পাহাড়ে আবার লাশ পড়েছে- মেজর নাসিম।

0

 

কেএনএফ ‘র ৮ জন প্রতিপক্ষ চাকমা সংগঠন ইউপিডিএফ সংস্কারপন্থী’র হাতে মারা পরেছে।

কুকিদের সাথে চাকমা ও অন্যান্য উপজাতির সংঘাত বহু শতাব্দীর পুরনো দ্বন্ধ। কুকিদের সাথে মনিপুরী নাগাদের দ্বন্দ্ব, মনিপুরী মেইতীদের সাথে দ্বন্ধ। মায়ানমার থেকে এরা বিতাড়িত হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম, মনিপুর, আসামে ছড়িয়ে পরেছিলো। কুকিরা পার্বত্য চট্টগ্রামে ১৮৭১-৭২ সালে ভীষণ অত্যাচার করে পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা গ্রামে লুটপাট, গ্রামে অগ্নি সংযোগ, নারী শিশু অপহরণের মতো অপরাধ করেছে। বৃটিশরা এদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে। কুকিরা ১৮১৭-১৮১৯ সালের এ্যাংলো- কুকি যুদ্ধ কে নিয়ে খুব গর্ব করে। তারা হান্টার রেস।
কুকিরা এখানে নিজেদের আদিবাসী মনে করে। তারা অপরাপর উপজাতি দের বহিরাগত মনে করে। যেমন চাকমারা বাঙালীদের। পুরো মনিপুরে কুকিদের সংগঠন তাদের পিতৃভূমি পুনরুদ্ধারে উজ্জীবিত। তারাই ঢেউ এই কেএনএফ। ‘জো রিইউনিফিকেশন’ বলে তাদের একটি মাতৃ সংগঠন আছে। এদের লক্ষ্য ভারত-বাংলাদেশ – মায়ানমারে তাদের জ্ঞাতিভাইদের নিয়ে পিতৃভূমি উদ্ধার করা।
United Nations Forum for Indigenous Issues (UNFPII) গঠন হওয়ার পর কুকিরা দারুনভাবে উজ্জীবিত।
এরা একে অপরকে মারবে মরবে আর দোষ দিবে সরকারের। সন্ত্রাস, খুন, কল্লা কাটা এদের বংশানুগত ধারা। এরা নিজেরাই তো নিজেদের হেড হান্টার বা কল্লাকাটা জাত বলে পরিচয় দিয়ে গর্ববোধ করে। এখামে নতুন নতুন দল গড়ে উঠা নদীতে চর পরার মতো স্বাভাবিক বিষয়। কারন দল মানেই চাঁদা। দশ জন দশটা হাতিয়ার নিয়া ঘোষণা দিলেই দল তৈরি করা যায়।

কুকিরা নিজেদের জুম্মা পরিচয় মানে না, চাকমা খবরদারী মানে না। অথচ চাকমা মারমা তাই তাদের উপর চাপিয়ে দিতে চায়। চুক্তির সব মধু চাকমা মারমা খায় আর নাথান বম পাশে বসে সন্তুর ছবি আঁকে, মূর্তি বানায় তখন এটাকে কেউ চাকমা মদদ বলে না। সেনাবাহিনীর কেউ তাদের কাছে গেলেই ওটা তখন সেনামদদ। সেনাবাহিনী রাস্তা বানালে চাঁদা হবে না। তাই সেনাবাহিনী খারাপ। হাজার হাজার টাকার প্রজেক্ট হচ্ছে অথচ চাঁদা পাচ্ছে না। তাই কি মানা যায় যদি হাতে অস্ত্র থাকে। আজ পার্বত্য চট্টগ্রামকে আবার দুই ভাগ করে দিলেই কি সংঘাত দূর হবে? আগামী কাল আরেক পার্টি দাড়াবে। মুরং রা বলবে আমাদের আলাদা রাজ্য চাই। খুমি রা বলবে আলাদা রাজ্য চাই। অতএব এ এক চলমান সংঘাত। চলতেই থাকবে মারতেই থাকবে। মেরে বা মরে সেনাবাহিনী কে দোষ দিয়ে ‘আমিন’ বলে লাশ নিয়ে বাড়ি যাবে।
আগামীতে পাহাড়িদের এই “হোম এন্ড এওয়ে” ম্যাচের পরবর্তী খেলাটা কোথায় হয়, উইকেট কয়টা পরে তাই আপাতত দেখার বিষয়।

লেখক: মেজর নাসিম
৮ এপ্রিল ২০২৩ ঢাকা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More