প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সাংগঠনিক ও সশস্ত্র তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে ইউপিডিএফ।

0

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ইউপিডিএফ সাংগঠনিক ও সশস্ত্র তৎপরতার বৃদ্ধি করার পাশাপাশি গভীর পাহাড়ে বাঙ্গালী প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে।

আগামী ২৬ ডিসেম্বর ইউপিডিএফ এর ২৫ বছরপূর্তি হবে। ১৯৯৮ সালে পার্বত্য চুক্তির বিরোধিতা করে ঢাকায় স্বায়ত্তশাসন দাবি রেখে আত্মপ্রকাশ করে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। আগামী ২৬ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নানাভাবে তৎপরতা চালাচ্ছে। সাংগঠনিকভাবে শক্তিসঞ্চারণ উদ্দেশ্যেই অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি, জনশক্তি ও কূটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধির ছক হাতে নিয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে রাষ্ট্রের উদাসীন নীতি এবং স্থায়ী পার্বত্য নীতি না থাকায় ইউপিডিএফ শক্তিশালী হয়ে উঠছে। তাদের অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি বন্ধ করতে না পারার কারণে তারা সাংগঠনিকভাবে দানাবাঁধা শুরু করেছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্র গুলো হইতে ভারী অস্ত্র সংগ্রহ এবং গেরিলা প্রশিক্ষণ নিয়ে ইউপিডিএফ বাঙ্গালী অপহরণ এবং হত্যায় মেতে আছে; রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস এবং রাষ্ট্রীয় বাহিনীর উপর হামলা করার দুঃসাহস বারংবার প্রদর্শন করছে। যা অতি সীমালঙ্ঘন বলা যায়। তাদের সশস্ত্র তৎপরতা যদি বন্ধে নাগাল পাওয়া অসাধ্য হয় তাহলে তাদের রাজনৈতিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের লাগাম টেনে ধরা যেতে পারে।

ইউপিডিএফ নিয়ন্ত্রিত ও অনিয়ন্ত্রিত এলাকায় সশস্ত্র টহল বৃদ্ধি করেছে। বাঙ্গালীদের পাহাড়ের গহীনে প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করেছে৷ পূর্বে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা, রামগড়, পানছড়ি, গুইমারা, লক্ষীছড়ি ও মহালছড়ি এবং রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর, কাউখালী, কতুকছড়ি হইতে বাঙ্গালী পাহাড়ের গহীনে যেতে সীমিত বাধা থাকলেও বর্তমানে ইউপিডিএফ বাঙ্গালী প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে। ইউপিডিএফ নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে যানবাহন, সিএনজি ও মোটরসাইকেল এবং সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজের লোকজন প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে নিয়ন্ত্রিত এলাকার বাহিরে ইউপিডিএফ এপর্যন্ত ২০টি সশস্ত্র টহল পরিচালনা করেছে। টহলদল গুলো উপজেলা সদরের আশে-পাশের এলাকায় এবং প্রশাসনের প্রায় নাগালের মধ্যে চলে আসছে বলে সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। যা বিগত কয়েকবছরের মধ্যে ঘটেনি। ইউপিডিএফ কিছু জায়গাতে গোপনে কর্মসূচী করলেও অনেক জায়গাতে প্রকাশ্যে কর্মসূচী করছে। সাংগঠনিক শক্তিশালী করার জন্য নতুন সদস্য দলে টানছে। চাঁদার জন্য সাধারণ মানুষদের হুমকি, হামলা, অপহরণ এবং হত্যাকাণ্ডের মত ঘৃণ্য কাজে ইউপিডিএফ জড়িত থাকায় জনসাধারণের কাছে তাদের গ্রহণ যোগ্যতা এবং প্রয়োজনীয়তা তলানিতে ঠেকেছে। মাঠ পর্যায়ে ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে ইউপিডিএফ জনহিতকর কর্মকাণ্ড করছে এবং জনসাধারণের মগজধোলাই করার মত কর্মকাণ্ড হাতে নিয়েছে। তা নিয়ে রাষ্ট্রকে নতুন করে ভাবতে হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More