||পাভেল রহমান মিলন||
হিল নিউজ বিডি- রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া আর্মি ক্যাম্পের বাজার চেকপোস্টের ডিউটি চলাকালীন সময়ে তল্লাশি চালিয়ে এক ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীকে অস্ত্রসহ গতকাল শুক্রবার ২০ নভেম্বর ২০২০ ইং তারিখ রাত ৯ ঘটিকায় আটক করে। আটক সন্ত্রাসী হতে পাওয়া যায় একটি পিস্তল, এবং ছয় রাউন্ড এ্যামোনিশন, নগদ- ১৬৬০ টাকা ও একটি আইটেল ছোট মোবাইল ফোন। আটককৃত প্রতিময় (৩২) রাঙামাটি সদর উপজেলার কতুকছড়ি হাজাছড়ার লক্ষীমহন চাকমার ছেলে। প্রতিময় চাকমাকে আটকের সময় সিএনজিতে থাকা সহযোগী বাবুল চাকমা (বাবলু) (৩৫) পালিয়ে যায়, বাবুল চাকমা নানিয়ারচর উপজেলার মং খোলা এলাকার সুনীল চাকমার ছেলে। সে ইউপিডিএফ-এর সাবপোস্ট পরিচালক হিসেবে লেবারপাড়া দায়িত্বে ছিলেন বলে জানা যায়।
এর পূর্বে বাবুল চাকমা (বাবলু) উপজেলার তালুকদার- উল্টো রাঙীপাড়া নামক স্থানে কালেক্টর হিসেবে ছিলো বলেও জানা যায়।
সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন হতে কাউখালী উপজেলার এলাকা গুলোতে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে ও গোপনে বেপরোয়া তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে। এই নিয়ে স্থানীয় মানুষ চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ ছিল। এখনো পানছড়ি, উল্টো-রাঙীপাড়া, বটতলীপাড়া, চেলাছড়া, নোয়া আদম, লেবারপাড়ায়, কুজইছড়ি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা সাধারণ মানুষদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে।
গোয়েন্দা সংস্থা ও সহ স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় বাংগালীরা সন্ত্রাসীদের সোর্স হিসেবে কাজ করছে যার কারণে সেনাবাহিনী কোন অভিযান পরিচালক করতে রওনা হলে তার খবর সন্ত্রাসীদের নিকট চলে যায়৷ একারণে অনেক সময় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কার্যকারী পদক্ষেপ নেওয়া যায় না।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করছে কাউখালী থানার অফিসার্স ইনচার্জ ওসি মোঃ শহীদুল্লাহ (পিপিএম)। আটক প্রতিময় চাকমা ও পালাতক আসামী বাবলুর বিরুদ্ধে কাউখালী থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে। কাউখালী থানার মামলা নং ০৫, তাং ২১-১১-২০২০ ইং তারিখ।
উল্লেখ্য যে, বাবুল চাকমা (বাবল) চাকমার বিরুদ্ধে নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা হত্যা ও বর্মা সহ ৫ হত্যাকাণ্ডের ঘঠনা নিয়ে দায়েরকৃত পৃথক দুইটি মামলা রয়েছে।