শান্তিচুক্তির অপব্যবহার করেছে সন্তু লারমা, রাষ্ট্রদোহিতায় জড়িত থাকার কারণে বিচার দাবী।

0

||অপূর্ব সাচিং, বান্দরবান||


পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) তথাকথিত শান্তিবাহিনীর অন্যতম প্রধান সন্তু লারমা ১৯৯৭, ২-রা ডিসেম্বরের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির অপব্যবহার করেছে গত ২২ বৎসর ধরে। এই সময়ে তারা অস্ত্রবাজি, অপহরণ, ধর্ষণ এবং অসংখ্য মানুষ হত্যা করেছে। সর্বশেষ গত ১৮ই মার্চ ২০১৯ তারিখে বিনা উস্কানিতে নির্বাচন কমিশনের গাড়ি বহরের উপর হামলা করে শান্তি চুক্তি সম্পূর্ণ লঙ্ঘন করেছে। বাঘাইছড়িতে নির্বাচনী কাজে অংশ নেয়া নির্বাচনী কর্মকর্তা, প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিশ ও আনসার ভিডিপির উপর অর্তকিতভাবে ব্রাশফায়ার করে। এই ব্রাশফায়ারে ঘটনাস্থলে ৬ জন নিহত সহ মোট ১৯ জন আহত হয়। এই ঘটনার ঠিক একদিন পর বাঘাইছড়ি মাসালং পুলিশ ফাঁড়িতে সন্ত্রাসীরা আবারো ব্রাশফায়ার করে! চুক্তির পূর্বেকার ন্যায় এখনো বিরাজমান রেখেছে সন্তু গং। উল্লেখিত বিষয়টি আলোকপাত করলে এটাই অনুমেয় হয় যে, পার্বত্য চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে তারা এখনো অবৈধ অস্ত্র নিয়ে বিদ্দমান রয়েছে। যা সরকারের সাথে ভাঁওতাবাজির সমান এবং রাস্ট্রদ্রোহিতার সামিল।

