জৈবিক চাহিদা মেটাতে আঞ্চলিক দল উপজাতি সুন্দরী মেয়েদের প্রলোভন দেখিয়ে দলে ভেড়াচ্ছে।

0
ছবি: আঞ্চলিক দলের দেশ বিরোধী শপথ গ্রহণে হতদরিদ্র পরিবারের সুন্দরী মেয়েদের অংশ গ্রহণ। গত ২৬ ডিসেম্বর প্রশাসন থেকে কোনপ্রকার অনুমতি ছাড়া রাষ্ট্র, বাঙ্গালী ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গোপন কর্মসূচী করে। সেই কর্মসূচিতে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বক্তব্য ও শপথ গ্রহণ করা হয়।

মোঃ সোহেল রিগ্যান– জৈবিক চাহিদাকে আমরা শারীরবৃত্তীয় চাহিদাও বলতে পারি। জৈবিক চাহিদা হলো এক ধরনের ধারণা বা তত্ত্ব যা অনুপ্রেরণা তত্ত্বের ব্যাখ্যা ও ব্যবহার থেকে উদ্ভূত হয়। আদিকাল থেকে কাম বা যোগ বা কামসুত্র, যা বিপরীত লিঙ্গের নারী পুরুষের মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পাদন হয়ে থাকে। এই ধারণার মূল হচ্ছে মানুষকে বেঁচে থাকতে, সুস্থ থাকতে ও বংশবৃদ্ধি করতে হলে শারীরিক যেসব প্রয়োজন মেটাতে হয় তা। এর মানে হচ্ছে শারীরিক তথা জৈবিক চাহিদা একটি। পার্বত্য চট্টগ্রামের সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদে জড়িত থাকা উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো এক দশক ধরে সাংগঠনিক তৎপরতার হাতিয়ার হিসেবে এবং বাঙালি-পাহাড়ি দায়িত্বরত: নিরাপত্তা বাহিনী তথা সরকারকে কোণঠাসা করতে উপজাতি মেয়েদের ব্যবহার করে আসছে। অসহায় ও হতদরিদ্র উপজাতি পরিবারের সুন্দরী মেয়েদের নানান প্রলোভন দেখানো হয়। দেখানো হয় মিথ্যা স্বপ্ন আর বুলি। সন্ত্রাসী দলগুলো প্রথমে কিশোরী মেয়েদের টার্গেট করে। মেয়েদের এমনভাবে মগজ ধোলাই দেয়া হয় যাতে মেয়েরা সম্পূর্ণ বাঙালি ও নিরাপত্তায় নিয়োজিত নিরাপত্তা বাহিনী বিরোধী মনোভাবে গড়ে উঠে। মেয়েদের প্রথমে কিছু অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করা হয়। এরপর স্কুল-কলেজ এর বই খাতা, বেতন বা এরজন্য কিছু খরচ দেয়। বলা হয় শিক্ষা ও উন্নত জীবন গড়তে সহযোগিতা করা হবে। মেয়েদের মনকে চাঙ্গা করতে নারী জাগরণের অগ্রণী ভূমিকায় নারী শিক্ষার ভূমিকা ও নারী আন্দোলনে ভূমিকা রাখা নারীদের চেতনা লালন এবং উজ্জীবিত হওয়ার সপ্ন দেখানো হয়। এভাবেই মেয়েদের দলে ভেড়ান। এমনকি এই মেয়েদেরকে পাহাড়ের অগ্নিকন্যা ও সংগ্রামী জুম্মবী এভাবেই বিভিন্ন উপাধি দিয়ে উদ্বুদ্ধ করে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার পাশাপাশি নিজেদের জৈবিক চাহিদা মেটানো আঞ্চলিক সন্ত্রাসী দলগুলোর বর্তমানে নিত্যনৈমিত্তিক অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় ১৭ ই আগস্ট ২০১৮ সালে মিতালী চাকমা, রাঙ্গামাটি কলেজ ছাত্রী তাদের ইচ্ছে অনুযায়ী আঞ্চলিক দল না করার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে অপহরণ করে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে খাগড়াছড়িতে সে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তার ক্ষোভ প্রকাশ করে( ছবি ও তথ্যসূত্র: ২৩শে নভেম্বর ২০১৮ খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব)

পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়োজিত সকল নিরাপত্তা বাহিনীর অগ্রাভিযানকে বিতর্ক করতে এই মেয়েদের বিভিন্ন সভা-সেমিনার ও রাষ্ট্রদোহিতা মুলক কর্মকাণ্ড ও কর্মসূচিগুলোতে ব্যবহার করা হয়; বাঙ্গালী ও নিরাপত্তাবাহিনীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ নামক তকমার মিথ্যা ও বানোয়াট কাল্পনিক নাটক রচিত করতে ব্যবহার করা হয়।

নানান প্রলোভন দেখিয়ে উপজাতি সুন্দরী মেয়েদের দলে বেড়ান আঞ্চলিক দল। এই মেয়েদের ব্যবহার শেষ হলে একটা সময় ছুঁড়ে ফেলা হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম তথ্য ভান্ডার(PCTV) তথ্য সূত্রে জানা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সন্ত্রাসী দল গুলোতে কমপক্ষে ১৫৬০ জন নারী সদস্য রয়েছে৷

ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) এর প্রায় ৫/৬টি নারী সংগঠন রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে হিল উইমেন্স ফেডারেশন৷
এই নারী সংগঠনের মেয়েদের পড়াশোনা সহযোগিতার আশ্বাস ও উন্নত জীবন ব্যবস্থা গড়ে দেওয়ার মিথ্যা স্বপ্ন দেখিয়ে প্রথমে তাদেরকে দলে ভেড়ানো হয়েছে। এই মেয়েরা যখন দলে আসেন তখন তাদের বয়স ছিল ১৩ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। বর্তমানে অনেকের বয়স ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। তাদের অনেকেই পড়াশোনা শেষ করেছেন,কেউ শেষ করার প্রান্তে কেউ বা আর পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক নয়। কিন্তু তাদের বিবাহের উপযুক্ত সময় এখন। পরিবার থেকে তাদের বিবাহের জন্য চাপ দিচ্ছে। কিন্তু সংগঠনের চাপের কারণে বিবাহ করতে পারছে না। সংগঠন থেকে তাদের বিবাহ করা নিষেধ এবং সংগঠন ছেড়ে যাওয়াও নিষেধ৷ তাই তারা নীরবে কাঁদছেন আর সৃষ্টি কর্তার নিকট নিজেদের মৃত্যু কামনা করছেন। মেয়েরা আঞ্চলিক সন্ত্রাসী দল গুলোর প্রতারণার ফাঁদে পড়ে নিজেদের জীবন যৌবন নষ্ট করেছেন। তাদেরকে আঞ্চলিক সন্ত্রাসী দলগুলো মিথ্যা স্বপ্ন দেখিয়েছে। অব্যাহত চাঁদাবাজির টাকা ভাগাভাগি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আঞ্চলিক দলগুলোর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, হানাহানি ও ভেদাভেদে অনেক উপজাতি অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। তাদের উচ্চবিলাসী স্বপ্ন দেখানো সেই আঞ্চলিক দলের পুরুষগুলোর মধ্যে অনেকেই পরপারে চলে গেছেন আবার কেউ বিভিন্ন মামলায় পলাতক। এমতাবস্থায় তাদের শেষ লালিত স্বপ্ন আজ ধূসর মরুভূমি।

এই মেয়ে গুলো না পারছে সংগঠন ছাড়তে, না পারছে পছন্দের কাউকে বিবাহ করে সাংসারিক জীবনে প্রবেশ করতে। যে স্বপ্ন ও উপাধি তাদেরকে একসময় দিয়ে সংগঠনে এনেছে, সেই উপাধি পরিবর্তন করে তাদেরকে সংগঠনের পুরুষেরা যৌনদাসী বা জৈবিক চাহিদা মেটানোর হাতিয়ার উপাধি দিচ্ছে। যদি তথ্যে ভুলক্রটি না থাকে,তাহলে এটাই সত্য যে, পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতি নারী কেবলমাত্র উপজাতি পুরুষদের ভোগ্য পণ্য হিসেবে যুগের পর যুগ ধরে ব্যবহারিত হচ্ছে।

সংগঠন করা মেয়েগুলোকেও ছেলেরা বিয়ে করতে চায়না। সংগঠন করা মেয়ে গুলোকে মানুষ ভালো চোখে দেখেননা। মনে করা হয় মেয়ে গুলো জীবনের সবকিছু বিলিয়ে দিয়ে এসেছে৷ আজকে যে উপজাতি মেয়েদের দলে ভেড়াচ্ছে তাদের ভবিষ্যত শুধু অন্ধকার আর অন্ধকার। এখানে না আছে তাদের জীবন গড়ার পথ,না আছে সংসার জীবন গড়ার পথ। এখানে আছে শুধুমাত্র সাম্প্রদায়িক, হিংসা, হানাহানি, সংঘর্ষ, অবৈধ অস্ত্র ও মাদক এবং যৌনতা।

