স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ধর্ষণ ও আধিপত্য বিস্তারে মরিয়া উপজাতি সন্ত্রাসীরা।

0

||তাপস কুমার পাল, পার্বত্য চট্টগ্রাম||

দেশের প্রত্যেকটা অঞ্চলে যখন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন হচ্ছে অত্যন্ত আনন্দের সাথে তখন পার্বত্য অঞ্চলে উপজাতি সন্ত্রাসীরা তাদের আধিপত্য বিস্তারে মরিয়া হয়ে উঠছে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজাতি সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত কর্মের কিছু তথ্য তুলে ধরছি।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আজ ৩১/০৩/২০২১ ই সাজেক ইউনিয়নের সুজন চাকমা নামের এক সন্ত্রাসীকে অপহরণ করে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা। অতঃপর মুক্তিপণের মাধ্যমে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। মধ্যরাতে বাঘাইছড়িতে বিশ চাকমা ওরফে যুদ্ধ মনি চাকমাকে গুলি করে হত্যা করে তারই ছদ্মবেশী বন্ধু। এবং তার অস্ত্র কেড়ে নেওয়া।
আধিপত্য বিস্তারের জন্য গত ২০/০৩/২০২১ ই সাজেক মিজান ও সাগর নামের দুই বাঙালি ব্যবাসায়ীকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে বিচ্ছিন্নতাবাদী উপজাতি সন্ত্রাসীরা। গত ১৮ ই মার্চ ২০২১ ইং রোজ +বৃহস্পতিবার) সকাল ১১.৩০ ঘটিকার দিকে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলায় চাঁদার টাকা না দেয়ার অভিযোগে ১১ গ্রামবাসীকে বেধম প্রহার করে রক্তাক্ত করেছে উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।
২৪ /০২ /২০২১ই দুপুর ১২:৩৫ ঘটিকায় বাঘাইছড়ি পিআইও অফিসে ঢুকে সময় বিজয় চাকমা নামের এক ইউপি সদস্যকে গুলি করে হত্যা করে প্রতিপক্ষের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। নিহত সময় বিজয় চাকমা উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ জে এস এস (এম এন লারমা) গ্রুপের সমর্থক।
১৯/০৩/২০২১ ই বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে এক প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণ করে উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। সেই ঘটনায় হ্লাথুই প্রু খিয়াং (৫৯) নামে এক সন্ত্রাসীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আধিপত্য বিস্তারের জন্য চাঁদাবাজ পাশাপাশি আফিম ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে উপজাতি সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো। ০৯/০৩/২০২১ ই বান্দরবানে র‍্যাব ও বিজিবি’র যৌথ অভিযানে সাড়ে ৩ কোটি টাকার আফিমসহ ১ উপজাতি সন্ত্রাসীকে আটক করে র‍্যাব ও বিজিবি। আটকৃত সন্ত্রাসী ব্যাক্তি হলেন লেংরাও ম্রো। (১৯) পিতাঃ রেংথোন ম্রো।
২২/০২/২০২১ইং রাজস্থলীর বাঙালহালিয়া বাজার থেকে ৩০০ রাউন্ড গুলি সহ থুই চা চিং মারমা নামের (সাবেক ইউপি সদস্য) এক সন্ত্রাসীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
১৬/০২/২০২১ ইং চাঁদার টাকা ভাগাভাগি এবং এক নারীকে দুই জনে ভোগ করার অসম বণ্টন নীতির জের ধরে উপজাতি সন্ত্রাসীদের দুই পক্ষের মধ্যে কোপাকুপির ঘটনা ঘটে। এতে কয়েক সন্ত্রাসী জখম হয়।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে উপরোক্ত ঘটরা সমূহের মাধ্যম উপজাতি সন্ত্রাসীরা আবারো প্রমাণ করেছে তারা দেশের স্বাধীনতা এবং স্বার্বভৌমত্বের প্রতি নুন্যতম সম্মান প্রদর্শন করে না।
তাই অবিলম্বে সকল উপজাত সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো নিষিদ্ধ করতে হবে এবং পুনরায় পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা ক্যাম্প স্থাপন করতে হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More