দীর্ঘ ৬ বছর পর ‘মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিল’ ব্যানারে ইউপিডিএফ এর প্রকাশ্য কর্মসূচী!

0
110


২০১৬ সাল থেকে ইউপিডিএফ জেলা ও উপজেলা সদরে প্রকাশ্যে কর্মসূচী পালন করতে না পারলেও প্রশাসনের নীরবতার সুযোগে অদ্য ১৪ জুলাই কাউখালী উপজেলায় মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিল এর ব্যানার ব্যবহার করেই ইউপিডিএফ প্রসিত মূল সন্ত্রাসীরা কথিত ধর্ষণ অভিযোগ তুলে বাঙ্গালীদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে। স্থানীয় সূত্রের তথ্য মতে জানা যায়, ইউপিডিএফ প্রকাশ্যে এতদিন মাঠে না নামলেও আজ ‘মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিল’ এর ব্যানারে কর্মসূচী করে নিজেদের শক্তিসামর্থ্য জানান দেয়৷ বিগত কয়েক বছর কাউখালী উপজেলা সদরে ইউপিডিএফ প্রকাশ্যে কর্মসূচী পালন করতে পারেনি নির্বাহী প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ প্রচেষ্ঠায়। কিন্তু আজকে প্রশাসনের নীরবতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনী ও বাঙ্গালীদের পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে হঠানোর দাবি করে কাউখালী উপজেলা সদরে দেড় ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এসময় ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা বলেন, পাহাড়ে বাঙ্গালী সেটেলার আসার কারণে এখানে ধর্ষণ নামক ঘটনা ঘটেছে, পূর্বে এখানকার পাহাড়িরা ধর্ষণের সঙ্গে পরিচিত ছিল না। কাউখালী কলমপতি মাঝেরপাড়া এক মারমা নারীকে তিন বাঙ্গালী কর্তৃক ধর্ষণ করার অভিযোগ করে ধর্ষকদের বিচার দাবি করেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, কাউখালীতে কোনপ্রকার ধর্ষণের ঘটনাই ঘটেনি৷ কলমপতি ইউনিয়নের মাঝেরপাড়ার ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট এবং নিজেদের সন্ত্রাসী তৎপরতা, চাঁদাবাজি বৃদ্ধি করার কৌশল হিসেবে ধর্ষণ অভিযোগ তুলেছে। এখন পর্যন্ত আমরা কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ পায়নি। এবং বাঙ্গালী কর্তৃক ধর্ষণের কোন আলামতও পাইনি৷ অথচ ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা ‘মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিল’ এর ব্যানার ব্যবহার করে কাউখালীতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা চালাচ্ছে, এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে। যা দুঃখজনক ও পরিতাপের বিষয়ও বটে।



পার্বত্য সচেতন নাগরিক সমাজ মনে করেন, মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিল নিরপেক্ষ ছাত্র সংগঠন হতে পারেনা; নিঃসন্দেহে তারা ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করে; এমনকি তারা সন্ত্রাসীদের বি-টিম হিসেবেও কাজ করে; মারমা নেতৃত্বশ্রেণী কী অসাম্প্রদায়িক নেতৃত্বের কথা বলে পর্দার অন্তরালে এতোদিন বিচ্ছিন্নতাবাদী ইউপিডিএফ ও জেএসএস-এর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে? এমন কথা পার্বত্য সচেতন নাগরিক সমাজের পাশাপাশি সাধারণ পার্বত্যবাসীও মনে করে।



কর্মসূচীতে অংশ নেন, মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিল এর কাউখালী উপজেলা কমিটির সভাপতি অংথুইচি মারমা, রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কংজসাই মারমা, কাউখালী উপজেলা শাখার নির্বাহী সদস্য উপাসিং মারমা কচুখালী যুব সমাজের প্রতিনিধি মংওয়াই মারমা প্রমুখ। এসময় তারা চট্টগ্রামস্থ ফটিকছড়ির আব্দুল্লাহপুর ধাতুচৈত্য বিহারে ১০ বছর বয়সী ‘উপানন্দ শ্রামণ’ (থুইচিংমং মারমা)-কে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যার অভিযোগ তুলে বাঙ্গালীদের দোষারোপ করে। বিষয়টি সকলেই জানে যে, এটি বৌদ্ধ উপাসনালয়ের ভিতরের ঘটনা এবং হত্যাকাণ্ড বৌদ্ধ ভিক্ষু কর্তৃক ঘটেছে৷ তারপরও বাঙ্গালীদের জড়িয়ে এভাবে মিথ্যাচার করা এটা অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাহাঙ্গামা সৃষ্টি করার পাঁয়তারা ছাড়া কিছুই নয়।

‘মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিল’ এর ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচীতে ইউপিডিএফ সহযোগী অঙ্গসংগঠন হিল উইমেন্স ফেডারেশন এর কেন্দ্রীয় সদস্য ঈষা চাকমা উপস্থিত থেকেই সামনে থেকেই নেতৃত্ব দেয়, এবং পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ অংশ নেয়। কাউখালী উপজেলা সদরে সন্ত্রাসী ইউপিডিএফ এসে এইধরনের কর্মসূচী কীভাবে করার দুঃসাহস দেখায় এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কর্মসূচী করার অনুমতি পায় তা নিয়ে স্থানীয় পাহাড়ী ও বাঙ্গালীদের মধ্যে তীব্র সমালোচনা, নিন্দা ও জনমতে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে? কারণ ইউপিডিএফ এ ৬ বছরের মধ্যে প্রশাসনের নাকের ডগায় এসে এভাবেই রাষ্ট্র ও বাঙ্গালীর বিরুদ্ধে কর্মসূচী করতে পারেনি। একটি মিথ্যা ও বানোয়াট ঘটনা নিয়ে গুজব সৃষ্টি করে আজকে যা করেছে তা রাষ্ট্র ও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের সামিল৷

আগের পোস্টঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে অসহায় পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী ও নগদ অর্থ সহায়তা ৪১ বিজিবি’র।
পরের পোস্টপাহাড় উপত্যকায় অসহায় বাঙ্গালীর কান্না!

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন