বাঙ্গালীর পার্বত্য চট্টগ্রাম নাকি উপজাতি সন্ত্রাসীদের জুম্মল্যান্ড, পঞ্চম শেষ পর্ব, শাহবাজ খাঁন

0

লেখক শাহবাজ খাঁন- শেষ কথা বলতে আমি যা বুঝি। তা হলো, আমাদের সরকারের উচিত এখন-ই পার্বত্য অঞ্চল সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিয়ে যুগান্তকারী কোন সিদ্ধান্তে আসা। নয়তো পার্বত্য অঞ্চলের নেতৃত্বদানকারী উপজাতি সম্প্রদায় যেইহারে বাঙালি, বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ সেনা-বিরোধী অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাতে একসময় ওদেরকে দমন করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। আর এর প্রমাণ হিসেবে বলা যায় যে, তারা কিন্তু এখন আর নিজেদেরকে ক্ষুদ্র-নৃতাত্ত্বিক উপজাতি সম্প্রদায় বলে না, তারা এখন দাবী করে তারা নাকি পার্বত্য অঞ্চলের আদিম অধিবাসী। অর্থাৎ তারা আদিবাসী। অথচ ইতিহাস বলে ভিন্ন কথা।
আসলে ওরা এতো দুঃসাহস দেখাতে পারতো না, যদিনা আমাদের মধ্যে থাকা কিছু কুলাঙ্গার মীরজাফরেরা ওদেরকে আস্কারা না দিতো! তবে এইসব কুলাঙ্গার মীরজাফরী ও উপজাতি নেতা-খ্যাতাদের উদ্দেশ্য করে একটি কথা না বলেই পারছিনা, হে বদমাইশ আর জানোয়ারের দল! তোরা কি ভুলে গেছিস যে, আমরা কিন্তু আমাদের চেয়েও যথেষ্ট শক্তিশালী তোদের পূর্বপুরুষ পাকি জানোয়ারদেরকে কঠোর হস্তে দমন করে পালাতেও বাধ্য করেছিলাম! সুতরাং তোরা আর যাই করিস না কেনো, বুঝে-শুনে, ভেবে-চিন্তে কর! নয়তো বীর বাঙালি যদি জেগে ওঠে, তবে তোদের প্রতিটি রক্তবিন্দু থেকে তোদের দ্বারা খুন হওয়া এক-একটি বাঙালির রক্তের প্রতিশোধ নেয়া হবে!
যদিও বলতে চাইনি, তবুও আরেকটি কথা না বলে পারছিনা! আজ পার্বত্য অঞ্চলে বাঙালি দ্বারা পরিচালিত ৫টি বৃহত্তর সংগঠন আছে। আর তাদের সবার উদ্দেশ্যও এক, তা হলো- পার্বত্য অঞ্চলে বাঙালিদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই যে, তাদের কোন সংগঠনের সাথে অন্য কোনটির সম্পর্ক-ই ভালো না! এরচেয়েও লজ্জাজনক ব্যাপার হলো এই যে, তাদের প্রতিটি সংগঠনে-ই অনেক নেতা থাকলেও, কেউই কর্মী হয়ে থাকতে ইচ্ছুক না!
আফসোস, আজ যদি (তাদের মধ্যে) বঙ্গবন্ধুর মতো একজন নেতা থাকতো। তবে হয়তো পার্বত্য বাঙালির ইতিহাস-টিই ভিন্ন হতো! কারণ, বঙ্গবন্ধু-ই একমাত্র নেতা, যার এক ডাকেই সারা বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগন নিজেদের মধ্যেকার ঝগড়াবিবাদ, হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে কাঁধে-কাঁধ, হাতে-হাত মিলিয়ে এক কাঁতারে দাঁড়িয়েছিলো। আর নাপাক পাকি ও তাদের আধুনিক অস্ত্রের বিরুদ্ধে সামান্য দেশীয় অস্ত্র, সাহস ও মনোবল নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো!
বিদায় পর্বে ভারাক্রান্ত হৃদয় ও বিদ্রোহী কলমের শেষ সংলাপ হিসেবে পার্বত্য বাঙালি মা-ভাই-বোনদের উদ্দেশ্য করে বলছি, প্রিয় পার্বত্যভূমির সূর্য সন্তানেরা তোমরা আরেকবার জ্বলে উঠে প্রমাণ করে দাও; বাঙালির রক্ত কোন ভীতু-কাপুরুষের রক্ত নয়, তোমাদের রক্তেও বইছে বীরশ্রেষ্ঠ, বীর উত্তম, বীর বিক্রম ও বীর প্রতিকের রক্ত!!
জয় বীর বাঙালি।।
জয় পার্বত্য অঞ্চল।।
জয় অখণ্ড বাংলাদেশ।।
★★★আপনাদের কাছে আপাতত অল্প কথায় ”বাঙালির পার্বত্য চট্টগ্রাম নাকি
উপজাতি সন্ত্রাসীদের জুম্মল্যাণ্ড!! নামে এটি একটি সংক্ষিপ্ত প্রবন্ধ হিসেবে প্রকাশ করলেও, খুব শীগ্রই এই নামে একটি পূর্ণ প্রবন্ধের বই নিয়ে হাজির হচ্ছি ইনশাআল্লাহ…

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More