হিল উইমেন্স ফেডারেশন করে এমন মেয়েদের মানসিকতা জানার জন্য আমরা মনস্তাত্ত্বিক জরিপ চালিয়েছি ৷ জরিপ চালানো ৮৫ জন মেয়ের মধ্যে ২৭ জন মেয়ে সম্পূর্ণ উগ্রবাদী ও সাম্প্রদায়িক,বাঙ্গালী মুসলিম ও অন্যান্য ধর্মীয় অনুশাসন বিদ্বেষী। তারা মনে প্রানে উগ্রতা লালন করে৷ তাদের মধ্যে বাঙ্গালী, বাঙালি জাতিসত্তা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীসহ সকল নিরাপত্তা বাহিনী, সর্বোপরি বাংলাদেশ সরকারের সম্পর্কে এমনভাবে ঘৃণা বিদ্বেষ ও খারাপ ধারণা তৈরি হয়েছে তা থেকে তাদের বের করা প্রায় অসাধ্য। আমরা মুখে মুখে উগ্রবাদী, সাম্প্রদায়িকতা বিভিন্ন শব্দ তথাকথিত সুশীল সমাজের মধ্যে প্রায়শ:ই শুনে থাকি। তাদের কাছে বাঙ্গালী ও নিরাপত্তা বাহিনী মানে হচ্ছে ধর্ষক আর নিকৃষ্ট মানব। তাদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক এমন ধারণা তৈরি করতে আঞ্চলিক দলগুলো সব ধরনের আয়োজন করেছে। এমনকি ঢাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন বামপন্থী সুশীল সমাজ তথা বিভিন্ন এনজিও আইএনজিও বিদেশীদের মনোরঞ্জন করতেও তাদেরকে প্রেরণ করা হচ্ছে। বিদেশী দাতা সংস্থা, খ্রিস্টান মিশনারী ও এনজিও,আইএনজিও গুলোর মদদে বাঙালি বিদ্বেষী তৎপরতা চালছে পাহাড়ে। তাদের শপথ বাক্য শিখানো হয়েছে বাঙ্গালী ও সকল নিরাপত্তা বাহিনী তথা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশী নাগরিকদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক ঘৃণাভরা তথ্য ও স্লোগান দিয়ে। জরিপে ১৮ জন মেয়ে অকপটে স্বীকার করেছে- তাদের ভাষ্যমতে”জাতির সব মানুষ খারাপ হয়না। ভালো খারাপ সব জাতির মধ্যে রয়েছে। তবে তারা এটাও শিকার করেছে কিশোরী বয়সে তারা ভুল পথে পরিচালিত হয়েছে এখন তাদের এই পথ থেকে বের হওয়ার কোন উপায় নেই৷ ভালো হোক, মন্দ হোক তাদের সংগঠন করতেই হবে। যতদিন তাদের সুন্দর শরীর, রুপ,লাবণ্য, জৌলুষ থাকবে ততদিন সংগঠনে তাদের প্রয়োজনীয়তা ও কদর থাকে। জরিপে ২৩ জন মেয়ের মন্তব্য হচ্ছে আঞ্চলিক সংগঠনগুলো কোন লক্ষ্য উদ্দেশ্য নেই। জাতির অধিকার, জুম্মজাতি গঠন, আদিবাসী শব্দটির তোকমা, প্রভৃতি আন্দোলনকে পুঁজি করে তারা মূলত চাঁদাবাজি, অপহরণ ও খুন-গুম করে সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রামে অরাজকতা সৃষ্টি করছে এবং নিজেরা সংঘর্ষে জড়িয়ে সংগ্রাম করে যাচ্ছে।
এ সংঘাত ও সংঘর্ষে লাভবান হচ্ছে সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতারা৷ পাহাড়ি জনসাধারণের ঘাম জড়ানো টাকা থেকে চাঁদা নিয়ে শীর্ষ নেতারা উচ্চবিলাসী জীবনযাপন করছে৷ তাদের সন্তান-সন্তানাদি বিভিন্ন এনজিও আইএনজিও সংস্থার সাহায্যে ও চাঁদার টাকা ব্যবহার করে, দেশে এমন কি বিদেশে নামি-দামি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। অন্যদিকে সংঘাতে নিহত হচ্ছে নিচের সারির নেতারা। এর কারণে অনেক পাহাড়ি মা-বোন অকালে স্বামী হারিয়েছে। অনেক মা-বোন দুঃখ কষ্টে জীবনযাপন করছে। যে আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে তারা সংগঠন করেছে সে আশা-আকাঙ্ক্ষার বিন্দুমাত্র প্রতিফলন ঘটেনি সংগঠনে তাদের জীবন ব্যবস্থার মান উন্নয়নে আঞ্চলিক। আঞ্চলিক সংগঠনগুলোতে জাতির অধিকার এর নারীর জাগরণ নয়, এখানে নারী ধর্ষণের জাগরণ হচ্ছে৷ এখানে নারীর দেহকে ক্ষণিকের জন্য মূল্যায়ন করা হয়। জঙ্গলে গেলে সশস্ত্র গ্রুপকে দেহ বিলিয়ে দিতে হয়; শহরে গেলে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও যুব সংগঠন কে দেহ বিলিয়ে দিতে হয়। আর গ্রামের বাড়িতে গেলে রাজনৈতিক দল (প্রশাসনিক শাখা) লোকদের দেহ বিলিয়ে দিয়ে হয় বাধ্য হয়ে। আর ঢাকার দাদারা তো রয়েছেই। এভাবেই চলছে আমাদের জীবন।”

এভাবে অগোচরে চলে নারী ভোগ। তথাকথিত সভ্য সমাজ যদিও এটা বিশ্বাস করতে চাইবে না। বাস্তবতার নিরিখে বলতে উপরে সবাই জাতির মুক্তিকামী সাচ্চা জুম্ম জাতীয়তাবাদ ধারণ ও বাহন করে। আরেকটু খোলাসা করে বললে কেউ চুক্তির পক্ষে কেউ বা স্বায়ত্তশাসন দাবিদার।
জরিপে ১৮ জন পাহাড়ি মেয়ে মনে করেন, “সংগঠনগুলোর যে সংবিধান, দাবি-দাওয়া ও বিপ্লবী স্লোগান প্রকাশ্যে দেখা যায় তা কিন্তু বাস্তবে সম্পূর্ণ ভিন্ন। তারা মানুষদের সম্মুখে যা পেশ করেন তা অসত্য ও ভাঁওতাবাজি৷”

