মিঠুল চাকমা বিশাল নামে মানবাধিকার কর্মী তার ব্যক্তিগত আক্রোশ হতে সম্প্রীতি বিনিষ্ট করতে তৎপর!

0
119

||নাভেদুল হাসান, রাঙ্গামাটি||

৭ নভেম্বর ২০২০ খ্রিঃ

মিঠুল চাকমা বিশাল নামে মানবাধিকার এই কর্মী যতসম্ভব তার ব্যক্তিগত আক্রোশ হতে সম্প্রীতি বিনিষ্ট করতে তার টাইমলাইনে লিখেছেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামের সবখানেই সেনা আতঙ্ক!”
মিঠুল চাকমা বিশাল পার্বত্য চট্টগ্রামে জেএসএস, ইউপিডিএফ-এর চাঁদাবাজি আর অস্ত্রবাজির আতঙ্ক দেখেন না কখনো! সন্ত্রাসী কর্তৃক প্রতিনিয়ত পাহাড়ে মানুষ খুন-গুম হচ্ছে তা তার চোখে পড়ে না! এইতো কিছুক্ষণ আগের কথা বান্দরবান সদরে বড়ুয়া টেক এলাকা থেকে ম্যারিজ টোব্যাকো কোম্পানি সেলসম্যানকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে (জেএসএস) সশস্ত্র গ্রুপের বিরুদ্ধে। একটা অপহরণ বিষয়। অথচ এ বিষয়টা মিঠুল চাকমা বিশালের নজরে আসেনি! সেই নাকি আবার মানবাধিকার কর্মী! তার নজরে এসেছে বৌদ্ধ ভিক্ষু ও বিহার কর্তৃপক্ষ কর্তৃক চিবরদান ধর্মীও অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানোর প্রেক্ষিতে অংশ নেওয়া সেনা লে. কর্ণেল তানভীর মহোদয়ের সঙ্গীয় ফোর্সের দিকে! মোদ্দা কথা মিঠুল চাকমা বিশাল হচ্ছে সন্ত্রাসীদের লালন ধারণকারী হোতাদের একজন কুসন্তান। একপাক্ষিক চেতনা লালন করা এবং সবকিছুতে বিরোধিতা করা এদের মতো কিছু কুৎসিত বিকৃত চিন্তার মানুষদের কাজ।


আমরা সারাদেশে তো দেখি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মসজিদ- মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অস্ত্রসহ প্রবেশ করে। তা নিয়ে তো কেউ আইন- শৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে আংগুল দেখিয়ে কথা বলেনা। একজন লে. কর্ণেল পদবীধারী সেনা অফিসার মর্যাদায় বিভাগীয় কমিশনের সমমনা প্রায়। তিনি একটি জোনের অধিনায়ক তার সঙ্গে পোষাকে অস্ত্রসহ বাহিনী থাকবে না? কি থাকবে? তার কি নিরাপত্তাজনিত সমস্যা হতে পারেনা? বিগত বছরগুলোতে তো সন্ত্রাসীরা সেনাদের উপর হামলা চালিয়েছে৷ পার্বত্য চট্টগ্রাম একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চল এখানে সেনাবাহিনী চুক্তি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে কাজ করছে৷ এখানো অবৈধ অস্ত্রধারী বিদ্দমান। সে সামগ্রিক বিষয়গুলো বিবেচনা নিয়ে সেনাবাহিনী অফিসারকে নিরাপত্তা বজায় রেখে চলতে হয়। সেনাবাহিনী সম্প্রীতি উন্নয়নের অংশ হিসেবে ধর্মীও প্রতিষ্ঠান সহ পাহাড়ের জীবনমান উন্নয়নের অনেক কিছুতেই সহযোগীতা করে থাকে। জোন কমান্ডারকে “সুবলং শাখা বন বিহার” কর্তৃপক্ষ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে নিমন্ত্রণ দিয়েছে। জোন কমান্ডারের সঙ্গে ফোর্স তো থাকবেই। ফোর্স তাকে মঞ্চে পৌছিয়ে দিয়ে যথাস্থান হতে সরে যাবে এটা হচ্ছে ঘটনার প্রকৃত চিত্র। আর এই ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিতে এটাকে সাজিয়ে গুছিয়ে একটা ইস্যু সৃষ্টি করা এবং সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে কুৎসা রটানো একপ্রকার সম্প্রীতি বিনিষ্ট করার অপচেষ্টা মাত্র। তাছাড়া সেনা অফিসার উক্ত ধর্মীও সভায় অতিথি হিসেবে যেমন আগমণ করতে পারে তেমন অবৈধ অস্ত্রধারী আগমণের গোপন বার্তা পেয়েও আগমণ করতে পারেন। একটি বিষয় সঠিক ভাবে না জেনে এবং উভয় পক্ষের সাথে কথা না বলে উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে মন্তব্য করা ঘৃণ্য অপরাধ।

নোট- উক্ত Mitul Chakma Bishal এর ফেসবুকের টাইম লাইনের বেশিরভাগই পোস্ট সেনাবাহিনী বিরোধী। তার বিগতদিনের পোস্ট গুলো নিয়ে আলোকপাত করলে এটাই অনুমেয় যে, সেই একজন সন্ত্রাসী এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি বিনিষ্টকারী। জুরাছড়ি জোন কিছুদিন আগে তাদের একটি পরিত্যক্ত ক্যাম্পের জায়গাতে স্থায়ী/অস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ সম্পূণরুপে নিষিদ্ধ করে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়৷ এই থেকে সন্ত্রাসীরা সেনা বিরোধী অপপ্রচার জোরদার করেছে। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় সন্ত্রাসীরা সেনা ক্যাম্পের পরিত্যক্ত স্থানে বৌদ্ধ বিহারের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দখল করতে।

Post link
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=2877734625792184&id=100006670244057

আগের পোস্টআদিবাসী স্বীকৃতি নিয়ে ডক্টর তৌহিন মালিকের মন্তব্য সম্পূর্ণভাবে অযৌক্তিক ও আত্মঘাতি
পরের পোস্টপার্বত্য বাংগালীরা নিজের অস্বস্তি ও আত্মসম্মানবোধ সম্পর্কে বিবেক জাগ্রত করতে অক্ষম!

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন