গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই সন্ত্রাসীরা পাহাড়ে জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের কাজে বাধা দিচ্ছে।

0

পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে ষড়যন্ত্র সে দেশ স্বাধীন হওয়ার আগ থেকে। তারই ধারাবাহিকতায় পার্বত্য চট্টগ্রামে রাষ্ট্রের উন্নয়নমূলক সবধরনের কাজে বাধা সৃষ্টি করছে উপজাতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীরা।

দুঃখজনক যে, বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীরা চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুন-গুম করার পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র নিয়ে রাষ্ট্র বিরোধিতায় লিপ্ত। সন্ত্রাসীরা আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে সমগ্র পার্বত্যকে তাদের স্বর্গরাজ্য হিসেবে ব্যবহার করছে। পাহাড়ে বর্তমান ৪টি সন্ত্রাসী গ্রুপ প্রতিবেশি রাষ্ট্র হতে প্রশিক্ষণ ও আধুনিক অস্ত্র নিয়ে বিদ্যমান। এসকল সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে আলাদা Jummaland নামক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য গোপনে প্রকাশ্যে কাজ করে যাচ্ছে৷ তাদের সহযোগিতা করছে এদেশীয় ষড়যন্ত্রকারী সহ আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী। বাংলাদেশের এক-দশমাংশ পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করে এ অঞ্চলকে খ্রিস্টান রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করছে৷ কয়েকটি এনজিও, দাতা সংস্থা ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী অর্থ যোগান দিচ্ছে সন্ত্রাসীদের৷ সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রামকে খ্রিষ্টান মিশনারিরা তাদের ধর্ম প্রচার করতে ব্যবহার করছে৷ অন্য দিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম হতে সেনাবাহিনী, বাঙ্গালী সহ রাষ্ট্রের পক্ষের মানুষদের বিতাড়িত করতে সন্ত্রাসী হামলা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুৎসা অপপ্রচার রটিয়ে দিচ্ছে সন্ত্রাসীরাই৷

পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার যখন মানুষের জীবনযাত্রায় মানোন্নয়নে রাস্তাঘাট, স্কুল কলেজ ও হাসপাতাল সহ নানান প্রকল্প হাতে নেয় তখনই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তা বন্ধ করতে অপপ্রচার ছড়িয়ে দেয়! সন্ত্রাসীরা পাহাড়ে উন্নয়নমূলক কোন কাজ চাইনা। তারা চাই পার্বত্য চট্টগ্রামকে সন্ত্রাসের রাজ্য বানাতে এবং এ অঞ্চল হতে সেনাবাহিনী ও বাঙ্গালী বিতাড়িত করতে। সেজন্য তারা পাহাড়ে বাঙ্গালীদের উপর হামলা-মামলা, হত্যাযজ্ঞ সহ নির্যাতন নিপীড়ন অব্যাহত রেখেছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের নির্যাতনে অসহ্য হয়ে আজ নিজেদের ভবিষ্যত অন্ধকারে ধাবিত করেছে৷ পাহাড় যদি উন্নত হয় এখানকার মানুষের জীবনমান কর্মস্থান সৃষ্টি হয় তখন মানুষের সমাগম হবে তাতে সন্ত্রাসীদের তৎপরতা সহ সাংগঠনিক কাজ পরিচালনা করতে বাধা সৃষ্টি হবে। তারজন্য সন্ত্রাসীরা রাষ্ট্রের উন্নয়নমূলক কাজের বিরোধিতা করছে।

অতিবিলম্বে সরকারের উচিত পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প বৃদ্ধি করে অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে চিরুনী অভিযান পরিচালনা করে তাদের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া। সরকার যদি যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বর্থ্য হয় ভবিষ্যতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা ষড়যন্ত্রকারীদের সহযোগিতায় ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব তিমুর কিংবা দক্ষিণ সুদানের মত খ্রিস্টান রাষ্ট্র গঠন হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে সরকার সহ রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণী মহলের যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রয়োজন। প্রশাসনের কিছু কতিপয় উদাসীন আমলা সহ কিছু ব্যক্তি মহল সন্ত্রাসীদের এজেন্ডা হয়ে কাজ করছে। সরকারের উচিত তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া। ঘরের শত্রু সবচেয়ে বড় সমস্যা। বাংলাদেশের তথাকথিত বুদ্ধিজীবি, কতিপয় জ্ঞানপাপী ও বিশিষ্ট জন সহ একটি মহল সবসময় উপজাতী সন্ত্রাসীদের পক্ষে সোচ্চার। পাহাড়ে প্রতিবছর হাজার কোটি টাকা সাধারণ মানুষ থেকে অবৈধ অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা আদায় করে। আর এই টাকা সন্ত্রাসী অস্ত্র কেনা, নিজেদের শীর্ষ পর্যায়ে ভাগবাটোয়ারা করে নেওয়া সহ চাঁদাবাজির টাকার একটি অংশ তথাকথিত গণমাধ্যম সহ উল্লেখিত ব্যক্তির হাতে যায়৷ তার জন্য তারা সন্ত্রাসীদের পক্ষে সোচ্চার হয়েছে।

উপজাতীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গুলো এখানে সাধারণ মানুষের উপর গণহত্যা পরিচালনা করছে। 1997- 2 December সরকারের সঙ্গে উপজাতীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সন্তু লারমা গ্রুপ (PCJSS) পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সম্পাদিত করে। দুঃখজনক যে সরকার থেকে উক্ত চুক্তির মাধ্যমে সন্ত্রাসীরা অনেক সুযোগ সুবিধা পেয়েছেন। যা রাষ্ট্রের অন্যান্য নাগরিকরা পাননি! অথচ উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর জীবনমান পরিবর্তন করার মত বিশাল সুযোগ সুবিধা রাষ্ট্র নিশ্চিত করেছে৷ তবুও ষড়যন্ত্রকারীদের ইন্ধনে সন্ত্রাসী চুক্তির মৌলিক শর্ত লঙ্ঘন করে এখনো অবৈধ অস্ত্র নিয়ে বিদ্যমান রয়েছে! সরকারের নিকট সম্পূর্ণ অস্ত্র আত্মসমর্পণ করেনি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। চুক্তির দ্বিতীয় পক্ষ PCJSS সভাপতি খোদ Shontu Larma বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক শামীম বিনতে কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেন আমাদের এখনো কয়েকশো অস্ত্র ধারী রয়েছে। আমরা সম্পূর্ণ অস্ত্র জমা দিইনি পার্বত্য চুক্তির সময়ে। Shontu Larmar স্বীকারোক্তি হতে প্রমাণিত যে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি নিয়ে সন্ত্রাসীরা ভাঁওতাবাজি করেছে।

জেএসএস কে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি লঙ্ঘনে অভিযুক্ত করে মামলা করা প্রযোজন। আর চুক্তির বিরোধিতা করার সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ কে আইনের আওতায়ই নিয়ে আসা হোক। এ অঞ্চল হতে অবৈধ অস্ত্রধারী নির্মূল করতে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প বৃদ্ধি করা হোক।

আগের পোস্টহৃদয় নিংড়ানো আত্মচিৎকারেও পাহাড়ী সন্ত্রাসী-উগ্রবাদীদের মন গলেনি!
পরের পোস্টপাভেল পার্থ নামের কথিত লেখক চিম্বুক পাহাড়ে ৫ তারকা হোটেল নির্মাণ নিয়ে খোড়া যুক্তি দিয়েছেন!

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন