উপজাতিরা ভূমিপুত্র দাবি করলেও তারা এদেশের ভূমিপুত্র নয়: হিলট্রাক্টস ম্যানুয়েল।

0

পার্বত্য উপজাতিরা আজ নিজেদের ভূমিপুত্র দাবি করলেও তারা এদেশের ভূমিপুত্র নয়: হিলট্রাক্টস ম্যানুয়েল ১৯০০/১ এর ৫২ ধারাতে তাদের অভিবাসন চিহ্নিত।

উপজাতিরা এখন পার্বত্য বাঙ্গালীদের সেটেলার ও বিভিন্নভাবে হেনেস্তা করার মতো শব্দে আখ্যায়িত করে। অথচ এই উপজাতিরা ভিনদেশী, এবং বহিরাগত। তারা কোনভাবেই এদেশের ভূমিপুত্র নয়। যদিও এদেশের গণমাধ্যম, তথাকথিত বুদ্ধিজীবি ও সুশীলরা বিষয়টি এড়িয়ে যান। তারা এটাকি জানা স্বত্তে এড়িয়ে যান নাকি অজ্ঞতার স্বত্বে এড়িয়ে যান তা আমার বুঝে আসে না। পার্বত্য তথ্য কোষের লেখক: আতিকুল রহমানের লেখাটিতে পার্বত্য উপজাতিদের প্রকৃত মুখোশ উন্মোচন করার চমৎকার তথ্যবহুল।

বাংলাদেশ ও বাঙ্গালীদের পক্ষে প্রথম সাহসী পদক্ষেপ হলো পাকিস্তানী স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা ও স্বাধীনতা অর্জন দ্বিতীয় সাহসী পদক্ষেপ হলো ভারতীয় বাহিনী প্রত্যাহারের দাবী বাস্তবায়ন। তৃতীয় সাহসী পদক্ষেপ হলো পাকিস্তানী দোসর বিহারীদের বৈরী ঘোষণা ও তাদের নাগরিকত্ব বাতিল ও ক্যাম্পে আবদ্ধ করণ। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব আর বাঙ্গালী আধিপত্য তৎপর ও বিপদমুক্ত হয় নাই। চাকমা জনগোষ্ঠীর কিছু উচ্চাভিলাষী লোক বাংলাদেশ ও বাঙ্গালী বৈরীতায় তৎপর। তাদের বিদ্রোহ দমাতে জরুরী হয়ে উঠেছে চতুর্থ সাহসী পদক্ষেপ, যদ্দরণ স্থাপিত হয়েছে সেনা নিবাস। এবং তারই পক্ষে পঞ্চম সাহসী পদক্ষেপ হলো পার্বত্য অঞ্চলে ভূমিহীন বাঙ্গালীদের আবাসন প্রতিষ্ঠা। কিন্তু এই শেষ দুই পদক্ষেপের পক্ষে অনুকূল তথ্য উপাত্তের চর্চা প্রয়োজনীয় ছিল যার প্রতি সরকার ও জাতি উদাসীন। তাতে ভুল তথ্য উপাত্তকেই অবলম্বন করে বিদ্রোহী উপজাতিরা শক্তি সঞ্চয় করতে পেরেছে এবং দেশে বিদেশে তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারের দাবী সমর্থিত হচ্ছে। শান্তি চুক্তি হলো এই ভুলের উপর প্রতিষ্ঠিত একটি ফয়সালা, যার সুফল শূণ্য। কোন চুক্তি ও সুযোগ সুবিধাতেও উপজাতীয়রা সন্তুষ্ট নয়। তারা এ পর্যন্ত ৪ বার সশস্ত্র বিদ্রোহ করেছে। শিশু বাংলাদেশকেও তারা রেহাই দেয় নি। তাদের এই অব্যাহত অবাধ্যতাকে আর অবহেলা করা যায় না। এরা বিহারীদের মত অবাধ্য শরণার্থী বংশধর। গণহত্যা ও বিদ্রোহের কারণে এদের বৈরী ঘোষণা, নাগরিকত্ব বাতিল , বিচারে সোপর্দ ও ক্যাম্পে আটক করা আবশ্যক। একমাত্র তাতেই তারা নিজেদের অপরাধের গুরুত্ব বুঝতে সক্ষম হবে। পার্বত্য চুক্তি ও তৎসৃষ্ট সুযোগ সুবিধা এই উপজাতীয় অপরাধীদের বাগে আনতে সক্ষম হয়নি। এখন আরো অধিক অপেক্ষা করা বৃথা। সরকারের নমনীয় তোষামোদ মূলক পার্বত্য নীতির ভুল ও ব্যর্থতাকে অবশ্যই বুঝতে হবে। এই ভুলের মূল কথা হলো বিদ্রোহী উপজাতীয়রা আসলে স্থানীয় আদি বাসিন্দা নয়, তারা বহিরাঞ্চলীয় শরণার্থী বংশধর। হিলট্রাক্টস ম্যানুয়েল ১৯০০/১ এর ৫২ ধারাতে তাদের অভিবাসন চিহ্নিত। ভারত শাসন আইন ১৯৩৫ তাদেরকে ভোটাধিকার দান করেনি। সেহেতু ১৯৩৬ ও ১৯৪৬ এর ভারত ব্যাপ্ত সাধারণ নির্বাচনে পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয়দের ভোটাধিকার ছিল না । এই বিদ্রোহী উপজাতিদের স্থানীয় আদি নাগরিক হওয়ার দাবী ভুল দুনিয়া বাসীদের এই তথ্য জানতে দেয়া হচ্ছে না , এবং আমরা নিজেরাও তৎ সম্পর্কে অজ্ঞ । একমাত্র অস্থানীয় হাওয়ার তথ্যই বিদ্রোহীদের দমিয়ে দেয়ার পক্ষে যথেষ্ট। সরকার স্থানীয় ইতিহাস উদ্ধার ও প্রচারে মোটেও সক্রিয় নন। এই শূণ্যতা পূরণে ব্যক্তি পর্যায়ে এই অধম কিছু ব্যর্থ প্রয়াস চালিয়েছি । আমার লেখা প্রবন্ধ কলাম প্রতিবেদন বই পুস্তক সীমিত আকারে হলেও গত অর্ধ শতাব্দী কাল যাবৎ এই ধারণা দিয়ে যাচ্ছে যে , উপজাতায় উচ্চাভিলাষীদের প্রচারিত রাজনৈতিক ধ্যান ধারণা ও প্রচলিত তথ্য উপাত্ত বিভ্রান্তিকর । স্থানীয় প্রকৃত তথ্য তা থেকে ভিন্ন , যা বাংলাদেশ ও বাঙ্গালী স্বার্থের অনুকূল । আমি স্থানীয় ইতিহাস ও তথ্য প্রচারে কোন রূপ প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা পাইনি । অথচ এই ইতিহাসের প্রকৃত উপকার ভোগী আমি ব্যক্তি নই , বাংলাদেশ ও বাঙ্গালী জাতি । আমার জীবনের সমৃদয় সঞ্চয় ও উপার্জন এবং কর্মক্ষম সারাটি জীবন একাজে ব্যয় করেছি । এই শ্রমের আর্থিক মূল্য অবশ্যই বিরাট । আমার এই ত্যাগ ও দেশ প্রেম কর্তৃপক্ষীয় পর্যায়ে সাড়া জাগাতে ব্যর্থ হয়েছে । আমি নিজেও তাতে দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর এক অপগন্ডে পরিণত । বিপরীতে বিদ্রোহী নেতৃবৃন্দ মোটা অংকের বেতন ভাতা দামী গাড়ী বাড়ী আর উঁচু পদমর্যাদা ভোগ করছেন । শান্তি তবু সদূর পরাহত । অর্থকড়ি আর প্রকাশনার অভাবে পার্বত্য সংকট মূল্যায়ন মূলক আমার লেখা গুলো ব্যাপক প্রচারের সুযোগ পায় নি । সরকার এই মুফত মূল্যায়নটি নিজ স্বার্থে কাজে লাগাতেও সক্রিয় নন । সত্য হলো পার্বত্য চট্টগ্রাম এদেশের কোন উপনিবেশ বা সংযোজিত অঞ্চল নয় । এবং বাঙ্গালীরাও এই অঞ্চলসহ গোটা বাংলাদেশের মূল স্থায়ী বাসিন্দা । বিপরীতে এতদাঞ্চলে উপজাতীয়রা বৃটিশ আমলের বহিরাগত অভিবাসী বহিরাগমনের দ্বারা উপজাতীয়রা এখন স্থানীয় ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে গেলেও , রাজনৈতিক মর্যাদায় তারা অস্থানীয় সংখ্যালঘু । দেশের

স্থায়ী বাসিন্দা বাঙ্গালীদের এতদাঞ্চলে বসবাসের অধিকার মৌলিক , এবং এটি বাংলাদেশের আদি ও অবিচ্ছেদ্য অংশও বটে । সংখ্যালঘু বহিরাগত অভিবাসী জনগোষ্ঠী ভূক্ত লোকদের এতদাঞ্চল থেকে বাঙ্গালী বিতাড়ন আন্দোলন আর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভাগ দাবী , তথা স্বায়ত্ত শাসন ও আত্মনিয়ন্ত্রন মূলক রাজনৈতিক উচ্ছাভিলাষ , দেশ ও জাতি বিরোধী অপচেষ্টার শামিল । এদের দমিয়ে দেয়া জাতীয় কর্তব্য। এই রাষ্ট্রদ্রোহী ও জাতি বিধ্বংসী তৎপরতা মোটেও সহনীয় নয়। এটা মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার রূপেও মানা নয় । বাংলাদেশে একক ভাবে বাঙ্গালীরাই মূলত সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী জাতি । এটা উদারতা যে স্থানীয় অবাঙ্গালী সংখ্যালঘুদের অন্তর্ভূক্ত করে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ গৃহীত হয়েছে। কিন্তু এর অর্থ এটা নয় যে কোন বহিরাগত অবাঙ্গালীর জাতি ও রাষ্ট্র বিরোধী কার্যক্রম সহ্য করা হবে। এ দেশে সমানাধিকার নিয়ে শাস্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পূর্ব শর্ত হলো তারা নিজেদের অভিবাসী সংখ্যালঘু মানবে , রাষ্ট্র ও বাঙ্গালী বিরোধী কোন অপতৎপরতায় জড়াবে না। কোন রূপ আধিপত্য , অগ্রাধিকার , রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্খা ও বাঙ্গালী বিদ্বেষকে প্রশ্রয় দিবে না । এর নিশ্চিয়তা হিসেবে পূর্বাহ্নেই ঘোষণা দিতে হবে যে সমৃদয় উচ্চাভিলাধী রাজনৈতিক আন্দোলন ও সংগঠন বিলুপ্ত হলো , অতীতের সমৃদয় হানাহানি সহিংসতা আর বিভেদ অপরাধমূলক বিদ্রোহাত্মক কার্যক্রম , তজ্জন্য দেশ ও জাতির কাছে তারা আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থী। সাধারণ উপজাতীয়রা দেশদ্রোহী , গণহত্যাকারী ও যুদ্ধপরাধের মত দুষ্কর্মের হোতাদের আইন সঙ্গত শাস্তি বিধানে সম্মত।

এই রাস্ট্রদ্রোহী বিশ্বাসঘাতক উপজাতিরা নিজেদের কীভাবে আদিবাসী দাবি করে? এবং কীভাবে আদিবাসী রাস্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি পেতে মরিয়া? যাদের বাপদাদারা বহিরাঞ্চলীয়, এবং শরণার্থী বংশধর। অথচ তারাই বড় গলায় বাঙ্গালীদের সেটেলার বলে পার্বত্য থেকে চলে যেতে হুমকি প্রদান করে! বাংলাদেশ নামক রাস্ট্র অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করার কারণে আজ নিজদেশে বাঙ্গালীরা পরবাসী। আর দখলদার উপজাতিরা ভূমিপুত্র!!

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More