কাউখালী হইতে ইটভাটার ৩ বাঙ্গালী শ্রমিক আঞ্চলিক সন্ত্রাসী কর্তৃক অপহরণ!

0
প্রতীকি ছবি
প্রতীকি ছবি

ইমরান হোসেন কাউখালী প্রতিনিধি- রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার ৪নং কলমপতি ইউনিয়নের তারাবুনিয়া এলাকার একটি ইটভাটার দুই শ্রমিকসহ ম্যানেজারের ছেলেকে অপহরণের খবর পাওয়া গেছে।

গতকাল মঙ্গলবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ খ্রিস্টাব্দ দিবাগত ১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে সূত্রের তথ্য মতে জানা যায়।

অপহৃতরা হলেন- ১. ঝালাইমিস্ত্রি মো. আহসানউল্লাহ, ২. দারোয়ান মো. মুসলিম ৩. ইটভাটার ম্যানেজার মো. আবু তাহেরের ছেলে মো. জিয়া রহমান। তারা সবাই ফারুক কোম্পানীর MNC নামক ইটভাটায় কর্মরত শ্রমিক ছিলেন।

জানা যায়, ৯-১০ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী অস্ত্রের মুখে ইটভাটার পাশে শ্রমিকদের জন্য নির্মিত ঘর থেকে তাদের তুলে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা ইটভাটার পাশে অবস্থিত জঙ্গল থেকে এসে এ ঘটনা ঘটায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। চলে যাবার সময় তারা ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য নির্দেশ দেয় এবং তারা ফোনে বিস্তারিত জানাবে বলে জানান।

অপহরণের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন MNC ইটভাটার মালিক ফারুক।

এই ঘটনার সঙ্গে আঞ্চলিক সন্ত্রাসী সংগঠন জড়িত স্থানীয় এলাকাবাসীদের ধারণা।

এই অপহরণের সঙ্গে ইউপিডিএফ মূলদল প্রসিত গ্রুপ সম্পৃক্ত এমনটা দাবি  একটি সূত্রের। তবে ইউপিডিএফ এর পক্ষ হইতে জানানো হয় এই অপহরণের সঙ্গে তারা জড়িত নয়। এর সাথে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক এর সদস্য মারটিন চাকমা জড়িত থাকতে পারে বলে ইউপিডিএফ এর অভিমত। ইউপিডিএফ নিয়ন্ত্রিত নিউজ পোর্টাল এর দাবি গত- ২০ ডিসেম্বর ঘাগড়া উগলছড়ির মঙ্গলসেন চাকমার পুত্র প্রতীম চাকমা-কে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক এর সদস্য মারটিন চাকমা কর্তৃক অপহরণ করা হয়। পরবর্তীতে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণের মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়। অপহৃত প্রতীম চাকমা দীর্ঘ দিন ধরে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সিসিডিআর-এর কাউখালী শাখার ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সংস্থাটি নানা কারণে কার্যক্রম গুটিয়ে নিলে তিনি চাকরি হারা হন। পরে কাউখালী কচুখালীতে দোকান দিয়ে এবং ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালিয়ে কোনমতে দিনাতিপাত করছিলেন। ইটভাটার শ্রমিকদেরও মারটিন চাকমা টাকার জন্য অপহরণ করতে পারে বলে ইউপিডিএফ এর দাবি। ইউপিডিএফ এই-ও দাবি করে বলেন, স্থানীয় এলাকাবাসী বলছে  অপহরণের সাথে মগ লিবারেশন পার্টি এমএলপি জড়িত থাকতে পারে।

তবে এই অপহরণের সঙ্গে সঠিক কারা জড়িত তা স্পষ্টভাবে জানা যায়নি।

বাঙ্গালী ৩ ইটভাটার শ্রমিক উদ্ধারের স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা অব্যাহত আছে।

সাম্প্রতিক সময়ে চাঁদাবাজি, অপহরণ ও খুন-গুম করে পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য এলাকার মত কাউখালীতে অশান্তির বীজ বপন করতে মরিয়া আঞ্চলিক সন্ত্রাসী দল গুলো৷ তারই প্রতিফলন ঘটিয়েছে তারা অপহরণের মধ্য দিয়ে।

পরবর্তী সম্পাদনা নিউজ ফলোআপ– গত ৩১ ডিসেম্বর শনিবার ভোররাত্রে অপহরণকারী দলের ২ সদস্যকে মুক্তিপণ্যের টাকা নিতে আসলে পুলিশ কাপ্তাই চন্দঘোনা হইতে গ্রেফতার করে। ইটভাটার মালিক ফারুক গত শুক্রবার ৩০ ডিসেম্বর কাউখালী থানায়  ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের তথ্য মোতাবেক পুলিশি অভিযানে টিকতে না পারে অপহৃত ইটভাটার তিন শ্রমিক উদ্ধারকে অদ্য ২ জানুয়ারী ২০২৩ খ্রিস্টাব্দে ছেড়ে দেয়।

 

 

আগের পোস্টকুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সাথে ৫ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সম্পৃক্ততা নেই- সংবাদ সম্মেলনে উপজাতি নেতারা।
পরের পোস্টজৈবিক চাহিদা মেটাতে আঞ্চলিক দল উপজাতি সুন্দরী মেয়েদের প্রলোভন দেখিয়ে দলে ভেড়াচ্ছে।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন