শাহাদাত হোসেন রাজিব
সভ্যতার যুগে এসেও পাহাড়ের উপজাতি নারীরা স্বজাতির সন্ত্রাসী কর্তৃক মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের শিকার হচ্ছে! যা এক প্রকার বলতে গেলে নারীর প্রতি কর্তৃত্ব বিস্তার করার শামিল।
পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা স্বজাতি নারীদের যুগের পরপর যুক্ত ভোগ্যপণ্য হিসেবে পেতে নানান নির্যাতন করে থাকে। আর যখন কোন উপজাতি নারী বাঙ্গালী পুরুষদের সঙ্গে কথা বলে বা সম্পর্ক স্থাপন করে সে নারীকে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা গণধর্ষণ পূর্বক হত্যা করে। এমনকি সে নারীর পরিবারকে সামাজিক ভাবে বয়কট পর্যন্ত করে। ভিডিও’তে থাকা চাকমা নারীটিকে বাঙ্গালীর সাথে সম্পর্কের জের ধরে তাকে রাতভর আটক করে গণধর্ষণ করে! এমনকি মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনও করে। একটি মেয়েকে এভাবে অশালীন প্রশ্নকরে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে, এটা কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না সভ্য সমাজে। অশালীন কথাবার্তার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিয়েছে! একজন নারীকে কিভাবে অপদস্ত করা হচ্ছে, তা চাকমা বুঝা যারা বুঝেন কেবলমাত্র তারাই ভালো বুঝবেন।
এদেশের তথাকথিত নারী নেত্রী ও সুশীলরা এখন কোথায়? পাহাড়ে যে একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে তা নিয়ে তাদের নীরবতা কেন? অথচ এ তথাকথিত নারী নেত্রী ও সুশীলরাই অনেক সময় পাহাড়ের যে কোন ঘটনা তা নিয়ে চুল ছেঁড়া বিশ্লেষণ করে থাকেন! দুঃখজনক যে আজ তারা মুখে কুলুপ এঁটে আছেন!
উপজাতীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নারী নির্যাতন ও নারীর প্রতি সহিংসতা হলুদ সাংবাদিকতার কারণেই মূলত দামাচাপা পড়ে-ই যাচ্ছে। তার ভিতরে অনেক গুলো রহস্যময় কারণও রয়েছে। সারাদেশের নারী নির্যাতনের কিছুটা ওঠে আসলেও দুঃখজনক যে, পাহাড়ের নারী নির্যাতন গুলো সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউ প্রকাশ করছে না। এভাবে সন্ত্রাসীদের অনেক অপকর্ম দামাচাপা পড়ে যাচ্ছে।