলবার (২ মার্চ ২০২৪) বান্দরবান রুমা উপজেলার মুসলিম সম্প্রদায় রাত্রে তারাবির নামাজে সেজদারত৷ এমতাবস্থায় পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীগোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) অতর্কিতভাবে মুসলমানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয়স্থান মসজিদের পবিত্রতা অবমাননা করেন! কেএনএফ অপবিত্র অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করেন; নামাজে সেজদারত মুসল্লীদের উপর আক্রমণ করেন, মারধর করেন, মোবাইল ফোন ও টাকা কেড়ে নেন; নামাজরত সোনালী ব্যাংক রুমা শাখার ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে টেনেহিঁচড়ে ব্যাংকে নিয়ে যান ব্যাংক ডাকাতি করতে; সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে কলাকৌশলের ব্যর্থতায় ব্যাংকের টাকা নিতে না পারলে ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করে নিয়ে যান কেএনএফ। পাহাড়ে অনেক সংগঠন এবং জাতিগোষ্ঠী আছে, তাদের কাউকে কখনো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানতে দেখা যায়নি। দুর্বৃত্ত, সন্ত্রাসী, ডাকাত কেএনএফ কিন্তু নিজেদের কুৎসিত ও বিকৃত পরিচয় তুলে ধরেছেন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আক্রমণের মধ্য দিয়ে।

বাংলাদেশ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ হলেও এদেশে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্ম পালনে বিধিনিষেধ নেই৷ সকল ধর্মের মানুষ যার যার স্বাধীনতা অনুযায়ী ধর্ম পালন করতে পারছেন। দুঃখজনক ও পরিতাপের বিষয় যে, সন্ত্রাসী হিসেবে গর্জে ওঠা কেএনএফ মুসলমানদের পবিত্র ঘর মসজিদ ঘেরাও করেছেন এবং অপবিত্র অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। যা ধর্ম অবমাননার সামিল। ধর্মীয় অনুভূতি ও মূল্যবোধে আঘাত করে এ রকম যে কোনো কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে মুসলমানদের প্রতিবাদ করা উচিত।

খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী কেএনএফ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার এই দুঃসাহস দেখিয়ে সমস্ত মুসলিম সম্প্রদায়ের কলিজায় আঘাত করেছে।
কুকি ভুক্ত বম কেএনএফ যে, মুসলিম তথা ইসলাম বিরোধী তার জ্বলন্ত উদাহরণ মসজিদ অবমাননা।

কেএনএফ এর অতীত ইতিহাস খুবই জঘন্য। তারা একটি বিশ্বাসঘাতক, অকৃতজ্ঞ, হিংস্র, উগ্র এবং বৈরী আচরণকারী গোষ্ঠী৷ ডাকাতি, চুরি, রাহাজানি ও অরাজকতা তাদের মূল পেশা। সল্প সময়ে রুমা ও থানচির ব্যাংক ডাকাতি এবং মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার ঘটনাই বলে দেয় তারা পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি চায়না৷ সরকার তাদের দাবিদাওয়া মোতাবেক শান্তির পথে ফেরাতে উদ্যোগ নিলেও তারা অশান্তির বীজ বপন করেছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More