পাহাড়ীদের সর্ববৃহৎ সামাজিক উৎসবকে ঘিরে জেএসএস সন্তুর বেপরোয়া চাঁদাবাজি।

0

পার্বত্য চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ সামাজিক উৎসব
বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, সাংক্রান ও বিহু-২০২৩ উপলক্ষে জেএসএস এর চাঁদাবাজি।

আসছে আগামী ১২, ১৩ ও ১৪ এপ্রিল পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জাতিস্বত্বার সর্ববৃহৎ সামাজিক উৎসব। আগামী ১০ এপ্রিল রাঙ্গামাটি জেলার মারী স্টেডিয়াম এ উৎসব উদযাপন করার জন্য উদ্বোধন করবেন জেএসএস। ১০, ১১ ও ১২ তারিখ পর্যন্ত উৎসব চলবে। অনুষ্ঠানে যাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তারা সকলেই সাম্প্রদায়িক।

এই উৎসবকে ঘিরে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি’ (জেএসএস) সন্তু লারমার সন্ত্রাসীরাই জনপ্রতিনিধি, মান্যগণ্য ব্যক্তি, এবং সাধারণ মানুষ থেকে আমন্ত্রণ কার্ড (দাওয়াত কার্ড) দিয়ে বেপরোয়াভাবে চাঁদাবাজি শুরু করেছে। সাপ্তাহের বেশি দিন ধরে চলছে তাদের এই চাঁদাবাজির মহোৎসব।

পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ থেকে জেএসএস যুগের পর যুগ ধরে চাঁদাবাজি করে আসছে। জেএসএস এর এই চাঁদাবাজির হয়রানি থেকে মানুষ কোনভাবেই মুক্তি পাচ্ছে না। সামাজিক উৎসব উদযাপন উপলক্ষে এবং ৩দিন ধরে অনুষ্ঠিত করার জন্য ব্যাপক হারে গণচাঁদা আদায় করা হচ্ছে। এই গণচাঁদার হাত থেকে রাঙ্গামাটি জেলা শহর ও উপজেলা পর্যায়সহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠী রেহাই পাচ্ছে না৷

বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, সাংক্রান ও বিহু পার্বত্য পাহাড়ি সম্প্রদায়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক অনুষ্ঠান৷ পুরানো বছরের গ্লানি ভুলে নতুন কে বরণ করে নিতে নিজেরা নতুন ভাবেসাজে। পাহাড়ি ধনী-গরীব সকলের ঘরে থাকে উৎসবের আমেজ এবং নতুন জামাকাপড় কেনাকাটাসহ নানান আয়োজন। এসব করতে গিয়ে পাহাড়ি মধ্যবিত্ত ও গরীব পরিবারগুলো দারুণ অর্থের সংকটে ভোগে৷ দুঃখজনক যে, এমন পরিস্থিতিতে আঞ্চলিক সন্ত্রাসীরা প্রতিটি পরিবার থেকে গঁনচাঁদা আদায় করে এবং জুলুম করে। জেএসএস-ইউপিডিএফ সহ আঞ্চলিক সন্ত্রাসীদের এই জুলুম-অত্যাচার থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ মুক্তি চাই।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More