চাঁদাবাজির টাকা দিয়ে শীতবস্ত্র বিতরণ ইউপিডিএফের ভাঁওতাবাজি।

0

ইমরান হোসেন মনির, বাঘাইছড়ি

ইউপিডিএফ পার্বত্য চট্টগ্রামের একটা বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন, তারা পার্বত্য খেটে খাওয়া মানুষ হতে চাঁদাবাজি করে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করছে। এ সন্ত্রাসী সংগঠন প্রতিষ্ঠাকালীন সময় হতে অপহরণ, খুন-গুম, চাঁদাবাজি ও প্রতিবেশী রাষ্ট্র হতে অস্ত্র প্রশিক্ষণ এবং অস্ত্র সংগ্রহ করে দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছে অঘোষিত দাবি নিয়ে। যদিও তারা স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থা দাবি করে আসছে কিন্তু তার আড়ালে রয়েছে স্বাধীনতার স্বপ্ন যাত্রা। তার জন্য অঘোষিত দাবি বললাম।

ইউপিডিএফ প্রসিত নিজেদের স্বজাতির অধিকার আদায়ের অন্যতম সংগঠন দাবি করলেও ইউপিডিএফ মূলত স্বজাতির রক্ত চুষে খাওয়ার মত একটি বৃহৎ সন্ত্রাসী সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রামে। এই সন্ত্রাসী সংগঠনের রয়েছে আনুমানিক ১২.০০০ হাজার সন্ত্রাসী। এদের প্রত্যেকের কাজ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ হতে অবৈধ অস্ত্রের জোর দেখিয়ে চাঁদা আদায় করা। আর এ চাঁদাবাজির টাকা সংগঠনের শীর্ষ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা ভাগবাটোয়ারা করে খায়। আর বাকি টাকা দিয়ে তারা অবৈধ অস্ত্র ক্রয় সহ তাদের দোসররা সাবাড় করে। ঢাকা-চট্টগ্রামে আলিশান বাসা করে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছে ইউপিডিএফ-এর শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। আর তাদের এ চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে রক্তারক্তি সংঘর্ষের বলি হচ্ছে সাধারণ উপজাতি-বাঙ্গালী।

যে ইউপিডিএফ প্রতিষ্ঠাকালীন হতে চাঁদাবাজিকে গুরুত্ব দিয়ে আসছে সে ইউপিডিএফ কিভাবে স্বজাতিদের অধিকার আদায়ে ভূমিকা রাখবে??আর বা কিভাবে মানুষের বিপদে এগিয়ে এসে শীতবস্ত্র বিতরণ করবে? ইউপিডিএফ-এর এই শীতবস্ত্র বিতরণ সম্পূর্ণ লোক দেখানো এবং পার্বত্যবাসীর সাথে ভাঁওতাবাজি প্রতারণা। চাঁদাবাজির টাকা দিয়ে শীতবস্ত্র পার্বত্য বাসী গ্রহণ করবে না। ইউপিডিএফ-এর এ ভাঁওতাবাজি মূলক তৎপরতা সম্পর্কে সকলেই সজাগ থাকুন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More