রাঙামাটিতে পিসিসিপি’র পৌর কমিটি ঘোষণা ও পিসিএনপি’র ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত।

0

পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি’র) রাঙামাটি জেলা শাখার আওতাধীন রাঙামাটি পৌর কমিটি ঘোষণা উপলক্ষে অদ্য ১১ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে কর্মি সভা-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে রাঙামাটি শহরের বনরূপায় ক্যাফে দাওয়াত রেষ্টুরেন্টে।
উক্ত কর্মি সভা পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি মোঃ হাবীব আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিসিএনপি রাঙামাটি জেলা সভাপতি শাব্বির আহম্মেদ, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিসিএনপি রাঙামাটি জেলা সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মান, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিসিএনপি রাঙামাটি জেলা শাখার সি:সহ-সভাপতি মোঃ নাদিরুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, পিসিএনপি নেতা মো: নুরুজ্জামান, পিসিসিপি রাঙামাটি সরকারি কলেজ শাখা আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম, সদস্য সচিব মোস্তফা কামাল রাজু।

এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙামাটি পৌর কমিটির সভাপতি পারভেজ মোশারফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম রনি, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বাবুর নাম ঘোষণা করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পৌর কমিটি ঘোষণা করেন জেলা সভাপতি মোঃ হাবীব আজম।

কর্মি সভা শেষে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের রাঙামাটি জেলা শাখার ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মি সভা ও ইফতার মাহফিল উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত উপজাতি ও বাঙালিদের মধ্যে সবচেয়ে সুবিধাভোগী হিসেবে কয়েকটি উপজাতির জনসাধারণ সকল সময়ে দৃশ্যমানভাবে এগিয়ে আছে। নির্দিষ্ট করে বললে, উপজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে চাকমারা সবচেয়ে বেশী সুবিধাভোগী।

সামাজিক এবং অর্থনৈতিকভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল সুবিধার সিংহভাগ চাকমারা ভোগ করে এবং তারা অন্যান্য উপজাতি এবং বাঙালিদেরকে পশ্চাৎপদতার আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করে রেখেছে।
চাকুরীর ক্ষেত্রে জাতীয় ভিত্তিক স্তরে ৫% হারে কোটা বরাদ্দ রয়েছে উপজাতিদের জন্য, পার্বত্য চট্টগ্রামের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী হওয়া সত্ত্বেও বাঙালিরা এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
উচ্চ শিক্ষার জন্য বিভিন্ন কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর উপজাতিদের জন্য ২১৭টি আসন বরাদ্দ রয়েছে বাঙালিদের উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৭ টি আসন ছাড়া আর কোন আসন বরাদ্দ নেই।

এত বৈষম্য আর বঞ্চনার পরও পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বাঙালিরা অন্যান্য উপজাতিদের সাথে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান বজায় রেখে বসবাস করছে। বাঙালিদের এ বঞ্চনা আর বৈষম্যের হাহাকার ও কান্না আমাদের দেশের তথাকথিত একচোখা ভাড়াটে সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবীদের চোখে কখনই পড়ে না।

উক্ত কর্মি সভা ও ইফতার মাহফিল দোয়া ও মুনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।

আগের পোস্টপাহাড়ীদের সর্ববৃহৎ সামাজিক উৎসবকে ঘিরে জেএসএস সন্তুর বেপরোয়া চাঁদাবাজি।
পরের পোস্টপাহাড়ে আবার লাশ পড়েছে- মেজর নাসিম।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন