উন্নয়নের বিরোধিতা করলেও উন্নয়নের ফলাফল ভোগ করতে মরিয়া পাহাড়ের উপজাতিরা!

0

|তাপস কুমার পাল, পার্বত্য চট্টগ্রাম|

পাহাড়ের উপজাতি ছাড়া পৃথিবীর ইতিহাসে এমন কোন জাতি সম্পর্কে আমার ধারণা নাই, যারা উন্নয়নের বিরোধিতা করে।
যেখানেই উন্নয়ণ সেখানেই বিরোধিতা!

ইঁদুর নাকি সারাক্ষণ কিছু একটা কাটতে থাকে। অনর্থক কাটাকাটি না করলে নাকি ইঁদুরের দাত লম্বা হয়ে যায়। কথাটির সত্যতা সম্পর্কে আমার ধারণা না থাকলেও কথার যৌক্তিকতা আছে।ইঁদুরকে ভাল মানের একটা সেগুনের ওয়াল কেবিনেটে থাকতে দিলে সে তার মর্যাদা রাখতে পারবে না। সে মনে করবে কাটতে পারলেই তার লাভ।
কারণ, ইদুর তো সৌন্দর্য বুঝেনা! সে থাকে গর্তের ভিতরে।
পাহাড়ের উপজাতিরাও ইঁদুরের মত অনেকটা অদ্ভুত প্রজাতির। উন্নয়নের বিরোধিতা না করলে উপজাতিদের পেটের ভাত হজম হয়না।
ইঁদুর যেমন কেবিনেটের সৌন্দর্য অনুধাবন না করে দামি ওয়াল কেবিনেট কেটে চুরমার করে তার আবাসস্থল মাটির গর্তে চলে যায়, ঠিক পাহাড়ের উপজাতিরাও অবকাঠামো গত উন্নয়নের সৌন্দর্য অবলোকন করতে না পেরে আজীবন বন্য প্রাণীর মত থাকতে চায়।

আশ্চর্যের বিষয় হলো, সকল বাধা উপেক্ষা করে যখন পাহাড়ে উন্নয়নমূলক কোন একটা প্রজেক্টের কাজ সমাপ্ত হয় তখন উন্নয়ণের বিরোধিতাকারীরাই কোটা নামক ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে চাকরির জন্য হাত বাড়ায়।

চোখের সামনে ঘটে যাওয়া একটা উদাহরণ দিচ্ছি, রাঙামাটি মেডিকেল এবং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার তুমুল বিরোধিতাকারী উপজাতিরাই আজকে কোটার মাধ্যমে সেখানে ভর্তি হচ্ছে, সকল সুযোগ সুবিধা নিচ্ছে।
একটু লজ্জাও লাগেনা যে, কিছুদিন আগেই আমি যার বিরোধিতা করেছি আজকে তার থেকে সুবিধা নিচ্ছি!!!
আসলে লজ্জা লাগার কথাও না, কারণ বন মানুষতো কখনো মানুষ হয়না,মানুষ হলেইতো লজ্জা থাকা না থাকার প্রশ্ন।
আজকে যারা চিম্বুক পাহাড়ে ৫ তারকা হোটেল নির্মানের বিরোধিতা করছে, আমি শিউর হোটেল নির্মাণ সমাপ্ত হলে তারাই কোটা নামক ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে হাত বাড়াবে চাকরির জন্য। সকল সুযোগ সুবিধাও ভোগ করবে। মাস শেষে বেতন পেয়ে সেই টাকা দিয়ে ডাটা ক্রয় করে ফেবুতে স্ট্যাটাস দিবে সেনাবাহিনী তাদেরকে উচ্ছেদ করতেছে!

উপজাতি জংলিদেরকে বলবো, সাহস থাকলে বলুন আমরা মেডিকেলের বিরোধিতা করেছি তাই মেডিকেলে কোটা নামক ভিক্ষার ঝুলি দিয়ে ভর্তি হবো না।
রাঙামাটি কলেজ স্থাপনের বিরোধিতা করেছি, তাই উপজাতি কেউ রাঙামাটি কলেজে পড়বোনা।তাহলে আপনাদের উন্নয়ণ বিরোধী আন্দোলনকে আমিও সমর্থন করবো।
কিন্তু, উন্নয়নের বিরোধিতা করবেন আবার উন্নয়ণ কাজ সমাপ্ত হলে সেখান থেকে সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করবেন সেটা করতে দেয়া হবে না।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More