পাহাড়ে কিছু দেশদ্রোহী বিচ্ছিন্নতাবাদী বা দুষ্কৃতিকারী বিচ্ছিন্ন ঘটনা বা বড় ঘটনার জন্ম দিয়ে স্বার্থ হাসিল করতে তৎপরতা চালাচ্ছে৷ কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতার কারণে সফল হতে পারছে না। গত মঙ্গলবার (২ মার্চ) রুমা সোনালী ব্যাংকে হামলার ঘটনাটি এমনই একটি ঘটনা ছিল। এই ঘটনার পরপরই সেনাবাহিনী এগিয়ে এসে ব্যাংক ডাকাতি প্রতিরোধ করে। এই ঘটনাটি বড় হতে পারতো যদি সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিক সাড়া দিতে বিলম্ব করতো। স্থানীয়রা জানায়, কুকি জনগোষ্ঠীর বম ভুক্ত কেএনএফ বান্দরবান জেলার রুমা সোনালী ব্যাংক ডাকাতি করতে হামলা চালায়। তখন সেনাবাহিনী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে সন্ত্রাসীরা ভল্টের দুই কোটি টাকা রেখে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। একই ঘটনা ঘটে পরের দিন ৩ মার্চ থানচি সোনালী ব্যাংকেও। সেখানেও বিজিবি তৎপরতার কারণে সফল হতে পারেনি দুর্বৃত্তরা।
সেনাবাহিনী ও বিজিবির এই এগিয়ে আসা আর বিশেষ তৎপরতার কারণে সোনালী ব্যাংকের প্রায় চার কোটি টাকা রক্ষা পেয়েছে যা ছিল কর্মকর্তা- কর্মচারীদের ঈদ মৌসুমের বেতন-ভাতা ও বোনাস।
বর্তমানে এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক। অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার এবং ছিনিয়ে নেওয়া অস্ত্র উদ্ধারে নিরাপত্তা বাহিনী বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে।