রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া জনগোষ্ঠীকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেয়া কতটুকু যৌক্তিক?

0
167

যাদের দাবী পিছিয়ে পড়া তারা কীভাবে বিদেশে লেখা পড়া করে!!
পার্বত্য চট্টগ্রাম একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের নিরাপদ ভূ-খণ্ড এতে সারা দেশের চেয়ে বেশি সরকার বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে উপজাতি জনগোষ্ঠী কে লালন পালন করছে বিনিময়ে তারা সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে প্রতিনিয়ত। যেন সরকার দুধ কলায় সাপ পোষছেন।
বাংলাদেশে কুল মুন্ডা ও সাঁওতালরা আদি জনগোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত। এর বাহিরে কোনো প্রাচীন জনগোষ্ঠীর ইতিহাসে জানা যায় না। কিছু অভিবাসী জনগোষ্ঠী এই বঙ্গে বসতি স্থাপন করেছেন, যারা ২ শত থেকে ৫ শত বছরের আগে এই অঞ্চলে ছিল না। যাদের অনেকেই নিজেদেরকে আদিবাসী হিসেবে দাবি করে আসছেন সাম্প্রতিক বছর গুলোতে। তারই ধারাবাহিকতায় এই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর একটা বৃহত্তর অংশ চট্টগ্রামে বসবাস করছে যারা চাকমা, মার্মা ত্রিপুরা ম্রুরং ইত্যাদি নামে পরিচিত। হাতি মারার ইতিহাস বাদ দিলে এই অভিবাসীরা আড়াই থেকে তিনশত বছর আগে চট্টগ্রামে এসে বসবাস শুরু করে। পরবর্তীতে বৃটিশ শাসন আমলে খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য বর্তমান রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানকে চিটাগং হিলট্রেক্ট নামে অঞ্চল ঘোষণা করেন। যে অঞ্চলের আদিবাসী হিসেবে দাবি করছেন কিছু ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী জনগণ।

আদিবাসী দাবি করার বিষয় নয়, এটা মানুষের অধিকার, মাটির সাথে মানুষের সম্পর্ক। তবে আড়াইশো তিনশত বছর আগে এই অঞ্চলে এসে নিজেদেরকে আদিবাসী দাবি করলে ষড়যন্ত্রের গন্ধ লেপে বেড়াবে এটাই স্বাভাবিক। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করতে না পারলে কোনো দাবি তার যৌক্তিকতা হারাবে।

বাংলাদেশে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা না দিয়ে বরং পিছিয়েপড়া অঞ্চল কিংবা জনগোষ্ঠীকে বিশেষ সুযোগ-সুবিধার আওতায় আনা জরুরি।

ক্যামব্রিজ, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা মানুষ কানাডা ফ্রান্স কোরিয়ায় বসে নিজেদেরকে পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠী দাবি করলে বৈশাখীর পান্তা ইলিশে আয়োজন যেভাবে গ্রাম বাংলার মানুষের সাথে ঠাট্টা করা হয় ঠিক সেভাবেই পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীকে উপহার করা হবে।

বিভিন্ন দোহাই দিয়ে উপজাতি জনগোষ্ঠী সুযোগ-সুবিধা নিয়ে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকে আরো শক্তিশালী করছে যা সরকারের গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে।
কিন্তু দেখা যায় প্রশাসন এর বিপরীত অবস্থান নিচ্ছে। কারন খুজে পাওয়া যায় পার্বত্য চট্টগ্রামে যে সকল কর্মকর্তাগণ চাকরিকে যায় তাদের উপজাতি সন্ত্রাসী ও সংস্থাসমূহ বিভিন্ন রকম চাপ প্রয়োগ করে, এতে না হলে বিভিন্ন রকম অপারের মাধ্যমে তারা তাদের থেকে সুবিধা ভোগ করে থাকে। যে কোন ক্ষেত্রে আপনি ভাগ কষিয়ে দেখবেন সবস্থানে সব কিছু ব্যাপক তফাৎ রয়েছে। যা দেখবার কেহ নেই। এর বিরোদ্ধে কেহ দাড়ালে তাকে গুম ও হত্যা করা হচ্ছে।

সরকার ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বাহিনীর নিকট আবেদন দ্রুত এহেন বিষয় পর্যালোচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে যে কোন সময় এরা বড় ধরনের পদক্ষেপ নিতে সহজ হবে। যার দায়ভার রাষ্ট্র নিতে বাধ্য হবে।

আগের পোস্টঅন্য সম্প্রদায়ের নারী একটু সাজিয়ে গুছিয়ে কথা বললেই বাঙ্গালীরা আবেগে ফেটে পড়ে!
পরের পোস্টজেএসএস সহ-সভাপতি উষাতন তালুকদার এর ছেলে কর্তৃক সেনা প্রশিক্ষণের ছবি তোলা ষড়যন্ত্র নয় কী?

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন