জাতির অধিকারের দোহাই দিয়ে চাঁদা আদায় করা ইউপিডিএফ এখন কোথায়?
সাজেকে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরবাড়ি হারিয়ে মধুমিকা চাকমা বিজ্ঞবানদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন। অথচ এখন পাশে নেই কথিত অধিকার আদায়ের সংগঠন ইউপিডিএফ!
পার্বত্য রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার দুর্গম সাজেক ইউনিয়নের বাঘাইহাট ৪নং ওয়ার্ড শুকনোছড়া গ্রামের অরুন চাকমার ছোট ঘরটি (১৭ এপ্রিল শনিবার) মধ্যরাতে কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে তচনচ হয়ে যায়। অসহায় অরুন চাকমা ও তার স্ত্রী মধুমিকা চাকমার এই ছোট ঝুপড়ি ঘরটি ছিল জীবন বাঁচিয়ে রাখার শেষ অবলম্বন।
মধুমিকা চাকমা বলেন, “যে ঘরটি ছিল, সেই ঘরটি নিয়ে আমাদের দু’জনের বেঁচে থাকার শেষ ভরসা ছিল। কিন্তু এখন আর কিছু নেই। দিনে এনে দিনে খায়ই, এমতবস্থায় আমাদের নতুন করে এই বর্ষা মৌসুমে ঘর নিমার্ণ করা কোনভাবেই সম্বব নয়। তাই আমি বিজ্ঞবান মানুষের কাছে ঘরনির্মাণের জন্য সহযোগিতা চাই।”
যে যেভাবে পারেন সে সেভাবে সহযোগিতা করুন। বর্ষা মৌসুমে কোন রকম বেঁচে থাকার জন্য আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে এই দম্পতির ঘরটি নির্মাণ করে দিতে এগিয়ে আসুন।
এখন প্রশ্ন হল— সারা বছর জাতির অধিকারের দোহাই দিয়ে চাঁদা উত্তোলন করা ইউপিডিএফ এখন কোথায়? তারা কেন জাতির এই দুর্দিনে পাশে দাঁড়ায় না? জাতির অধিকারের দোহাই দিয়ে সারা বছর যারা চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুনাখুনি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অগণিত মানুষ হত্যা করে, তারা কেন আজ মধুমিকা চাকমার ঘরনির্মাণে এগিয়ে আসছে না?
অথচ এরাই পাহাড়ে সবসময় জাতির সাইনবোর্ড বিক্রি করে শতশত কোটি টাকা চাঁদা আদায় করে থাকে। চাঁদার এই টাকা কী কাজে ব্যাবহারিত করে তা নিয়ে তাদের সকল উপজাতির প্রশ্ন করা উচিত। কারণ এরা প্রতিকূল মুহূর্তে কোন উপজাতিকে সহযোগিতা করে না। বন্দুকের নল দিয়ে বছরের পর বছর সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের ঘাম ঝরানো টাকা দিয়ে নিজেদের বিলাসী জীবনযাবন আর কত?
উপর্যুক্ত বিষয়ে সকল উপজাতি ভাই-বোন ইউপিডিএফ-কে প্রশ্ন করা উচিত নয় কি?