তাদের দুইটি সংবিধান রয়েছে। একটি প্রকাশ্যে আরেকটি গোপনে। সংগঠনে মেয়েদের বৃদ্ধি করা নেতৃত্বের প্রথম সারিতে রাখার রহস্য কী? মূলত নারীদের সাংগঠনিক কাজে ব্যবহার করে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করে এবং জৈবিক চাহিদা মেটান। এই মেয়েরা মনে করেন পৃথিবীর প্রতিটি মেয়ের বাস্তব স্বপ্ন থাকে একদিন তাদের বিবাহ হবে, স্বামী সংসার ও সন্তান হবে। তাদের কত স্বপ্ন আশা-আকাঙ্ক্ষা থাকে৷ শুধু মেয়েদের স্বপ্ন নয় পিতা-মাতা ও ভাই-বোন এরও স্বপ্ন থাকে। সব স্বপ্ন কিন্তু ধূলিসাৎ হয়ে যায় আঞ্চলিক সংগঠনে নারী সংগঠনের যোগ দিলে। সংগঠনগুলো তাদের এই অন্যায় দাবি ও আবদার কখনো শিকার করতে চায়না। তাদের ভাষ্যমতে প্রকৃত বাস্তবতা “আমাদের এ সংগঠনগুলো আমাদের বিবাহ মেনে নিতে চায়না”। যদি কেউ অনুমতি ছাড়া বিবাহ করে বসে তাকে জরিমানাসহ কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হয়। একটি ধারণা দিয়ে রাখি সংগঠন করতে না চাওয়ার কারণে কিন্তু অনেক মেয়েকে সতীত্ব হারাতে হয়েছে এবং জীবনও দিতে হয়েছে। এর উদাহরণ পূর্বে আলোচনা করা হয়েছে (মিতালি চাকমা)।অবাক বিষয় হচ্ছে, “তারা সারাজীবন আমাদের অবিবাহিত রাখতে চায়। যৌনদাসীর মত ব্যবহার করতে চায়! এভাবে কী পারা যায়? অবিবাহিত থেকেই শুধু নারীরা জাতির জন্য আন্দোলন করে? বিশ্বে ১% মেয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না যারা বিবাহ ছাড়া জাতির মুক্তির আন্দোলনে সামিল হয়েছে। এমন ইতিহাস আমাদের জানা নেই।যৌবনে মেয়েরা বিবাহ করবে না এটা কী মেয়ের সাথে যায়? এভাবে কতদিন আমাদের হুমকি ও নিয়মের বেড়াজালে আটকিয়ে রাখবে?” ধর্ম, রাস্ট্র ও সমাজ অনুযারী আমাদের মেয়েদের অবশ্যই আপন ঠিকানায় যেতে হবে। সেটা কেউ বাধা দিয়ে রাখতে পারেনি ভবিষ্যতেও পারবে বলে মনে হয়না। সৃষ্টি কর্তা নারী এবং পুরুষ সৃষ্টি করেছে একেক অপরের পরিপূরক করে। বিবাহবহির্ভূত অবৈধ সম্পর্কের শারীরিক সুখ দিয়ে তো জীবন গড়ানো ধর্মীয় রীতি নয়। সংগঠনের নেতারা অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবে কিন্তু বিবাহ করতে পারবে না! শত্রু পক্ষকে পরাস্ত করতে বা যুদ্ধের কৌশল হিসেবেও যদি ধরি তাহলে কী আমাদের নারীদের কে কী শুধু ক্ষনিকের জন্য ভোগবিলাস করতে চায় তারা? যদি এমনটাই হয তাহলে কেন আমাদের শিক্ষা ও উন্নত জীবন এবং জাতির মুক্তির জন্য নারীর অগ্রণী ভূমিকার দোহাই দিয়ে জুম্মবী (বাংলা অর্থে পাহাড়ি নারী জাগরণের বিপ্লবী খেতাব) ও পাহাড়ি অগ্নিকন্যা উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছিলো? স্বজাতির সাথে কী এটা যুদ্ধের কৌশল নাকী বেইমানি? যারা অন্য জাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে স্বজাতি মা-বোনদের জঙ্গলে ভোগ করার জন্য মিথ্যার আশ্রয় নেয় এবং মিথ্যা স্বপ্ন ও প্রলোভন দেখায় তাদের মাধ্যমে জাতির অধিকার আদায় কিংবা চুক্তি বাস্তবায়ন ও স্বায়ত্তশাসন বাস্তবায়ন টা প্রতারণা মাত্র। যারা জাতি রক্ষার নামে মা-বোনদের বাঙ্গালীর সঙ্গে কথা, মিশতে ও প্রেমসহ বিবাহ করতে দেয়নি তারা কিন্তু চট্টগ্রাম ও ঢাকায় গিয়ে বামপন্থীদের হাতে মা-বোনদের তুলে দেয়। মার্কসবাদ-লেনিনবাদ, কমিউনিজম দিয়ে যে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা ও সংকট সমাধান হবে না, তা তারা বুঝেও না বুঝার ভান করে!

