আপনারা যে সেনাবাহিনীর দিকে আঙ্গুল তুলেন আজ কিন্তু সে সেনারাই আপনাদের নিত্যদিনের চলাচলের রাস্তা সচল করতে অক্লান্ত পরিশ্র করে যাচ্ছে।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার অন্যতম আকর্ষণীয় একটি স্থান হচ্ছে বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক পর্যাটন কেন্দ্র। যাতায়াত ব্যবস্থা, যোগাযোগ ও সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার দিক দিয়ে একমাত্র সড়ক যোগাযোগ পথ হচ্ছে খাগড়াছড়ি সড়কপথ। ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে প্রায়শই খাগড়াছড়ি হতে সাজেক যাওয়ার সড়ক পথে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। অদ্য ৫ অক্টোবর ২০২২ খ্রিস্টাব্দেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। খাগড়াছড়ি হতে সাজেক যাওয়ার একমাত্র সড়কপথটি একেবারে পাহাড় ধসের কারণেই বন্ধ হয়ে যায়। সকাল থেকে দুর্গম পাহাড়ি জনপদের অধিবাসীরা নিত্যদিনের প্রয়োজনে যাতায়াত করতে পারছে না। পুলিশ ও নির্বাহী প্রশাসন এবং সড়ক জনপদ বিভাগও সড়কটি পরিষ্কার করে যাতায়াত স্বাভাবিক করতে আসেনি! এগিয়ে এসেছে দেশপ্রেমিক বাংলাদেশ সেনাবাহিনী৷ সেনাদের একটি বিশেষ দল প্রতিকূল ও ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতির মধ্যেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানবসেবার অংশ হিসেবে সড়ক পরিষ্কার করতে কাজে লেগেছেন। এদিকে স্থানীয় পাহাড়ি অধিবাসী এবং পর্যটক বাহী শতশত যানবাহন আটকা পড়ে আছে। তারা সবাই তাকিয়ে আছে সেনাবাহিনীর দিকে। কোন সময় সেনাবাহিনী পাহাড় ধসের মাটি সড়ক থেকে পরিষ্কার করে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করবে সে দিকে সবার দৃষ্টি ৷ এই সময়ে যাদের এগিয়ে আসার কথা, বেশ করে বিচ্ছিন্নতাবাদী আঞ্চলিক সন্ত্রাসীদল ইউপিডিএফ এগিয়ে আসেনি। যারা কীনা পাহাড়ে পান থেকে চুন খসলে সেনাবাহিনী ও বাঙ্গালীর চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করে তারাই আজ পাহাড়ীদের কল্যাণে এগিয়ে আসেনি। এরাই আবার সাজেক পর্যাটন কেন্দ্র ও মসজিদ নির্মাণে বাধা প্রদান করতে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছিল। এবং প্রতিনিয়ত পাহাড়ে সেনাবাহিনীকে পাহাড়ি মেয়ে ধর্ষক এর তকমা দিয়ে আসছে তারাই আজ এগিয়ে আসেনি!
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো প্রায়শই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সাধারণ পাহাড়ি নারী ধর্ষণের অভিযোগ তুলে এবং ভূমি দখলের অভিযোগ তুলে। এসব অভিযোগ আমাদের দেশের তথাকথিত সুশীল, বুদ্ধিজীবি ও প্রগতিশীলরাই বিশ্বাস করে টিভি টকশো ও সভা-সেমিনারে সেনাবাহিনী ও পার্বত্য বাঙ্গালীর চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করে। প্রকৃত বাস্তবতা হচ্ছে পাহাড়ে সন্ত্রাসবিরোধী সেনা অভিযান বন্ধ করতে এবং এ অঞ্চল থেকে সেনাবাহিনীকে প্রত্যাহার করতে তারা এমন মিথ্যাচারের আশ্রয় নেয়।
পাহাড়ের চরম বাস্তবতা হচ্ছে এখানে সেনাবাহিনী পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে সহায়তা করছে এবং শান্তি-সম্প্রীতি ও উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। তার সবকিছুর সন্ত্রাসীরা দামাচাপা দিয়ে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট উদ্দেশ্যপ্রণোদীত অপপ্রচারে লিপ্ত হয়। তাদের বলতে চায় সেনাবাহিনী যে, এখন মানবসেবায় নিয়োজিত তা একটু দেখতে।