ধর্মঘট বাস্তবায়নে ইউপিডিএফ কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে ব্যবহার!

0

খাগড়াছড়ি জেলায় আগামী ১১ ফেব্রুয়ারী ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ প্রসিত) ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। জেলা জুড়ে ধর্মঘট বাস্তবায়ন করতে শিশুকিশোর শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের পাঠদান বাদ দিয়েই সড়কে নামিয়ে দিয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলায় দুই সাপ্তাহ ধরে পাঠদান বন্ধ রেখে ইউপিডিএফ এমনটা করছে। ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষা! এমন সময় পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনা বাদ দিয়ে প্রশাসন ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষায় ব্যানার ফেস্টুন ধরিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা সড়কে নামিয়ে তথাকথিত প্রতিবাদের নামে তাদের ভবিষ্যত জীবন নষ্ট করার প্রচেষ্টা সত্যি বিস্ময়কর। ৬ বছর থেকে ১৫/১৬ বছরের শিশুকিশোর শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বা সংগ্রাম কিংবা ধর্মঘট সম্পর্কে কতটুকু বুঝার জ্ঞান বোধ বিকাশ হয়েছে? তারা কলেজ ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যবহার করছে সেটা প্রচলিত নিয়মে মেনে নিলাম কিন্তু প্রাইমারি ও হাইস্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ব্যবহার কতটুকু আইন বা যুক্তিসঙ্গত? ইউপিডিএফ প্রতিষ্ঠার পর থেকে অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করছে! এটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারেনা। এই বয়সের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেনাবাহিনী, বাঙ্গালী ও রাষ্ট্র সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার মাধ্যমে ঘৃণা বিদ্বেষমূলক গিলানোটা হীন উদ্দেশ্য নিঃসন্দেহে বলা যায়। অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করায় অভিভাবকসহ সচেতন মহল বিষয়টির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। শিশুদের ভবিষ্যত নিয়ে তারা শঙ্কিত।

চাঁদাবাজির টাকা ভাগাভাগি, আভ্যন্তরীণ কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গতবছরের ১১ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার অনিলপাড়ায় ইউপিডিএফ সহযোগী অঙ্গসংগঠনের বিপুল চাকমা, সুনীল ত্রিপুরা, লিটন চাকমা ও রুহিন ত্রিপুরা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়।
হত্যাকাণ্ডে শিকার হওয়া ব্যক্তিরা একাধিক মামলার আসামী ছিলো। এই চার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ধর্মঘট বাস্তবায়ন করতে প্রচার-প্রচারণার অংশ হিসেবে জেলার পানছড়ি, দীঘিনালা, রামগড়, লক্ষ্মীছড়ি ও গুইমারা উপজেলার প্রাইমারি হাইস্কুল পর্যায়ের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলের পাঠদান বন্ধ করে রাস্তায় নামিয়েছে। এর মধ্যে পানছড়ি উপজেলা ও খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ইউপিডিএফ অধ্যুষিত এলাকার স্কুলগুলো উল্লেখযোগ্য।

প্রাইমারি, হাইস্কুলের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী ও কলেজের পাঠদান বন্ধ করে যতত্রত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যবহার বন্ধ করতে হবে, এবং তাদেরকে রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যের কর্মসূচীতে অংশ নেওয়া থেকে বিরত রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সচেতন হতে হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More