সন্তুলারমার মুল লক্ষ্যছিল চুক্তির মাধ্যমে পাবর্ত্য চট্টগ্রামকে কৌশলে নিয়ন্ত্রণে নেয়া। আলাদা জুম্মল্যান্ড বানানোর গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তৈরি করছে আলাদা মানচিত্র, নিজস্ব মুদ্রা ও গেরিলা বাহিনী। যা দেশদ্রোহীতা ও চুক্তির সম্পূর্ণ বিরোধীতা করার চর্চা। সরকারের পক্ষ হতে চুক্তির অধিকাংশ ধারা বাস্তবায়ন করলেও সন্তু লারমা চুক্তির মৌলিক ধারা অবৈধ অস্ত্র পরিহার করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার শর্ত কিছুতেই মানছেনা।
পার্বত্যাঞ্চলে মানুষের জীবনমান উন্নয়নে রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ মূলক কাজে সন্ত্রাসীরা বাধা দেয়া, চাঁদা আদায়, অপহরণ, খুন-গুম ও ধর্ষণ করে সমগ্র পার্বত্য জুড়ে অরাজকতা করে রেখেছে।পাহাড়ে চাঁদাবাজির শিকার যে শুধু বাংগালী হয় তা নয়, বাংগালীদের চেয়ে সাধারণ উপজাতিরা বেশি চাঁদাবাজির শিকার হয় স্বজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কর্তৃক। দেশ ও জাতির নিকট মারাকত্মক ঘৃন্য ও বাধা হয়ে দাড়িয়েছে সন্তু গংরা। চুক্তিতে শান্তির কথা বললে ও তারা মুলত করছে তার বিপরীত কাজ ।নির্দিষ্ট পরিমাণের আয় না থাকলে সরকারকে ট্যাক্স দিতে হয় না। আর নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের উপরও কোন ধরনের ভ্যাট বা শুল্ক আরোপ করেনি সরকার।কর নির্ধারণের ক্ষেত্রে দারিদ্রদেরকে করের আওতামুক্ত রাখা হয়। আর উপজাতিদেরও বিশেষ ছাড় দেয়া হয়। নাগরিক সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করা সত্ত্বেও সরকারের ট্যাক্স থেকে মুক্তি পেলেও কথিত আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর ট্যাক্সের আদলে চাঁদা থেকে রেহাই পাচ্ছে না পাহাড়ের জনগণ। সকলেই এসব উপজাতি সন্ত্রাসীদেরকে চাঁদা দিতে বাধ্য। এমনকি কলা, মুরগি ও মুরগির ডিম বিক্রি করলেও সেখান থেকে চাঁদা আদায় করছে এসব উপজাতি সন্ত্রাসীরা। প্রকাশ্যে চিঠি দিয়ে চাকরিজীবীর কাছ থেকেও চাঁদা আদায় করছে তারা। পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজনের কাছেও এসব চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি পার্বত্যাঞ্চল ঘুরে আঞ্চলিক সংগঠন জেএসএস (সন্তু) ও ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের অপহরণ ও চাঁদাবাজির চিত্র পরিলক্ষিত হয় সকলের কাছে । এ সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে তিন জেলার মানুষেরা। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া তো দূরের কথা, উচ্চস্বরে কথা পর্যন্ত বলতে পারে না কেউ। এমনকি স্থানীয় ক্ষমতাসীন সরকার দলীয় নেতারাও সন্ত্রাসী এসব সংগঠনের কাছে অসহায়। কার কাছ থেকে কত টাকা চাঁদা নেয়া হবে সে রেটও নির্দিষ্ট করা আছে। বিভিন্ন মাধ্যমে তা ব্যাপকভাবে প্রচারও করেছে সশস্ত্র সংগঠনগুলো। পার্বত্য তিন জেলার বাসিন্দাদের কাছে চাঁদার এ রেট মুখস্থ।
নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশ মাঝেমধ্যে চাঁদাবাজদের আটক করলেও এটা রোধ করা সম্ভব হয়নি। নিত্য-নতুন উপায়ে অত্যন্ত কঠোরতার সঙ্গে এসব চাঁদা আদায় করা হয়। এদিকে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে কিংবা না দিলে তাদের প্রাণনাশের পাশাপাশি নানাভাবে হয়রানি করা হয়। এ কারণে পার্বত্য এলাকার মানুষের মাঝে এখন বিরাজ করছে সশস্ত্র সংগঠনগুলোর চাঁদা ও নিরাপত্তার আতঙ্ক। বেশির ভাগ ভুক্তভোগী চাঁদার বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে স্বীকার করে না। কারণ দুর্গম এলাকা হওয়ায় আইন- শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছানো সম্ভব হয় না। তাই তারা চুপ থাকে। ধার্য্যকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালেই শুরু হয় অপহরণ, নির্যাতন, নিপীড়ন, হত্যা, ধর্ষণ। পুড়িয়ে দেয়া হয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়ি-ঘর, যানবাহন। প্রতিদিনই পার্বত্যাঞ্চল থেকে উপজাতি সশস্ত্র গ্রুপগুলো এক থেকে দেড় কোটি টাকার চাঁদা আদায় করছে। বছর শেষে যার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৪০০ কোটি। চাঁদা আদায়ে নিয়োজিত রয়েছে জেএসএস ও ইউপিডিএফের ১০ হাজার হাজার সশস্ত্র প্রশিক্ষিত কর্মী। এই দিয়েই দলের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সন্ত্রাসী বাহিনীর বেতন-ভাতা, রেশন, অবসরকালীন ভাতা, ক্ষতিপূরণ ইত্যাদি দেয়া হয়। এ ছাড়া এ অর্থ দিয়ে দেশ-বিদেশে বাঙালি ও নিরাপত্তা বাহিনী বিদ্বেষী