সন্ত্রাসবাদের জড়িত থাকা উপজাতীয় অনেক যুবকদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত। অস্ত্রবাজি, সংঘাত ও হানাহানি উপজাতি যুবকরা দিনদিন ভবিষ্যত অনিশ্চিত এর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এমন পুরুষদের কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মেয়ে জেনে শুনে বিয়ে করতে চাইবে না। তার সুযোগও নেই, সুযোগ থাকলে দূর অজানা কোথাও নিরুদ্দেশ হয়ে যেতাম। এভাবে পাহাড়ে জঙ্গলে পালিয়ে থাকা জীবন নয়। যদি বাধা ভয় না থাকতো,যে ধর্মের পুরুষ হোক সংসার জীবন গড়তে পাড়ি দিতাম। কিন্তু এখন কোন উপায় নেই-জরিপকালে উপরোক্ত ভুক্তভোগী মেয়েদের কাছ থেকে এমন তথ্য বেরিয়ে আসে।

আঞ্চলিক সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে বাধ্য হয়ে সম্পৃক্ত থাকা মেয়েরা মনের চাপা ক্ষোভ গুলো এভাবে জরিপে প্রকাশ করেন। তাদের মধ্যে অনেকের পছন্দের তালিকায় বাঙ্গালী পুরুষ। কিন্তু উপজাতি সন্ত্রাসী সংগঠন গুলোর হুমকি ও ভয়ভীতি এবং প্রাণ কেড়ে নেওয়া কঠোর নিয়মের কারণে উপজাতি মেয়েরা শত ইচ্ছে থাকলেও বাঙ্গালী ছেলেদের স্বামী হিসেবে গ্রহণ করতে পারছেন না। উপজাতি সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো অসহায়, হতদরিদ্র গরীব পরিবারের সুন্দরী কিশোরী মেয়েদের টার্গেট করে মিথ্যা স্বপ্ন এবং প্রলোভন দেখিয়ে দলে ভেড়ান। সাম্প্রতিক সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের ২৬টি উপজেলা হইতে কিশোরী উপজাতি মেয়েদের দলে ভেড়াতে জোর তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে৷ অর্থ সহায়তা ও শিক্ষা ও উন্নত জীবন ব্যবস্থার প্রলোভন দেখিয়ে মগজ ধোলাই করা হয় মেয়েদের।

স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো একটু সচেতন হলে নিশ্চিতভাবে ঠেকানো যাবে সন্ত্রাসী সংগঠনে মেয়েদের অনুপ্রবেশ৷

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More