এভাবে আর কত বাঙ্গালী উপজাতি ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী কর্তৃক হামলা ও নির্যাতনের শিকার হবে?

মোঃ সোহেল রিগ্যান– রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলায় অদ্য ৭ নভেম্বর ২০২২ খ্রিস্টাব্দ সন্ধ্যা ৬ ঘটিকায় চিৎমরন এলাকায় অবস্থিত জেলা পরিষদের রেস্ট হাউজ থেকে ৩নং ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমানকে অপহরণ করে গভীর জঙ্গলে নিয়ে যায় উপজাতি ভয়ঙ্কর জেএসএস সন্ত্রাসীরা। সেখানে তাকে প্রচন্ড মারধর করে আমতলী নামক স্থানে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে সন্ত্রাসীরা চলে যায়।

পরবর্তীতে এলাকাবাসী তাকে চিকিৎসার জন্য চন্দ্রঘোনা মিশনারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হস্থানান্তর করেন।

কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামীলীগ ও উপজেলা যুবলীগের পক্ষ থেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। আওয়ামীলীগ এই হামলার ঘটনার জন্য জেএসএস সন্তুর সন্ত্রাসীদেরকে দায়ী করেছে৷

ঘটনার সত্যতা জানতে জেএসএস এর সঙ্গে যোগাযোগ করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এভাবেই প্রায়শ্চই দেখা যায় উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী হত্যা, হামলা, নির্যাতন ও অপহরণের মতো অহরহ ঘটনা ঘটতে। এসব ঘটনার ন্যায় বিচার না হওয়াতে সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে পার্বত্য বাঙ্গালীদের উপর হামলা অব্যাহত রেখেছে। এখানে প্রশাসন নির্লিপ্ত তাই হামলা করে রেহাই পেয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাসীরা। পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙ্গালীরা অভিভাবকহীন তাদের পক্ষে কথাবলার মতো কেউ নেই৷ পার্বত্য গণমাধ্যমকর্মীরা চাটুকারিতায় ব্যস্ত। তাদের বাঙ্গালী নির্যাতন দেখার সময় নেই। এখানকার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সব ক্ষমতার মালিক উপজাতীয়রা। তাই পার্বত্য বাঙ্গালীরা সর্বদিকে পিছিয়ে আছে। বাঙ্গালীদের মধ্যে কোন্দল, হানাহানি এবং বিভাজন বিদ্যমান।

এবিষয়ে সকল বাঙ্গালী ঐকমত্য পোষণ করে এগিয়ে না আসলে ভবিষ্যতে পার্বত্য বাঙ্গালীদের জন্য আরো বড় মহাবিপদ অপেক্ষা করছে। তাই বাঙ্গালীদের ঐকমত্য পোষণ ছাড়া বিকল্প নেই।