খাগড়াছড়িতে বাঙ্গালীদের জায়গা দখলের অংশ হিসেবে ইউপিডিএফ এর গভীর ষড়যন্ত্র।

0

মোঃ সোহেল রিগ্যান– খাগড়াছড়ি জেলার সদর উপজেলার পেরাছড়া ইউনিয়নের পেরাছড়া মৌজাস্থ ১২ নম্বর এলাকায় ইউপিডিএফ প্রসিত সন্ত্রাসী গ্রুপের ইন্ধনে উপজাতিরা বাঙ্গালীদের রেকর্ডীয় জায়গার উপর নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে ঘর নির্মাণ করে। এবং এর আগে মিশ্র ফলজ বাগান করে। জায়গাটির বৈধ মালিকানা কাগজপত্র উপজাতিদের নেই। শুধুমাত্র ইউপিডিএফ এর ইন্ধনে উপজাতিরা বাঙ্গালী ভূমি দখল করতে তৎপর হয়েছে। উক্ত জায়গার পাশে বিজিবি’র খাগড়াছড়ি সদর সেক্টর রয়েছে। এখানকার সবাই জানে জায়গাটি বাঙ্গালীদের। অথচ ইউপিডিএফসহ উপজাতিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযোগ করছে তাদের সৃজন করা গাছ কেটে দিয়েছে এবং ঘর বাঙ্গালীরা দিয়েছে ও আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। বস্তুত সব মিথ্যা ও বানোয়াট।

প্রকৃত ঘটনা সম্পর্কে জানা যায়, গতকাল রবিবার ১৩ নভেম্বর ২০২২ খ্রিস্টাব্দ রাত ১১ ঘটিকার সময় পরিকল্পিতভাবে বাঙ্গালীদের উপর দোষ চাপাতে এবং জায়গাটি দখল করতে ফলজ বাগানে নবনির্মিত ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় ও আরেকটি নতুন ঘর তুলে ভাংচুর করে টিনের বেড়া কেটে নষ্ট করে দিয়েছে।

সূত্রে জানা যায় কুমিল্লা টিলার মো. জসিম (৩৫) পিতা- মতিন মিস্ত্রী উক্ত জায়গার প্রকৃত মালিক৷ স্থানীয়রা জানায়, এই জায়গাটি দখল নিতে দীর্ঘদিন থেকে উপজাতি সন্ত্রাসীরা তৎপর। তারই অংশ হিসেবে সন্ত্রাসীরা ঘর ভাংচুর ও ফলজ বাগান কেটে ফেলার মিথ্যা ও বানোয়াট অপপ্রচার ছড়িয়ে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তারা আরো বলেন, ২৭ অক্টোবর ২০২২ খ্রিঃ বাঙ্গালীদের রেকর্ডী জায়গাটি উপজাতি দুইটি পরিবার তাদের দাবি করে জায়গাতে গাছ সৃজন করে। জায়গার মালিক মো. জসিম তাদেরকে বাধা দিলে তারা সেদিন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এবং হুমকি প্রদর্শন করে। নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে তড়িঘড়ি করে ঘর নির্মাণ করে৷ এখন আবার সেই ঘর আগুনে পুড়িয়ে দেয় এবং নতুন ঘর নির্মাণ করে ভেঙে দেয় আর বাঙ্গালীদের মামলার আসামী করে জায়গা হতে বিতাড়ন করতে ষড়যন্ত্র করছে।

অপপ্রচার রোধে এবং বাঙ্গালীদের জায়গা যাতে কোনভাবেই উপজাতিরা দখল করতে না পারে সেদিকে প্রশাসনকে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান স্থানীয়রা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More