||বান্দরবান প্রতিনিধি||
পার্বত্য বান্দরবান জেলার রুমা ও থানচির সোনালী ও কৃষি ব্যাংক ডাকাতি এবং নিরাপত্তার দ্বায়িত্বরত পুলিশ ও আনসারের অস্ত্রলুটের নেওয়ার বহুল আলোচিত-সমালোচিত ঘটনায় জড়িত পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীগোষ্ঠী কেএনএফ’র বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী রোববার (৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত্রে সফল অভিযান পরিচালনা করেন।
গত ২ এপ্রিল ও ৩ এপ্রিল পরপর ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্রলুট, সাধারণ মানুষ জিম্মি ও হামলার ঘটনার পর রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়িসহ বান্দরবান জেলার অধিকাংশ এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে কেএনএফ সন্ত্রাসীদের হামলার ভয় ও আতঙ্ক কাজ করেছিল। এসময় মানুষদের নিরাপত্তা প্রদানসহ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বস্ত করেছিলো সেনাবাহিনী। এবং গতকাল ৭ এপ্রিল সেনাপ্রধান উক্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে সেনাবাহিনীকে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। তারই ধারাবাহিকতায় রবিবার দিবাগত রাত্রে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের অধীনস্থ বান্দরবান ৬৯ পদাতিক বিগ্রেডের আওতাধীন রুমা জোনের সেনাবাহিনী বিশেষ এই সফল অভিযান পরিচালনা করেন।
ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্রলুট কাণ্ডে জড়িত কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)-এর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং রাষ্ট্র বিরোধী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। রুমার বেথেল পাড়া থেকে দুইজন কেএনএফ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র, ২০ রাউন্ড গুলি এবং ব্যবহৃত সরঞ্জাম-ল্যাপটপ, ইউনিফর্ম ও বুট উদ্ধার করা হয়েছে। ডাকাতি কাণ্ডে সম্পৃক্ততা থাকায় সোনালী ব্যাংকের সহকারী ক্যাশিয়ার লালচিয়াম বম কে আটক করেছে সেনাবাহিনী। এই নিয়ে মোট ৩জনকে সেনাবাহিনী অভিযানে আটক করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রুমা উপজেলার সেনাবাহিনী জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল কে. এম আরাফাত আমীন।
কেএনএফ এর হামলার পর থেকে স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে ভয়ভীতি কাজ করেছিলো, সেনাবাহিনীর এই সফল অভিযানের সংবাদে তার শঙ্কা ও আতঙ্ক অনেকটা কেটে গেছে। জননিরাপত্তার পাশাপাশি শান্তি- সম্প্রীতি রক্ষায় সেনাবাহিনীর এই সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।