কাউখালীতে ইউপিডিএফ কেন্দ্রীয় শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সহযোগীতায় সাফজয়ী ফুটবলারদের সংবর্ধনা!

0

রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার ৩নং ঘাগড়া ইউনিয়নের মঘাইছড়ি এলাকার সাফ ফুটবলজয়ী ৫ ফুটবলার ও তাদের কোচ ও পৃষ্ঠপোষককে পার্বত্য চুক্তি বিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীগোষ্ঠী ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতাদের সহযোগিতায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। অত্র উপজেলার পানছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হয়৷ অদ্য শুক্রবার, ৭ অক্টোবর ২০২২ খ্রিস্টাব্দে দুপুর ১২ ঘটিকা হতে সংবর্ধনা শুরু হয়।

ইউপিডিএফ দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ে সন্ত্রাসবাদ, হত্যা, অপহরণ ও খুন-গুম এবং রাষ্ট্রদ্রোহীতামূলক কর্মকাণ্ড করে জনসাধারণের কাছে বিতর্কিত হয়ে পড়ছে৷ এছাড়াও ইউপিডিএফ পার্বত্য চট্টগ্রাম হতে চাঁদা উত্তোলন করতে গিয়ে পাহাড়ি-বাঙ্গালীদের রক্ত নিয়ে হোলিখেলা শুরু করেছে। ইউপিডিএফ এর এ জনবিরোধী, নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা কর্মকাণ্ডের ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম জুড়ে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষ আজ ইউপিডিএফ এর নির্যাতন, অত্যাচার, ধর্ষণ ও খুন-গুমে অতিষ্ঠ। সেই ইউপিডিএফ এখন নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে সাফজয়ী নারী ফুটবলারদের গণসংবর্ধনা দেওয়ার নামে ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করছে। যে খানে পাহাড়ের গর্ব এই মেয়েরা ভবিষ্যতে দেশের পরিচিতি আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে উজ্জ্বল করবে সেখানে এই মেয়েদের বিতর্কিত করতে এবং তাদের ভিতরে সেনা ও বাঙ্গালী সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করার জন্য তাদের সংবর্ধনার নামে নিজেদের আয়ত্তে আনার জোর চেষ্টা করছে। এইটা যেমন লজ্জাজনক তেমনই দুঃখজনক এবং বিব্রতকর৷ অস্ত্রধারী বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী কর্তৃক সাফজয়ী নারীদের সংবর্ধনার বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পাহাড়ি-বাঙ্গালী অসন্তোষ এবং চাপা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানায়, ঘাগড়া ইউনিয়নের ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ডের পাহাড়ি জনসাধারণকে ইউপিডিএফ বন্ধুকের নল ঠেকিয়ে ৫ নারী ফুটবলারকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য বাধ্য করিয়েছে এবং আমাদের ইচ্ছের বাহিরে নিজেদের মতো করে সংবর্ধনার আয়োজন করিয়েছে। ইউপিডিএফ যা করছে তা লোক দেখানো এবং নিজেদের চাঁদাবাজি এবং অস্ত্রবাজি পাকাপোক্ত করতে এই ধরনের আয়োজন প্রায় সমসাময়িক বিষয়ে করে থাকে।

আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পুলিশ পাহারায় ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা চাকমা, আনাই মগিনী, আনুচিং মগিনী ও রুপনা চাকমাকে প্রথমে উল্টোরাঙ্গীপাড়া পরবর্তীতে পানছড়ি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণ ও ক্লাবে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ইউপিডিএফ সমর্থিত জনপ্রতিনিধিরা ছিলো এই আয়োজন বাস্তবায়নের মূল হোতা।

সোর্স সূত্রে জানা যায, এসময় স্থানীয় মান্যগণ ব্যক্তিবর্গকে ইউপিডিএফ সামনের সারিতে রাখলেও তার আশেপাশের পাহাড়গুলোতে সশস্ত্র অবস্থায় ইউপিডিএফ এর শতাধিক সশস্ত্র সদস্যকে পাহারা দিতে দেখা যায়। ইউপিডিএফ নারী সংগঠন হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে ছিলো। এছাড়াও ইউপিডিএফ এর কেন্দ্রীয় চীফ কালেক্টর রবি চন্দ্র অর্কিড ১৫ মামলার আসামী ও আরো অন্যান্য মামলার আসামী কাউখালী উপজেলার সভাপতি কাত্তিক চাকমা, সহকারী পরিচালক অমেরেন্দ্র চাকমা (সাবেক মেম্বার), তারেক মারমাসহ ইউপিডিএফ এর বিভিন্ন ইউনিটের ২ শতাধিক নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। কাউখালী থানার পরোয়ানা ভুক্ত আসামীরা থাকলেও পুলিশকে কাউকে আটক করতে দেখা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় জনসাধারণ বিস্ময় প্রকাশ করেছে। এতো মামলার আসামী এবং দাগি দাগি সন্ত্রাসীরা প্রশাসনের সামনে প্রকাশ্যে ঘোরাঘুরি করা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More