||তাপস কুমার পাল, রাঙ্গামাটি||
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে বিভিন্ন বুদ্ধ বিহারগুলো বহুকাল থেকেই ব্যবহার করে আসছে উপজাতি সন্ত্রাসীরা।
ধর্মীয় ইমেজকে কাজে লাগিয়ে পাহাড়ে নিরাপদ সন্ত্রাসবাদকে শিখরে পৌছানোর অপচেষ্টা সম্পর্কে ইতোমধ্যে জাতীয় এবং স্থানীয় পত্রিকা গুলোতে আর্টিকেল ছাপানো হয়েছে।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য প্রশাসন এই ভূমি দস্যু গুলোকে আইনের আওতায় আনতে ব্যর্থ হয়েছে।
তাই কোন আইনকে তোয়াক্কা না করে উপজাতি সন্ত্রাসীরা অবৈধভাবে ভান্তদের ব্যবহার করে পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্ভাবনাময় খাস জায়গাগুলোতে একটা বৌদ্ধ বিহার বা মূর্তি স্থাপন করে হাজার হাজার একর জমি দখল করে নিচ্ছে।
এতে একদিকে উপজাতি সন্ত্রাসীরা আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে অন্যদিকে বৌদ্ধ বিহার গুলোকে অস্ত্রাগার বা সন্ত্রাসীদের ক্যান্টনমেন্ট হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছে।
তারই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে রাঙামাটির মেঘের রাজ্য হিসেবে পরিচিত ফুরমোন পাহাড়ে একটি বৌদ্ধ বিহার স্থাপন করে বিশাল জায়গা দখল করে নিয়েছে উপজাতি সন্ত্রাসীরা।
এখানে ধর্মীয় উপসানালয় মোটেও উদ্দেশ্য না। এত উচু পাহাড়ে কেন ধর্মীয় উপসানালয় স্থাপন করতে হবে???
বর্তমানে ফুরমোন পাহাড়ে বিতর্কিত বুদ্ধ বিহার যে ভান্তে দায়িত্বরত রয়েছে সে সন্ত্রাসীদের সরাসরি এজেন্ট। তার নাম শ্রীমৎ ভৃগু-মহাস্থবির ভান্তে।
তার কাজ হচ্ছে কিছুদিন পরপর বৌদ্ধ বিহারের জায়গার সীমানা বৃদ্ধি করা।
পর্যটন নগরী রাঙামাটির অন্যতম একটি স্থান ফুরমোন পর্বত।এখানে অবৈধ ভাবে ভূমি দখল করে বৌদ্ধ বিহার স্থাপন করা মোটেও কাম্য নয়।