পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের দিকসমূহের ক্ষতিকর দিকসমূহ এবং সেই সাথে কিছু প্রশ্ন নিম্নরূপঃ

1

পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলাতেই ‘পার্বত্য জেলা পরিষদ’ গঠন করা হয়েছে এবং জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীনে ২৮–৩০ টি বিষয় হস্তান্তর করা হয়েছে।।
সন্তু লারমা নিজে মন্ত্রীর সমমর্যাদায় পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যানের পদটি আকড়ে আছেন দীর্ঘ ২১ বছর এর বেশি। তার জনসংহতি সমিতির নেতারা ও আঞ্চলিক পরিষদ, জেলা পরিষদসহ পাহাড়ের প্রতিটি অফিস আদালতে সিংহভাগ সুবিধা ভোগ করছেন। তার পরেও অবৈধ অস্ত্র নিয়ে এখনো পার্বত্য চট্টগ্রাম অস্থিতিশীল করে চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুন-গুম ও অবৈধ অস্ত্র নিয়ে সক্রিয় রয়েছে!

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ গঠন করা হয়েছে।

ভুমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশন গঠন করা হয়েছে। উপজাতিদের দাবীর প্রেক্ষিতে ভুমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশন আইন ২০০১-এ সংশোধনী এনে ভুমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশন আইন ২০১৬ প্রণয়ন করা হয়েছে।

ভারত হতে প্রত্যাগত ১২,২২৩ টি উপজাতি শরণার্থী পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
যারা আগরতলা/কলকাতায় শরণার্থী ছিল, সরকার তাদেরকেও পর্যাপ্ত রেশন, চাল-ডাল-তেল-টিন দিয়ে এবং চাকরি দিয়ে পুনর্বাসন করেছেন।

শান্তি বাহিনীর সদস্যদেরকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে।
৭১৫ জন শান্তি বাহিনী সদস্যকে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
যারা শান্তিচুক্তির পূর্বের ধাঁচে পার্বত্য চট্টগ্রামে ৩০ হাজার বাঙালি হত্যাকারী, নিরীহ জনগণের উপর ব্রাশফায়ার চালিয়ে হত্যা সংঘটিত, বহু সেনা-পুলিশ আনসার-বিডিআরদের হত্যাকারী ঘাতক ২০০০ শান্তিবাহিনী সদস্যকে সরকার লোভনীয় পদে চাকরি দিয়েছে। চুক্তির পরেও অবৈধ অস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসীরা সক্রিয়। সন্ত্রাসীরা চুক্তির মৌলিক ধারা লঙ্ঘন করে এখনো অবৈধ অস্ত্র নিয়ে সক্রিয়! আর যেসব উপজাতি আগরতলা/কলকাতায় শরণার্থী ছিল, সরকার তাদেরকেও পর্যাপ্ত রেশন, চাল-ডাল-তেল-টিন দিয়ে এবং চাকরি দিয়ে পুনর্বাসন করেছেন।

২৫২৪ জনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ৯৯৯টি মামলার তালিকার মধ্যে ৮৮৪টি মামলা যাচাই-বাছাই এবং তন্মধ্যে ৭২০টি মামলা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া চলমান।

একটি পদাতিক ব্রিগেডসহ ২৪০টি নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়েছে।

‘পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন মনিটরিং কমিটি’ গঠন করা হয়েছে, যার দায়িত্বে রয়েছেন স্বয়ং সংসদ উপনেতা।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক ‘ সংসদীয় স্থায়ী কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ‘ সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান বিল ২০১০’ জাতীয় সং সদে গৃহীত হয়েছে। তিন পার্বত্য জেলায় ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ‘ সাংস্কৃতিক ইন্সটিউট’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

সরকারী চাকুরিতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের নির্ধারিত কোটা/অগ্রাধিকার প্রদান করা হচ্ছে।

বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জন্যে কোটা সংরক্ষন করা হচ্ছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, জেলা পরিষদ এবং পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের শীর্ষস্থানীয় পদে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্য হতে প্রতিনিধি নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ‘ সম্প্রদায়ের একজন মাননীয় সংসদ সদস্যকে প্রতিমন্ত্রী সম মর্যাদায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

১৯৯৮ সালের পার্বত্য জেলা পরিষদ আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হয়েছে।

১৯৭৬ সালে জারীকৃত ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড’ অধ্যাদেশ বাতিল করে ‘পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড আইন-২০১৪ ‘ জাতীয় সংসদে পাশ করা হয়েছে।

এই সকল বিতর্কিত ধারাগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি আজমীর হোসাইন বলেছি ,
খুনিরা, ঘাতকেরা লুকিয়ে হাঁসে, দেশদ্রোহী আঘাতকের হাঁসি বড় নির্মম । আর সব ঘাতক, খুনি, রাজাকারের ভেতরেই লুকিয়ে আছে একাত্তরের সেই নির্মম ঘাতকসত্ত্বা।

আজকে যারা নীতিনৈতিকতার তোয়াক্কা না-করে
একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের সরকার
একটি সশস্ত্র রাষ্ট্রদ্রোহী বাহিনী চুক্তির পূর্বের ধাঁচে পার্বত্য চট্টগ্রামে ৩৫ হাজার বাঙালি হত্যাকারী, নিরীহ জনগণের উপর ব্রাশফায়ার চালিয়ে হত্যা সংঘটিত, বহু সেনা-পুলিশ আনসার-বিডিআর এর ঘাতক সন্তু লারমা এবং রাজাকারদের সন্তানদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তারা শুধু ভাষাশহীদ আর মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের সঙ্গে গাদ্দারিই করছেন না, উৎসাহিত করছেন দেশবিরোধীদেরকে, তাদের ক্রিয়া-কর্মে।

খুনি, আঘাতকের মুখে আজ প্রাপ্তির হাঁসি দেখে আগামি প্রজন্ম উজ্জীবিত হবে দেশদ্রোহী চেতনায়। দেশপ্রেম আর দেশাত্মবোধ হারাবে নতুন প্রজন্ম। আরও করুণ, আরও নির্মম হবে আগামির মুক্তিযুদ্ধ। এর চেয়ে বড় দুঃখ আর কী আছে?????? পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামকে দেশের মূল ভূখন্ড হতে দ্বিখণ্ডিত করা হয়েছে। এক দেশে দুই আইন করা হয়েছে৷ দেশের প্রচলিত আইন ও সংবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করা হয়েছে। পার্বত্যাঞ্চলের বাঙালি জনগোষ্ঠীর মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। একতরফা ভাবে উপজাতিদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে, যা বৈষম্য এবং সংবিধান লঙ্ঘনের সামিল। যে উপজাতিদের মধ্যে একটি অংশ বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সর্বদা উপজাতি উগ্রবাদীরা সরকার, প্রশাসন ও বাঙালিকে নিয়ে কটূক্তি করেন। ধর্ম নিয়েও বাড়াবাড়ি করে এই উগ্রবাদীরা।

বাংলাদেশের এক ও অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ পার্বত্য চট্টগ্রাম। রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের ৫০৯৩ বর্গমাইল বিস্তৃত সুজলা, সুফলা, শস্য শ্যামলা, বিল-ঝিল-হ্রদ-পাহাড় বেষ্টিত দেশের এক দশমাংশ ভূমি। চেঙ্গী, মাইনী, কর্ণফুলী, কাছালং বিধৌত এই পার্বত্যবাসী জনগণ কেমন আছে??? পাহাড়ে শান্তি, স্থিতি ও নিরাপত্তা আছে কি???

লেখক আজমীর হোসাইন সিএইচটি। স্বাধীন মুক্ত মতের বহিঃপ্রকাশের অংশ হিসেবে উক্ত লেখাটি তিনি লিখেন।

1 Comment
  1. Azmir Hossain Cht says

    ধন্যবাদ প্রিয় ভাইয়া।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More