ফাইভ স্টার হোটেল নির্মাণ বন্ধ করতে লংমার্চে যোগ দিতে নিরীহ ম্রোদের বাধ্য করেছে জেএসএস।

0

||অপূর্ব সুচিং, পার্বত্য চট্টগ্রাম||

স্বাধীন দেশের টেকসই উন্নয়নের পথে প্রধান বাধা পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দেয়া অসহায় ম্রো সম্প্রদায়।
বিভিন্ন সুত্র তথ্যে জানা যায়, পাহাড়ে বসবাসরত বিভিন্ন জনসাধারণ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নকে স্বাগত জানিয়ে সরকারকে ধন্যবাদ জানায় সর্বদা।
কিন্তু বর্তমান সময়ে তারা পাহাড়ি সন্ত্রাসী জে এস এস ইউপিডিএফের হাতে জিম্মি অবস্থায় রয়েছে। তাদের বাধ্য করছে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের বিরোদ্ধে অবস্থান নিতে। যারা নেবেনা তাদের মারধর সহ বিভিন্ন প্রকার অত্যচার নির্যাতন করা হচ্ছে।

এভাবে পাহাড় জনপদে বিভিন্ন উন্নয়নে তারা বাধা প্রদান করে যাচ্ছে। একান্ত তথ্য সুত্রে জানতে পারি,
বর্তমান চিম্বুক পাহাড়ের উন্নয়ন প্রকল্প ব্যহত করতে জে এস এস ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কয়েক যুবককে লোভ দেখিয়ে বা অথের্র বিনিময়ে উন্নয়নের বিরোদ্ধে লংমার্চ করিয়েছে। যা দেশ ও জাতির জন্য লজ্জাকর একটি বিষয়।

যেখানে উন্নয়নে সরকারকে ধন্যবাদ দেবে সেখানে বাধা!!! এটি সাধারণ জনতার বুঝতে আর বাকী রইলনা তারা যে একটি দেশদ্রোহী চক্র। চলমান চিম্বুক পাহাড়ের ফাইভস্টার হোটেল নির্মাণে তাদের বাধা অন্যতম একটি কারণ।
এর পিছনে বৃহৎ একটি চক্র কাজ করছে, যারা পাহাড়ের বিভিন্ন উন্নয়ন সহ রাঙ্গামাটি বিশ্ববিদ্যালয় করার ক্ষেত্রে বাধা প্রদান করেছিল এবং একজনকে খুন করেছিল। পক্ষান্তরে তারাই আবার সেখানে ৮৫% হারে চাকুরির সুবিধা ভোগ করে যাচ্ছে। কি আজব !!! এরা বিভিন্ন সময় পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন উন্নয়নের বাধা প্রদান করার কারণ হলো তারা পার্বত্য চট্টগ্রামকে একটি আলাদা রাষ্ট্র বানাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সরকার যদি সেখোনে বিভিন্ন উন্নয়নের কাজ করে তাহলে তাদের বিভিন্ন গোপন রহস্য ফাসঁ ও পরিকল্পণা বেস্তে যাবে। তাই তারা সকল জনসাধারণকে উপেক্ষা করে মুষ্টিমেয় কয়েকজন ধান্ধাবাজ এ উন্নয়ন মুলক কাজের প্রতিবন্ধকতা করার চেষ্টা করছে। মুলত এরা রাষ্ট্রদ্রোহী ভয়ংকর সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ। কিন্তু সাধারণ জনগনকে ভুল বুঝিয়ে তারা এদের দিয়ে আন্দোলন করাচ্ছে। কিছুদিন পূর্বে বর্তমান আন্দোলনরত সকলেই এই উন্নয়নের কথা শুনে খুশিতে আত্মোহারা ছিল। এবং সরকারকে ও সেনাবাহিনীকে অনেক ধন্যবাদ জানিয়েছিল। এবং প্রথম প্রথম অডিট করতে যাওয়া সকল লোকজনদের বিভিন্নভাবে আপ্যায়ন করেছিল। হঠাৎ আজ কেন এর বিরোদ্ধে অবস্থান তাদের? এর কারণ হলো জান বাচাতে আজ বাধ্য হয়ে এর বিরোধিতা করতে হচ্ছে জে এসএস সন্ত্রাসীদের ভয়ের কারণে। অসহায় এই জনসাধারণ আজ সন্ত্রাসীদের বলির পাঠা হয়েছে।

আর এখন যদি
এদের চাহিদামত চাঁদা প্রদান করা হয়, আর কোন ইস্যু বা বাধা থাকেনা। এদের থেকে দেশ ও জাতি পরিত্রাণ চায়। এবং রাষ্ট্রীয় কাজে বাধা প্রদানের জন্য তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। আর যে সকল যুবকদের তারা ব্যবহার করছে তাদের রাষ্ট্রীয় কাজে বাধা প্রদানের জন্য আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
আর তাদের সাথে যারা সহযোগিতা করছে তাদের কে সতর্ক বার্তা দিলাম তোমরা দেশ ও জাতির বিবাদ ও বিরোধ কাজের জন্য লজ্জায় মুখ ডাকা উচিত। বিশালবনজ সম্পদ উজারে তাদের মাথাব্যাথা নেই , উন্নয়নে তাদের এত মাথাব্যাথা কেন?

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More