প্রচারণা ও তাদের অস্ত্র ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করার কাজ করে থাকে।নিরাপত্তা বাহিনী বিদ্বেষী প্রচারণা ও তাদের অস্ত্র ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করার কাজ করে থাকে।

উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালের সরকার এবং জেএসএস (সন্তু লারমা)-এর মধ্যে স্থাপিত শান্তিচুক্তির প্রায় ৮০ শতাংশ শর্তই বাস্তবায়ন করেছে সরকার। কিন্তু এখনও এ চুক্তি বাস্তবায়নের দোহাই দিয়ে রাজনৈতিক সুবিধা আদায় ও আধিপত্য বিস্তার এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা/ফোরামের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য প্রচার-প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে “চুক্তির পক্ষে-বিপক্ষে।” পার্শ্ববর্তী দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে গোপনে যোগাযোগের মাধ্যমে চাঁদাবাজি ও অপহরণের পর মুক্তিপণের অর্থ দিয়ে বিপুল পরিমাণ আধুনিক অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহ করে তাদের অস্ত্রভান্ডারকে সমৃদ্ধ করছে। অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত করাসহ এসব কারণে তারা নিয়মিত চাঁদা আদায় করছে। স্থানীয়রা ছাড়াও পর্যটক, টোকেন ছাড়া ব্যবসায়ী, ব্যবসা ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের অপহরণ করে বড় অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে। ব্যপক অপহরণ ও হত্যা ঘুম করার মাধ্যমে তাদের রাজ্য কায়েম করতে চাচ্ছে। খাগড়াছড়ির রামগড়ে সশস্ত্র উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের হাতে অপহরণের ১২ ঘণ্টা পর আড়াই লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে ছাড়া পায় তিন ব্যবসায়ী। একই সমেয় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী এলাকায় পিএইচপি রাবার বাগান থেকে ৩ প্রহরী ও বিদেশী বিভিন্ন দশর্নাথীদের অপহরণ করে লাখ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা। সেপ্টেম্বরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের বাঁকখালি মৌজা থেকে দুই চাষীকে অপহরণের পর গহিন অরণ্যে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। সারা বছরই এভাবে কোনো না কোনো স্থানে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় করে সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো। বিলাইছড়িতে আওয়ামীলীগ নেতা ,বান্দরবনে একাধিক সরকার দলীয় নেতা রাঙ্গামাটিতে দলীয় নেতা খাগড়াছড়িতে বিভিন্ন নেতা হত্যা । বিভিন্ন সময় নিরাপত্তা থাকা রাষ্টীয় বাহিনীকে হত্যা ও ঘুম করা হয়েছে। কিচুদিন র্পূবে টহলরত সেনাবাহিনীর উপর গুপ্ত হামলাকরে এক সেনা সদস্যকে হত্যা ও অনেকে আহত সহ একাধিক রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে বিভিন্ন সময় তাদের হাতে জীবন দিতে হয়েছে। যা দেশ ও জাতির জন্য খুবি কলংকময়। তাদের নিরাপত্তা দিতে গিয়ে তারা নিরাপদে ফিরে আসতে পারেনা, কতটা ভয়ংকর সন্তু বাহিনী ও সন্ত্রসীদের রুপ।
পার্বত্য এলাকা দুর্গম হওয়ায় সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র অবস্থায় থাকে সবর্দা।৭১ সালে উপজাতিদের কিছু অংশ মুক্তিযুদ্বের বিপক্ষে অংশগ্রহন করে। যুদ্ধ বিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান পার্বত্যের সকল উপজাতীয়দের বাঙ্গালী বলে সম্মোধন করায় উপজাতীরা নিজেদের জাতিসত্তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে। ক্ষোভে ফেটে পড়ে উপজাতীরা। ভিতরে ভিতরে শুরু হয় সশস্ত্র সংগ্রামের প্রস্তুতি। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগষ্ট শেখ মজিবুর রহমান সপরিবার নিহত হওয়ার পর মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার নেতৃত্বে শুরু হয় সশস্ত্র সংগ্রাম। ইনসার্জেন্সিতে তখনকার রাষ্ট্র নেতৃত্ব দেশের এই এক দশমাংশ রক্ষার ব্যাপক সামরিকায়ন শুরু করে। ইনসার্জেন্সিতে সন্তুলারমার হাতে হাজার হাজার মানুষ নিহত আহত হয়। ঘর বাড়ি সব পুড়িয়ে দেয়া হয়। প্রায় ৩০,০০০ অসহায় বাঙ্গালী নিহত হয়। অপরদিকে সামরিক অভিযানে ও অনেক লোক হতাহত হয়। ভীত সন্তস্ত্র উপজাতীরা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেয়। শান্তি বাহিনীর বিরুদ্বে রাষ্টদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়। এমন অশুভ পরিস্থিতিতে সরকার শান্তি বাহিনীর সাথে ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর চুক্তি স্বাক্ষর করে। অন্যান্য জনগোষ্ঠী ও সাধারন জনসাধারনের চাওয়া পাওয়াকে বাদ দিয়ে তৎকালীন আওয়ামী সরকার শান্তিবাহিনীর রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতির (জেএসএস)-এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। চুক্তিটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সাময়িক স্বস্তি নিয়ে আসলেও দীর্ঘমেয়াদী ক্যান্সার এর মতো, সন্তুলারমা তার আড়ালে বিরোধীতা করেই যাচ্ছে। সকল প্রকার সুবিধা ভোগ করে সে রাস্ট্র বিরোধী কাজে লিপ্ত রয়েছে। রাস্ট্রের সকল প্রকার কাজে বাধা দেয়া তার নিত্য দিনের পেশায় পরিণত হয়েছে। চুক্তির আগে শুধু শান্তি বাহিনীর নির্যাতন সহ্য করা লাগতো। কিন্তু চুক্তির পরে সন্ত্রাসী সংগঠন গুলো জেএসএস, ইউপিডিএফ, নামক সন্ত্রাসী সংগঠনকে আলাদা চাঁদা দিতে হয়। এই সন্ত্রাসী সংগঠনের অস্ত্রের হাতে জিম্মি পার্বত্যবাসী। রাস্ট্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করছে তারা। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন চক্রান্তে লিপ্ত হচ্ছে সন্ত্রাসীরা। রাস্ট্রীয় বিভিন্ন দায়িত্ব পালনে তারা বাধা দিচ্ছে।
চাঁদাবাজী, অপহরন ও চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যেই পার্বত্য চট্টগ্রামের সাধারন জনগন বেঁচে আছে। শান্তিচুক্তি হওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি বরং ঘোলাটে করে দিন দিন সমস্যোর সৃষ্টি করছে সন্তু বাহিনীরা । এভাবে আর চলতে পারে না। দেশ এর থেকে পরিত্রাণ চায়, এবং এদের বিচারের আওতায় আনা সময়ের দাবী।

অতএব, সরকারের উচিত হবে- এসব রাজাকার, দেশ ও জাতির শত্রু, দেশদ্রোহী বিশ্বাসঘাতক উপজাতি সন্ত্রাসী, মিশনারী এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারী

দের হাত থেকে তিন পার্বত্যাঞ্চলকে রক্ষার নিমিত্তে অনতিবিলম্বে সন্তলারমাকে বিচারের সম্মুখীন করে, এর অবসান করা। পাশাপাশি ওই অঞ্চলের রাষ্ট্রীয় বাহিনী সহ সেনা ক্যাম্প বৃদ্ধিকরে দেশের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা। এবং তাদের যথাযথ বিচারের কাঠগড়ায় হাজির করে দেশদ্রোহিতার বিচার করা। ১

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More